আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জরুরী পোষ্ট: স্ক্রিনিং না করে রক্ত নেবেন না

সত্যের চেয়ে অপ্রিয় আর কিছু নেই

স্ক্রিনিং না করে রক্ত নেবেন না শিহাব সাহেবের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হলো মাস দু’য়েক হলো। এরই মধ্যে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তার জণ্ডিস দেখা দিলো। সঙ্গে পেটে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, অল্প অল্প জ্বরও হতে লাগলো। ডাক্তার তাঁকে রক্ত পরীক্ষা করাতে বললেন।

রিপোর্ট এলো হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত তিনি। ডাক্তারের প্রশ্ন: অপারেশনের সময় যে রক্ত দেয়া হয়েছিলো তা কিভাবে জোগাড় হয়েছিল? শিহাব সাহেবের ছেলে ডাক্তারকে জানালেন, বাবার অপারেশনের সময় ছয় ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। এর মধ্যে চার ব্যাগ তারা নিজেরাই দিয়েছিলেন আর বাকি দু’ব্যাগ কেনা হয়েছিল। ডাক্তার এবার জিজ্ঞেস করলেন, ব্লাড কি স্ক্রিনিং করা হয়েছিল? উত্তর না দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে রইলেন শিহাব সাহেবের ছেলে। রক্ত স্ক্রিনিং কি সেটাই জানেন না তিনি।

রক্ত স্ক্রিনিং মানে সুস্থ লোকের রক্তে অনির্ণীত মরণ ব্যাধির জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষা করা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ অনুযায়ী মুমূর্ষ ব্যক্তিকে রক্তের প্রয়োজনে রক্ত দান করার আগে রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নিয়ে হেপাটাইটিস, হেপাটাইটিস ঈ, এইচআইভি, সিফিলিস বা ভিডিআরএল ও ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট রোগের জীবাণু আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা বাধ্যতামূলক। চিকিৎসকদের মতে, উল্লিখিত পাঁচটি স্ক্রিনিং টেস্ট করার পর যদি পরীক্ষায় কোনোটির জীবাণু রক্তে না পাওয়া যায় তবেই তা গ্রহীতার শরীরে দেয়া যাবে। এর একটিও যদি পজেটিভ হয় তবে সেই রক্ত দূষিত রক্ত বলে বিবেচিত হবে এবং তা কোনোভাবেই গ্রহীতাকে দেয়া যাবে না। এই পাঁচটির যে কোনো একটির জীবাণু রক্তদাতার রক্তে পাওয়া গেলে তার মানে এই নয় যে রক্তদাতা এ রোগে আক্রান্ত।

তিনি এ রোগের বাহক। ভবিষ্যতে তিনি আক্রান্ত হতেও পারেন আবার না-ও হতে পারেন। কিন্তু গ্রহীতার শরীরে দেয়া হলে তার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিত। স্ক্রিনিং ছাড়া কখনোই রক্ত গ্রহীতাকে দেয়া উচিত নয়। তা যদি গ্রহীতার অতি আপনজনও হয়।

কারণ তার রক্তেও গুপ্ত থাকতে পারে। । সেই পাঁচটি মরণব্যাধির কোন একটির জীবাণু যা সে নিজেও হয়তো জানে না। তাই যখনই যে কোনো জায়গা থেকেই রক্ত নেবার আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন স্ক্রিনিং করা আছে কি না এবং পাঁচটি স্ক্রিনিং টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ কি না। এ ব্যাপারে সকলেরই সচেতন হওয়া একান্ত জরুরি।

সুত্র: ইত্তেফাক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.