আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অামরা কোথায় ?



বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ভোলা উপনির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ না হলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করা হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশনকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দেড় বছরে সরকার দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে পারেনি। বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়নি। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার ওয়াদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

টেন্ডারবাজি, হামলা, খুন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে সারা দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীন। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে পূরণ করা না হলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। গতকাল রোববার খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। বিএনপি খুলনা বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে খুলনা-২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, বেগম সারোয়ারি রহমান, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মঈন খান, সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ প্রমুখ। বেগম জিয়া বলেন, ভোলার উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মেজর হাফিজের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর তুলনা হয় না।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারা দেশের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। সেখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ও সরকার মিলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করছে। বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেন, বিএনপির আমলে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কম ছিল। চাল ছিল ১৫ টাকা কেজি, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের সময় ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

আর এখন আওয়ামী লীগ আমলে চাল কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকায়। অথচ তারা নির্বাচনের আগে বলেছিল, ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, বিনা মূল্যে সার দেবে এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। অথচ গত দেড় বছরে তারা কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। এখন মন্ত্রীরাই বলেন, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। খালেদা জিয়া বলেন, ‘এ অবস্থায়ও বিএনপিসহ চার দল এখনো কোনো আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।

আমরা তাদের সময় দিয়েছি, তারা যেন ভালোভাবে দেশ চালায়, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দলের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ টেন্ডারবাজি করছে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কোনো ব্যবস্থা নেননি। ’ বিডিআর বিদ্রোহকে গভীর ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকারকে একদিন জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এ দেশের কোনো মানুষ এতজন সেনা কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করতে পারে না। ঘটনার সময় পিলখানায় সেনাবাহিনীকে ঢোকার অনুমতি না দেওয়া ও ঘটনার সঠিক তদন্ত হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, এতে সরকারি দলের অনেকে জড়িত আছেন।

বেগম জিয়া বলেন, ‘বিএনপির সময় বিদ্যুতের অবস্থা ভালো ছিল। আমরা জাতীয় গ্রিডে এক হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নতুন সংযোজন করেছিলাম। আমাদের সময় নয়টি বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার গত দেড় বছরেও বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে পারেনি। ’ ভারতের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর, ট্রানজিট, করিডরসহ ভারতকে সবকিছু দিয়ে এসেছেন।

কিন্তু তাঁর বাবার চুক্তি অনুযায়ী তিনবিঘা করিডর ফেরত আনতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সংসদে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। সংসদকে মাছের বাজার ও চিড়িয়াখানা বানানো হয়েছে। সত্য কথা বলায় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে সারা দেশে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ’ খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর আমলে খুলনার উন্নয়ন হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করা হবে।

আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বাঁচাতে তিনি অবিলম্বে সরকারের প্রতি দুর্গত এলাকায় বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। সমাবেশে নড়াইলের লোহাগড়া থেকে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির জন্য আজ সোমবার সারা দেশে দলীয়ভাবে শোক দিবস পালন ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা বলেন বেগম জিয়া। তিনি বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে টানা প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন। জয়নাল আবদিন বলেন, ‘আমি সংসদে চোরকে চোর বলেছিলাম বলে সারা দেশে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ধর্ম নিয়ে খেলা মানে আগুন নিয়ে খেলা করা।

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, দয়া করে এ নিয়ে খেলা করবেন না। সমাবেশ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলে। সমাবেশস্থলের আশপাশে প্রায় সাড়ে ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর থেকেই খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন ও নেতাদের ছবি নিয়ে মিছিলসহকারে সমাবেশে যোগ দেন। বেলা তিনটার মধ্যে শিববাড়ি মোড়, কেডিএ এভিনিউ, নিউমার্কেট ও সোনাডাঙ্গা মসজিদ সরণিতে ভিড় বাড়তে থাকে।

প্রায় তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে------------ প্রথম অালো রাজনীতিবিদরা যখন গদিতে থাকেন তখন চোখে দেখেন একরকম। আবার ক্ষমতার বাইরে থাকলে আপনারা হন আর এক রকম। আরা মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে না পারলে একেবারে যেন বেকার হয়ে যায়। ফকিরের মত হয়ে যায়। মনে হয় যেন তাদের ভিক্ষে করে করে খাোয়া ছাড়া আর কোন রুজি রোজগারের পথ খোলা নেই।

এজন্য এরা যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের পিছে একেবারে ক্ষেপা চারপেয়ে প্রাণীর মত লেগে থাকে, কখন তার মুখ থেকে কেড়ে নেয়া যাবে সে আশায় পাগোল হয়ে যায়। আপনারা বড় দুই দল আমাদেরকে সেভাবেই মূল্যায়ন করতে শিখিয়েছেন।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।