আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই চেনা কোরিয়া

আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে দেশ জুড়ে উল্লাসের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম বড় অর্জন ছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। সে ধরনের অর্জন হতো যদি গতকাল এশিয়া কাপে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারাতে পারত। সত্যি বলতে কি কোনো খেলাতে আগাম ফল বলা না গেলেও বাংলাদেশ যে পারবে না এ ব্যাপারে অনেকে নিশ্চিত ছিলেন। তবে হারলেও ফলাফল খুব বেশি লজ্জাকর হবে না এই আশাটা ছিল।

পাকিস্তানের কোচ নাভিদ আলমও বলেছিলেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া অনেক শক্তিশালী। তাই তার লক্ষ্য থাকবে যত কম গোল খাওয়া যায়। না, সে লক্ষ্যও পূরণ হলো না। মালয়েশিয়ায় ইপোতে অনুষ্ঠিত নবম এশিয়া কাপ হকিতে জিমি-চয়নদের শুরুটা হয়েছে নির্লজ্জ হার দিয়ে। এক কথায় বলা যায় কোরিয়ার সামনে বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেনি।

০-৯ গোলে হেরে আসরটা শুরু করতে হয়েছে জিমিদের। হকিতে জেগে উঠার কথা বলা হলেও এবারও এশিয়া কাপে সেই চেনা কোরিয়াকে দেখল বাংলাদেশ।

আগের দিন ভারত বিশাল ব্যবধানে জেতাতে ধারণা করা হয়েছিল কোরিয়া কোনোভাবে বাংলাদেশকে হালকা চোখে দেখবে না। যত বেশি গোলে জেতা যায় সেই চেষ্টা করবে তারা। কারণও আছে একই গ্রুপে কোরিয়ার সঙ্গে ভারতও রয়েছে।

সেক্ষেত্রে গ্রুপে দুই দলের পয়েন্ট যদি সমান হয় তখন গোল পার্থক্যে শীর্ষস্থান নির্ধারণ হবে। অপর গ্রুপে বড় কোনো অঘটন না ঘটলে পাকিস্তানের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিতই বলা যায়। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে কোনোভাবেই চাইবে না ভারত বা দক্ষিণ কোরিয়া। সেক্ষেত্রে ওমান ও বাংলাদেশকে যত বড় ব্যবধানে হারানো যায় ততই লাভ তাদের। এশিয়া কাপে এর আগে বাংলাদেশ কোরিয়ার বিপক্ষে চারবার লড়লেও কোনোবারই জয়ের মুখ দেখেনি।

১৯৯৪ সালে হিরোশিমায় অনুষ্ঠিত আসরে সৌভাগ্যক্রমে ১-১ গোলে ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল। বাকি তিনটিতেই ছিল বড় ব্যবধানে হার। ২০০৯ সালেও ৯ গোল হজম করেছিল। সেদিক দিয়ে জিমিরা ধন্যবাদ পেতে পারেন যে, লজ্জার মাত্রা ছাড়িয়ে যাননি! ওয়ার্ল্ড হকি লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডে চীন ও ওমানকে হারানোর পর হকি খেলোয়াড়রা প্রশংসিত হয়েছিলেন দারুণভাবে। অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন দুর্দিনটা কেটে যাচ্ছে।

সামনে হকির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কি যে উজ্জ্বল তা টের পাওয়া গেল গতকালকের ম্যাচেই। প্রশ্ন উঠতে পারে অন্যবারের তুলনায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশের প্রস্তুতিতো দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। কোচ বার বার বলছিলেন, তার ছেলেরা আগের যেকোনো আসরে চেয়ে ভালো খেলবেন। এটাই কি তার নমুনা।

ফেডারেশন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন এমন বিপর্যয় ঘটল। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য ছিল এমন হার নতুন নয়। তবে যতটুকু সম্ভাবনা ছিল তা নষ্ট হয়ে যায় সাম্প্রতিক কোন্দল বা হট্টগোলে। হ্যাঁ, দলবদল বা নির্বাচনকে ঘিরে খেলোয়াড়দের অনুশীলন ব্যাহত হয়েছিল দারুণভাবে। বলা যায় এমন প্রতিকূল অবস্থায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কখনো অংশগ্রহণ করেনি।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে হকির মানে যে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি তা গতকালের ফলাফলই বলে দিচ্ছে। ওয়ার্ল্ড লিগে চীনের বিপক্ষে জয়টা এখন দুর্ঘটনা বলেই ধরে নিতে হবে। তা না হলে এশিয়া কাপে লজ্জাজনক হার থেকে বের হতে পারলেন না কেন জিমিরা। প্রথমার্ধে ৪ আর দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল করেন কোরিয়ানরা। বাংলাদেশ আজ ওমানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের মুখোমুখি হবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.