আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গার্মেন্টসে মজুরী বাড়ানো জরুরী নাকি সংস্কার জরুরী ?



একজন গার্মেন্টস শ্রমিক এর নুন্যতম মাসিক মজুরি ৮০০০ টাকা করার দাবিতে যখন শ্রমিকরা রাজপথে ঠিক তখন ই তাদের কে উস্কে দিতেছে তথাকথিত সুশিলরা তাদের সমর্থন দিয়ে আসছে। শ্রমিকরা রাজপথে ভাংচুর করে কার লাভ হচ্ছে? যারা এখন গার্মেন্টস এ কাজ করে গার্মেন্টস এ কাজ করার আগে তারা কোথায় কাজ করতো? মানুষের বাসা বাড়িয়ে ঝিয়ের কাজ করতো। সেই খানে মাস গেলে মাইনে কি পাওয়া যেতো? কেও হয়ত দুই বেলা খাওয়ার চুক্তিতে কাজ করতো কেও হয়ত দুই বেলা খাওয়া সাথে কয়েকশ টাকা চুক্তিতে কাজ করতো এর বেশী কিছু না। এই মানুষ গুলো কে আলোর পথ দেখালো গার্মেন্টস শিল্প- আসতে আসতে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প একটা অবস্থান তৈরী করতেছে। ঠিক তখন ই শুরু হয়ে গেলো গার্মেন্টস কে ধংস করার পায়তারা।

বিদেশী চক্রের সাথে দেশী চক্র হাত মিলিয়ে করতেছে সড়যন্ত্র । বেতন বাড়ানো দরকার মনে করি কিন্তু সেইটা এক লাফে ৮০০০ টাকা যদি হয় সেইটা কত টা যোক্তিক? এই শিল্পের পিছনে যাদের অবদান বেশী সেই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাক এই টা সবার ই প্রত্যাশা। তবে ৮০০০ টাকা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কত টা ন্যায্য? যদি তাদের বেতন বকেয়া থাকে সেই বকেয়া টাকা নিয়মিত প্রদান টা বাধ্যতামুলক করা হোক। এই শ্রমিক নেতারা আজ ঢাকা শহরের বাগি গাড়ির মালিক। শ্রমিক নেতাদের কথার উলটা পথে কোটি টাকা বিনোয়োগ করা মালিক ও যেতে পারে না।

শ্রমিক এর লাভের বেশীর ভাগ ই যদি শ্রমিক নেতার পকেটে যায় তাহলে আর কি ই বা থাকলো। তাই সময়ে দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা হোক - আচ্ছা এক জন সরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক এর বেতন কি ৮০০০ টা হয়? আমরা জানি পুলিশ কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর। সকালে উঠে ই রাস্থায় বের হলে ই চোখের সামনে ট্রাফিক পুলিশ এর নিলজ্জ চাঁদাবাজি দেখে দেখে অভ্যস্থ । তাই তাদের বেতন নিয়ে কথা নাই বা বললাম। কিন্তু কিছু পুলিশ শুধু দাঙ্গা কিংবা অন্য কাজে নিয়োজিত সেই সব পুলিশ এর দুর্নীতি করার সুযোগ ই থাকে না।

জানা আছে কি তার বেতন কত? বেসরকারী প্রাইমারী স্কুল এর শিক্ষক এর বেতন সর্বসাকুল্লে ৫০০০ এর কাছাকাছি কিংবা তার থেকে কম। তাহলে যারা অর্ধশিক্ষিত শ্রমিকদের বেতন ৮০০০ করার দামি জানাচ্ছেন তারা কি কোনো সড়যন্ত্র করছেন না? তবে বর্তমান বেতনে গার্মেন্টস শ্রমিকের ঢাকা শহরে চলা টা আসলে ই কস্ট সাধ্য এর জন্য যদি সরকার এবং গার্মেন্টস মালিকরা পরিকল্পনা হাতে নেয় ভালো হয়। যেমন গার্মেন্টস পল্লী তৈরী করা। ঢাকা থেকে অনেক দূরে কিন্তু যোগাযোগ সুবিধা এমন যায়গাতে গার্মেন্টস পল্লী গড়ে তোলা তাহলে সেই অঞ্চলে একটা আবাসন তৈরী হবে আর সেই খানের আবাসন ব্যয় ঢাকার মত হবে না। এতে করে ঢাকার উপর ও চাপ কমবে।

এইটা গাজীপুর কিংবা নারায়নগঞ্জ না তার থেকে আর ও দূরে হোক বাংলাদেশের ট্রান্সপ্রোটেশন খুব একটা খারাপ না। তাই এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর মাল সহজে ই পোঁছে যাবে। কিন্তু আমাদের সুশীলরা সেই দিকে নজর না দিয়ে সড়যন্ত্রকারীদের মত ই ৮০০০ টাকা বেতনের দিকে নজর দিতেছেন। এর মাধ্যমে সংঘাত বাড়া ছাড়া কমবে বলে মনে হয় না। এই শিল্প কে বাচিয়ে রাখার সার্থে এখন ই যদি পরিকল্পনা হাতে না নেয়া হয় তাহলে পাটের মত ই কলহে এক সময় ধংস অনিবার্য , যা অনেকে ই চাইতেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.