এ সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত সমস্যা হচ্ছে আলো, পানি আর গ্যাসের। রবীন্দ্র নাথ দীর্ঘ দিন আগে একথা চিন্তা করেই "যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ূ নিভাইছে তব আলো " লিখেছেন কি না এ কথা আমি হলফ করে বলতে পারিনা। তবে এ যুগের এক ব্লগার আশীফ এন্তাজ রবি এ বিষয়ে প্রধান মন্ত্রীকে ব্লগীয় চিঠি লিখে হই চই ফেলে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে আমি গ্যাস পানির উন্নয়নের উদ্যোগ খুব মনযোগ দিয়ে লক্ষ করছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী রবির ব্লগ পড়েছিলেন কি না জানি না।
তবে অল্প ক'দিনেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে আমি আশায় বুক বাঁধছি। সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী জুন মাস নাগাদ ৩০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রীডে। ডিসেম্বর নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৯২ মেগাওযাট। আর ২০১১ শেষ হবার আগেই আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাবে ৫২০০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা ৫৫০০ মেগাওয়াট।
আমদের গড় উৎপাদন ৪০০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন বোতলের দৈত্যের কাজ নয়। হুকুম কর করলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়না। এটি সময সাপেক্ষ ব্যাপার। উৎপাদনের সাথে নানান পরিকল্পনা, যন্ত্রপাতি, অবকাটামো উন্নয়নের সম্পর্ক রয়েছে।
ধারাবাহিকতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার জনগন বেশি কষ্ট পেয়েছে কারণ চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন বাড়েনি। ধারা বিুহকতা রক্ষা হয়নি। পুরানো কাসুন্দি ঘাটার চেয়ে নতুন উদ্যোগ হাতে নেওয়া এখন জরুরি। বিষ্ময়ের সাথে লক্ষ করছি সেই কাজটাই হচ্ছে ( এদেশে যে কাজ টি করার কথা সরকার সে কাজ টি করে না।
এ সরকার কে তার ব্যতিক্রম ই মনে হচ্ছে)
সরকার দ্রুত জনগনের কষ্ট লাঘবের জন্যে দর পত্র ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎ পাদনের চুক্তি সই করেছে। এতে মাথা ব্যথা সুরু হয়েছে তাদের যারা কাজের চেয়ে দরপত্রে বেশি আগ্রহী। আমার মনে হয় জনগন যদি উপকৃত হয় তখন জনগনই সরকারের পাশে এসে দাঁড়াবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।