আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বায়ো-ফুয়েলে বিশ্ব শাসনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

সত্যের সাথে আপোষ নাই

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণ চুক্তিতে স্বাক্ষর না করার ফায়দা তুলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বায়ো-ফুয়েল (সবুজ জ্বালানি) দিয়ে বিশ্ব শাসনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে বর্তমান বিশ্বের এই মোড়ল। গত ২২ এপ্রিল ৪০তম বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে বায়ো-ফুয়েলের এক সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে তারা। জানা গেছে, মার্কিনীদের নব আবিষ্কৃত বায়ো-ফুয়েলে আকাশে উড়বে উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমান। পানিতে ভাসবে যুদ্ধ জাহাজ।

আগামী দশ বছরের (২০২০ সাল) মধ্যে দেশটির নৌবাহিনীর সব জাহাজ বায়ো-ফুয়েলে চালানো হবে বলে জানা গেছে। আরো জানা গেছে, বায়ো-ফুয়েলে জাহাজ চালানোর জন্য ক্রুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বেশ দ্রুত গতিতেই চালানো হচ্ছে। আর বায়ো-ফুয়েল তৈরি হচ্ছে সূর্যমুখী, সয়াবিন, নারিকেল, পাম, আখ, সুগারবিট ইত্যাদি সবুজ উদ্ভিদ থেকে। এসব উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত তেলের মিথাইল বা ইথাইল এস্টারই হল বায়ো-ফুয়েল। উদ্ভিদে সালোক সংশ্লেষণের সময় রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয় সৌরশক্তি।

আর সঞ্চিত এ রাসায়নিক শক্তিই বায়ো-ফুয়েলের শক্তির মূল উৎস। গত ধরিত্রী দিবসে এ শক্তির কার্যকরিতা চাক্ষুষ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের সামনে সবুজ ফুয়েলে উড়ানো হয় জেট বিমান। আর উড্ডয়ন শেষে পাইলট লে. জন কোলাটের মন্তব্য, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট জেট বিমানের গতির কোন কমতি হয়নি। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ সাফল্যে চিন্তার রেখা ফুটেছে বিশ্ব পরিবেশবিদসহ তাবৎ বিজ্ঞানীদের কপালে।

এমনিতেই মার্কিন ওষুধ কোম্পানিগুলোর জীবানু প্রাণরস (জার্ম প্লাজম) জোগাতে উজাড় হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের বন ও প্রাণী প্রজাতি। তাই আমেরিকার নব উদ্ভাবিত বৃক্ষ নির্ভর জ্বালানি পরিকল্পনাকে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আমেরিকাসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোর ভয়াবহ মাত্রার ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি) নির্গমণের কারণে বাড়ছে বিশ্বের তাপমাত্রা। পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া। বরফ গলছে হিমবাহে।

উচ্চতা বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের। বিশ্বব্যাপী বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চর্ম রোগ। তাই মার্কিনীদের নব উদ্ভাবিত বায়ো ফুয়েল পলিসি এসবের মাত্রা আরো দ্রুততর করবে বলেই মনে করছেন তারা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।