আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাৎসিবাদ কি আবার ফিরে আসছে ? আধুনিকতার অবয়বে



বিগত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের জার্মানির কিছু অশুভ আলামত আজকের বাংলাদেশে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। এ আলামতগুলোর কিছু কিছু এখানে তুলে ধরছি। প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবুর্গের আমলে জার্মানির কোয়ালিশন সরকারের অন্যতম অঙ্গ দল ছিল অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টি। ১৯৩২ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে নাৎসিদের ভোট ও সংসদীয় আসনসংখ্যা কমে যায়। তা সত্ত্বেও হিটলার ও তার নাৎসিদের শান্ত করার আশায় প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবুর্গ হিটলারকে চ্যান্সেলর (প্রধানমন্ত্রী) নিযুক্ত করেন।

পরের বছর অর্থাৎ ১৯৩৩ গোড়ায় নাৎসিরা রাইখস্ট্যাগ তথা সংসদ ভবন পুড়িয়ে দেয়। হিটলার দোষারোপ করেন কমিউনিস্ট পার্টিকে। কমিউনিস্টরা তখন জার্মানিতে একটা শক্তিশালী দল ছিল এবং তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল। মারিনিয়াস ভ্যান ডার লুবে নামের একজন ওলন্দাজ কমিউনিস্টকে গ্রেফতার করা হয়। দাবি করা হয়, সে নাকি অগ্নিসংযোগের স্বীকারোক্তি করেছিল।

হিটলার প্রেসিডেন্টকে একটা অধ্যাদেশ জারি করতে বাধ্য করেন, যে অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো কারণ না দেখিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা সরকারকে দেয়া হয়। ব্যাপক অভিযান চালিয়ে নেতৃস্খানীয় কমিউনিস্টদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। নাৎসি পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশায় হিটলার ১৯৩৩ সালের ৫ মার্চ আবার সাধারণ নির্বাচন দেন। কিন্তু হিটলারের আশা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্রুদ্ধ হিটলার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ এবং কমিউনিস্ট সদস্যদের সংসদের অধিবেশনে যোগদান অবৈধ ঘোষণা করেন।

এর ফলে রাইখস্ট্যাগের ওপর নাৎসিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই রাইখস্ট্যাগ একটা বিশেষ ক্ষমতা আইন পাস করে ‘সংসদের অনুমোদন ছাড়াই নতুন আইন করার অধিকার’ চ্যান্সেলর হিটলারকে দেয়। মে মাসে হিটলার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে এবং জুন মাসে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে অবৈধ করেন। ১৯৩৩ সালের ১৪ জুলাই নাৎসি পার্টি ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়ে যায়। রাইমার রিপাবলিকের আমলে অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত সময়ে জার্মানিতে আর কোনো নির্বাচন হয়নি।

প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবুর্গ ১৯৩৪ সালের ২ আগস্ট মারা যান। চ্যান্সেলর হিটলার রাষ্ট্রপতির সব ক্ষমতা নিজের হাতে নেন এবং নিজেকে ফুয়েরার (নেতা) বলে ঘোষণা করেন। নির্দেশ জারি হয়, সেনাবাহিনীকে ব্যক্তিগতভাবে হিটলারের প্রতি আনুগত্যের শপথ নিতে হবে। হিটলার কখনোই জার্মানি জাতীয় সেনাবাহিনীকে পছন্দ করেননি; তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল প্রথমে ব্রাউন শার্টদের ওপর এবং পরে নাৎসি বাহিনীর এসএস শাখাকে। ঘোষণা হয়, প্রশাসনবিরোধীদের বিনা বিচারে গ্রেফতার করে ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’ অর্থাৎ বন্দিশিবিরে পাঠানো হবে।

সেই সাথে উন্মাদ, সমকামী ও জিপসিদের (বেদে, যাযাবর) সেসব বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়। এসব বন্দিশিবিরেই পরবর্তী সময়ে ইহুদি নিধনযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। হিটলার ১৯৩৩ সালে জোসেফ গোয়েবেলসকে ‘গণশিক্ষা ও প্রচারমন্ত্রী’ নিয়োগ করেন। সংবাদপত্র ও পুস্তকের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। নির্দেশ জারি হয়, নাৎসিদের সমালোচনামূলক কোনো কিছু প্রকাশ করা যাবে না।

নাৎসিরা সব বিরুদ্ধ মতবাদের নিন্দা ও তাদের ‘আর্য রক্তের শ্রেষ্ঠত্ব’ প্রচারের জন্য সস্তা রেডিও তৈরি করে সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যবস্খা করে। নাৎসি প্রচারণামূলক বহু চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়। পুস্তক পোড়ানোর কর্মসূচি নাৎসিরা ১৯৩৩ সালেই শুরু করেছিল। সব লাইব্রেরিতে তল্লাশি চালিয়ে যেসব বই তারা আপত্তিকর মনে করেছে সেগুলো রাস্তায় স্তূপাকার করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্খাকে নাৎসিরা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

স্কুলে শিশুদের নাৎসি মতবাদে দীক্ষিত করা হয়েছে, নাৎসিদের লেখা ইতিহাস বই তাদের পড়ানো হয়েছে, নাৎসি বর্ণবাদী দর্শন পড়ানো হয়েছে তাদের। স্খান, কাল ও কিছু নাম পরিবর্তন করা হলে সে পরিস্খিতির সাথে আজকের বাংলাদেশের আশ্চর্য মিল লক্ষ করা যাবে। কিছু মিল নিচে উল্লেখ করা হল #হিটলারের সময়ের মত াবরোধীদলের নেতাকে গ্রেফতার # ব্যাপক অভিযান চালিয়ে নেতৃস্খানীয় কমিউনিস্টদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। ঠিক সেভাবে এখন একটি প্রতিষ্টিত দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হবে বলা হচ্ছে #প্রশাসনবিরোধীদের বিনা বিচারে গ্রেফতার করে ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’ অর্থাৎ বন্দিশিবিরে পাঠানো হবে। এখন বাংলাদেশেও িবচার ছাডা রিমান্ড এবংজেলে নেয়া হচ্ছে।

#তখন যেমন সংবাদপত্র ও পুস্তকের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয় ঠিক এখনও েতমন সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে এবং সংবাদ প্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে। #তখন ঘোষনা করা হয়েছিল কেউ তাদের সমালোচনা করতে পারবেনা ঠিক সরকার এখন সেরকম আচরন করছে। কোন সমালোচনা করলেই রাজাকার। চাই তা ঠিক হোক আর মিথ্যা হলে তে কথাই নেই। #হিটলার যেমন জাতীয় সিনাবাহিনীকে বিশ্বাস করতে পারেনি ।

এই সরকারৌ পারছেনা। #ছাত্রলীগ , যুবলীগত নাৎসি বাহিনীর মত আচরন করছে। অথচ সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। আমরা তরুনরা এটা দেখার জন্য ভোট দেইনি । দিয়েছি দেশকে দূর্নীতি মূক্ত ,নিরাপদ,সামপ্রদায়িকতা মূক্ত সোনার বাংলাদেশ গডার জন্য।

দয়া করে অনুরোধ করব কেউ এই লেখাকে পলেটিকালি সমালোচনা না করে তথ্য ও তত্ত্ব ভিত্তক করবেন । তাহলে আমাদের মত তরুনরা কিছু জানতে পারবে এবংশিখতে পারবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।