আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কা ফের সিরিজের শেষ কবিতা



কালের পরিধি বিস্তার করে অস্তিত্বে নাস্তিতেও ঠিক থাকে তার উপস্থিতি জীবনের কাছে জড় ও অজড় অনড় যোগ ও বিয়োগের মাঝে লিঙ বদলের খেলা। ভাঙ্গেনা কিছুই যার স্বীকৃত শখ নিত্য অনিত্য মুদ্রার ভাষা হাওয়ার গতিতে বদলাবে তালের চরিত কাক ময়ূর কিংবা মিঠাপানির নাচ। কথারা দেয়না কিছুই ছিলছিলা বদল করে স্বদল বলে এরই মাঝে দুয়েকটা প্রানীর কন্ঠ নলের ভেতর দিয়ে ধাবমান গনিত। নাম ও নমে যাওয়ার ইতিহাস হাসে পাখার তল থেকে উঁকি দেয় গোপালের মুখ চার পায়ের ওপর খাড়া হয়ে দাড়ায় দাবার গুটি শুকনো মৌশুমে প্রজাপতি দক্ষিনা পায়। মানুষের আগেও থাকে আরেক বলয় সংখ্যার ভিড়ে তত্ত্বের তুরি মুখ আটকানো বাক্যের শ্রবণ ক্ষমতা মাতাপিতাহীন ঝুলন্ত মৌচাক।

চলমান স্থিরতা দাবী অহেতুক নয় হেতু গোপন ও প্রকাশ্যে তৎপর জাহের বাতেনে আমি নেই যেন জাহ্নবী খড় কুটোর ভেতর পাখির আশ্রম। ওঁরাও সাম্রাজ্য মজে ছিলো ধ্যানে দু'পুরে রাত নামে একই নাম ধরে ধারার বাহিকতা কাতরায় লজ্জার উঠান প্রতির প্রত্যাখ্যানে চিঠি আসে প্রেরক সমিপে। পিতা পলায়ন করে কার আগে পরে? মাতামুহুরি বরাবর মাতা ও মুহুরি স্তন্য পান উন্মুক্ত হবে না এবার কলির উনুনে জ্বলে শুক্কুরবার। ফেরা হবেনা আর পাকস্থলির কাছে ঘরের ভেতর ঘর কাছাকাছি কাছারি জন্ম মানেই যুবক যুবতী যৌবন বার্ধক্য নয় দু'টি চোখ কেবল মৃত্যুর আগের ঘটনা দেখে। তবুও তাবুর ভেতর গতিশীল পইঙখার ডানা ওড়াউড়ি হলেও হাল পায় না পাখা বাতাস পেলে পাল সটান দাড়ায় দরিয়া কোনো তলেই তালহারা হবে না ফরিয়া।

ঋতুমুখী ফল ফলাও করে বীজোৎসব বৃক্ষের শরীরে রাবোর পোশাক পুরোহিত জ্ঞান অজ্ঞান মিলে মেলা বসে বাৎসরিক গুনের ঘরে বৃদ্দ্বি পেলো বেগুনের নীলগতি। মতিবিভ্রম পুরুষ বেকার নিরাকার ফকিরের গানে গহিন তন্তুর জাল তারহীন একতারা মানে বিধবা বিশ্ব শুকনো খালের ওপর মিছামিছি সাঁকো সংযোগ। জুড়াবে কন্ঠ যখন আমার নামই ইতিহাস সমাপ্তির রঙগুলো উৎরিয়ে যাবে পশ্চিমে বাক বদলের নির্দেশিকা থাকুক তোলা আসমানে বর্ষার আরেক নাম বিষমাখা সুঁচ। নকশি কাঁথায় বাঁধা আঙুলের অতীত বাল্যকাল ব্যাক্তির বক্তব্যে প্রকাশ বাক্য গঠিত থাকে হাওয়ার গতিতে ব্যাক্ত মিলেয়ে যাবে ভবিষৎ পাশাপাশি। বনের ভেতর শ্রাবণ ও বোন ইন্দন যোগাবে জ্বালাতে আগুন জলে কাঠে কাঠ ঠোকরায় নিখুঁত বর্ণমালা ঝুলে আছে ত্রিশন্কুর মতো।

নানা নামে জলের ঘনত্ব প্রকাশ ভাব ভকতি ভগবত অবনত নোকতা সমেত সোমত্ত অক্ষরগুলো দাড়িয়ে আছে বাক্যের শেষে দাড়াবার জায়গা দখল করা মৃত্যু ফলক। পালক ডিঙ্গিয়ে যাই পালকির কাছে অচেনা অসুর প্রকাশিত রাশিচক্র নিজস্ব বৃত্তে বৃদ্দ্বি ও বিলয় মাকড়সা কবে থেকে আমাদের নাম হবে মরুভূমি? ভূমি মানে গোলের গেরস্থালি আবৃত রেখার ভেতর কাজল কানন গড়ে জলের সাথে অবিরত মৎসের বিরোধ খাবার টেবিলে যার পরিনতি অনশন। উধাও দরিয়ার দরদ,দরদী বকুল জীবনের দাম দরদে বুঝি বলে ঝরে পড়ি পাড়াপড়শি তখন স্বপ্নের পুকুরে বড়শি ফেলে জারুলের কোন প্রতিবেশী নেই । কৃষ্ন কি শেকড়ে না চূড়ায় চূড়ান্ত খেলা দেখায় উভয়ের ভেতর লাল নেই আছে লীলা রাধা কেবল মধ্যের মাজার হবে পতঙের মিছিলে দ'য়েকটা অঙ্গ কি খ'সে গেল? আকর্ষণ করো শ্বব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধে কর্ষণ করে ফলাও তোমার ফলাফল আকার প্রাপ্ত অস্তিত্বের আবহাওয়া জলবায়ু নিজেকে নিরাকার করার আগে সন্তানদেরও নিরাকার করো। অসম সমস্ত দিন রাত হয় বাড়ী ফেরে অসমাপ্ত কাজের ক্ষুধা তুমি অব্যাহত থেকে যাও অধরা দিবালোকে অথর্ব্ব বেদের কান্ডকারখানা অবৈদিক।

দিকে দিকে কান্না শেখায় শখ রাধাচূড়া চূড়ান্ত খেলা দেখাবে আজ রক্তের বদলে রক্তিম ফুলের তোড়া তাড়া করে তোমাকে আমাকে পৌঁছে দিলে কৃষ্নের দ্বারে। হাওয়ারা পাল্টিয়ে দিলো দেহের তাপ মাত্রা মেপে কবিরাজ রাজা হলো হওয়া বা না হওয়ার ইতিহাস নবীন বিনীত প্রত্যাখ্যান করি সৃস্টির উপাখ্যান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।