আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্থক্যটা কোথায় বলবেন কি?

মননশীল,

তখন ফখরুদ্দিন যুগ্। দিকে দিকে শুধু ফখরুদ্দিন বন্দনা। তখন বাংলাদেশে প্রথম যে লোকটা সাহস করে তত্বাবধায়ক সরকারের সমালেঅচনা করা শুরু করেন তিনি নুরুল আলম । তার যুক্তি তর্ক শোনার জন্যই আমি চ্যানেল ওয়ান দেখতে শুরু করি। অনুষ্ঠানটা আমি রেগুলার দেখার চেষ্টা করতাম।

আজও সন্ধ্যা টিভি ছেড়ে চ্যানেল ওয়ান খুজছি খবর দেখবো। ওয়ান ইতিমধ্যে হাওয়া। ব্লগে এসে দেখি লেখা শুরু হয়ে গেছে-- পক্ষে বিপক্ষে। বো লেখালেখি যাই হউক চ্যানেলটা আর দেখা যাবেনা এটাই সত্য। কেন বন্ধ হোল সে বিতর্কে না হয় নাই গেলাম।

বাংলাদেশে সবগুলো চ্যানেল সমান জনপ্রিয় না। মানও এক রকম না। তাই বলে ভালো গুলো রেখে বাকিগুলো বন্ধের আবদার করা যায়না। এটা আসলে এক ধরনের উণ্যাসিক মানসিকতা। তাহলে চলুন আমরা বলি যে ছেলেগুলো লেখাপড়ায় ভালনা তাদের লেকাপড়ার দরকার নেই।

একই ভাবে যেসব শিল্প কারখানা প্রতিযোগিতার বাজারে ধুকে ধুকে চলছে তাদের সবগুলোকে বন্ধ করার দাবি জানাই। দেশে ভাল চলচি্চত্র হয় না । তাহলে কি করা । দেশি ছবি বন্ধ করে দিয়ে ভারতীয় ছবি এনে দেখি। হল মালিকরাও বাচলো , আমরাও আনন্দ পেলাম।

ব্লেগ এখণ এ সব যুক্তিই চলছে। সেই ফকরুদ্দিনের সময় (তারিখটা মনে নেই) ঢাবিতে আন্দোলন শুরু হল । গোটা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্র। আমি বসে বসে টিভি দেখছি। বৈশাখী টিভি।

কারন এ চ্যানেলে লাইভ দেখাচ্ছে। সেই আন্দোলনেই হারুন অর রসিদসহ কয়েকজন শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জণ্য বন্ধ করে দেয়া হয়, ছাত্র ছাত্রীদের হুকুম দেয়া হয় হল ছেড়ে দিতে। সবসময় যা হয় আরকি। অবেলায় তারা কিভেবে বাড়ি যাবে - সাংবাদিকদের কাছে তারা সম্যাটা বলছে।

এ পর্যায়ে এক রিপোর্টার তখনকার তথ্যমন্ত্রী মঈনুল হোসেনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। আমিও দেখছি। মঈনুল বলছে, তারা আইন - শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, সরকারি সম্পদ নষ্ট করেছে -- এখন সবকিছু ভাল করে মনেও নাই। মইনুল সরকারের পক্ষে সাফাই দেয়ার চেষ্টা করছে আপ্রান। মহিলাও পাল্টা প্রশ্ন করছে।

এক পর্যায়ে চ্যানেল চলে গেল। এরপর দীর্ঘদিন বৈশাখীর সম্প্রচার বন্ধ ছিল। এখন আবর বৈশাখী আসে। নতুন সাজে নতুন রুপে। চ্যানেল ওয়ানও একদিন আবার আসবে।

নতুন রুপে। আমাদের সরকারগুলো নিজেদের ব্যর্থতা গোপন রাখতে চায়। নিজরে ভালটুকু ফুলিয়ে ফাপিয়ে পাবলিককে জানায়। এ জন্যই তারা পত্রিকার সম্পাদকদের হুমকী দিয়ে, ক্ষতিকর চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। এটা বিএন পি করেছে অতীতে।

হাসিনা সরকার করছে এখন। পার্থক্যটা কোথায় - বলবেন কি?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।