আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁচানো গেল না সাংবাদিক ফতেহ ওসমানীকে

পরজীবীর মত বেঁচে আছি। সবার শ্রম আর ঘামের উপর দখলদারিত্ব করে। আমার মত অসৎ সকলে, যারা উৎপাদন ও শ্রমের সাথে যুক্ত না হয়ে বেঁচে থাকে।

সিলেট, ২৯ এপ্রিল (শীর্ষ নিউজ ডটকম): সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে চলেই গেলেন সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী। রাজধানীর আধুনিক হাসপাতালের ব্যয় বহুল চিকিৎসা, পরিবার পরিজনদের প্রচেষ্টা, সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ীদের নিরন্তর শুভকামনা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ফতেহ ওসমানী ঢাকার এপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি......রাজিউন)। গত ১৮ এপ্রিল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে তিনি আহত হন। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ওসমানী ৭ দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন। এপোলো হাসপাতালে তাকে লাইফ সার্পোট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। http://www.biplobiderkotha.com ফতেহ ওসমানীর ছোট ভাই মতিন জানান, বুধবার রাত রাত ৮টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

ডাক্তাররা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। গতরাতেই তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের পথে রওয়ানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তারা সিলেটে এসে পৌঁছুবেন বলে মতিন জানান । সাংবাদিক ফতেহ ওসমানীর মৃত্যু সংবাদ সিলেটে এসে পৌঁছার পর নানা স্থান থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তার বাড়িতে গিয়ে জড়ো হতে থাকেন। ফতেহ ওসমানীর মৃত্যুতে সিলেটের সাংবাদিকদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নির্লোভ, মিতভাষী জীবনযাপনের জন্য ফতেহ ওসমানী ছিলেন সাংবাদিকদের মধ্যে প্রিয় এক ব্যক্তি। ফতেহ ওসমানী মারাই গেলেন। তবু তার ওপর হামলার রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। জনতার সহযোগিতায় একজন গ্রেফতার হলেও পুলিশ এখনো এ মামলার কোনো কুলকিনারা করতে পারেনি। পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।

গত ১৮ এপ্রিল নগরীর ঈদগাহ এলাকায় রাত ১০টায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হন সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী ও তার ব্যবসায়ী বন্ধু আব্দুল মালেক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ওসমানীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এপোলো হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/এএস/আবি/০১:২৫ঘ.)



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।