আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিডিবি কর্মকর্তাদের বিরূদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য থাকলেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে নেই!

সত্য সন্ধানে সর্বদা নির্ভিক

ঢাকা, ২১ এপ্রিল, ফোকাস বাংলা নিউজঃ সুপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী লোডশেডিং সৃষ্টি করছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য থাকলেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে কোন তথ্য নেই। বুধবার বাংলাদেশ এনার্জি রিপোটার্স ফোরামের আয়োজনে জাতীয় প্রেস কাবে মিট দ্যা এনার্জি রিপোর্টার্স শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব এনামুল হক একথা বলেন। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, লোডশেডিং এর জন্য পিডিবির কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা দায়ী। এব্যাপারে সাংবাদিকরা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য এবং অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অভিযোগের কোন তথ্য তার কাছে নেই। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এই অভিযোগ করেছেন সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কাছে এব্যাপারে তথ্য থাকতে পারে।

দেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আবারো বিগত জোট সরকারকে দায়ী করলেন এবং স্বপ্ন দেখালেন ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ লোডশেডিং মুক্ত হবে। শীর্ষনিউজের বার্তা সম্পাদক শাহিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে লোডশেডিং মুক্ত করে একটি মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত করার কথা বলেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, চলমান বিদ্যুৎ সংকটকে প্রাধান্য দিয়ে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৯৪২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুসারে ২০১০ সালের মধ্যে ৭৯২ মেগাওয়াট, ২০১৩ সালে ১৯৭৫ মেগাওয়াট, ২০১৪ সালে ১৭৭০ মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালে বাকি ২৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ ব্যয় হবে।

যার মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বাবদ ব্যয় হবে ৯ বিলিয়নের মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ। এই অর্থ বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সমান। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান কিভাবে পাওয়া যাবে সে প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেননি। তবে তিনি বলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান পেতে সরকার প্রাইভেট সেক্টরগুলোকে উৎসাহিত করবে এবং প্রবাসি বাংলাদেশিরা হতে পারে এই অর্থের একটি অন্যতম মাধ্যম। এব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সরকারের চিন্তা ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।

কিন্তু তিনি কোন নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। এদিকে সরকারের হাতে নেওয়া পরিকল্পনায় শুধুমাত্র কোন কোন পদ্ধতিতে বিদ্যুতের উৎপাদন করা হবে সেটি দেখানো হয়েছে কিন্তুকোন প্রকার অর্থপ্রাপ্তির কথা বলা হয়নি। আবার এতে নেই কোন সঠিক কার্যপরিকল্পনা। সরকার নিশ্চিত করে বলছে না কবে নাগাদ এই বিপুল অর্থের যোগান পাওয়া যাবে। অর্থ প্রাপ্তির ব্যাপারে সরকার এখনো কোন কার্যকর পদপে গ্রহণ করেনি তা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এসেছে।

তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। ২০১৫ সালের মধ্যে ৯৪২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সরকার রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে কত অর্থ ব্যয় করবে বা বৈদেশিক কোন সাহায্য নেওয়া হবে কিনা, হলেও এব্যাপারে কোন দেশের সঙ্গে সরকারের কথা হয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্য পরিকল্পনাটিতে নেয়। প্রতিমন্ত্রী সরকারের নেওয়া পরিকল্পনাটির ব্যাপারে বাস্তব কোন পদপে সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি। তাছাড়া সরকার কবে নাগাদ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য অর্থ সংগ্রহ করবে এবং পূর্ণ কর্মপরিকল্পনা জনগণের কাছে প্রকাশ করতে পারবে সে ব্যাপারেও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কোন তথ্য দিতে পারেননি। অন্যদিকে লোডশেডিং এর জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অভিযুক্ত পিডিবি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যাপারে কোনরূপ পদপে নেওয়া হয়েছে কিনা বা কোন কোন ব্যক্তি অভিযুক্ত সে ব্যাপারেও সরকারের প থেকে কোন প্রকার মতামত পাওয়া যায়নি।

রানা হানিফ/ ফোকাস বাংলা/ ১৬৫০ঘ./শা খা বর্ণ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।