আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিনি হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী

চলো আবার সবুজ গড়ি

(চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র খুন)। প্রিয় সহপাঠী আসাদ আর নেই চিকিৎসকের এই ঘোষণা শোনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ বন্ধুরা কান্নায় ভেঙে পড়েনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্র খুন হয়েছেন। তাঁর নাম মো. আসাদুজ্জামান। তিনি হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী। (কৃতজ্ঞতায় সফট আইটি) মানুষ মরে গেলে অনেক কষ্ট লাগে।

আর সে যদি হয় খুন তাহলে ব্যাথায় মনে হয় কলিজা ফেটে যাওয়ার জোগার। সে ছাত্রলীগ করতো। এটা তার কোনো দোষ নয়। হয়টো সে কখনো সঠিক গাইড পায় নি তাই করতো এমন অবাধ্যদের একটি দল। হয়টো নেতৃবৃন্দের অযোগ্যতার কারনে এবং হীংস্র আধীপত্যবাদী আক্রোশের কারনে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

কিন্তু তাই বলে বিরোধীদের আনন্দ প্রকাশের মাত্রা আমাকে ভাবায়। প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জোবরা গ্রামের অধিবাসী লিটন গত ১৪ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখতে চবি ক্যাম্পাসে আসে। ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী অগ্রণী ব্যাংকের সামনে লিটনের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। লিটন তাদের বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা লিটনকে বেধড়ক মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরে এলাকাবাসী লিটনের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের পহেলা বৈশাখ রাত থেকে ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় খুঁজতে থাকে।

এদের মধ্যে পরিসংখ্যান বিভাগের আসাদ নামের এক ছাত্রকে খুঁজছিল। বৃহস্পতিবার রাতে চবি রেলস্টেশন সংলগ্ন শাহী মঞ্জিল কটেজের সামনে আসাদ ও আরও কয়েক ছাত্র আড্ডা দিচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন এসে লিটনের ওপর হামলাকারী আসাদ সন্দেহে আসাদ ও অন্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন ছুরি দিয়ে আসাদের পায়ের মাংস কেটে দেহ থেকে আলাদা করে ফেলে। আসাদকে আহত করে স্থানীয় লোকজন চলে গেলে কটেজে অবস্থানরত অন্য ছাত্ররা তাকে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।

কিন্তু সেখানে সে সময় কোনো ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। অ্যাম্বুলেন্স চবি ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর মোঃ তৌহিদকে বাসায় পৌঁছে দিতে ব্যস্ত ছিল। প্রায় এক ঘণ্টা পর ডাক্তার ও চিকিত্সক এনে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ দীর্ঘ সময় আসাদের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। চমেক হাসপাতালে তাকে ১০ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

(আমার দেশ ) আমি নিজেও এদের কর্মকান্ডে খুব বিরক্ত। কিন্তু কারো প্রাণ গেলে আমি উচ্ছাসিত হইনা... আমি আনন্দিত হইনা... আমিও ভালোবাসি আমার ভাইকে। হোক সে খারাপ মানুষ... কিন্তু মানুষের প্রাণের কি কোনো মূল্য নেই?? সকালে সংবাদটা পড়েই কলিজার মধ্যে খচ করে উঠলো... সেই সন্তানদের হাতেই হয়তো অন্য কারো মায়ের বুক খালি হয়েছিল... আর আজ তাদেরই কোনো এক মায়ের বুক খালি হলো... মা তো মা'ই... হোক সে ঈমানদার আর বেঈমান... সতী আর পতীতা... গৃহীনি আর চাকুরিজীবি... সব কিছুর পরেও সে মা... চাইনা কোনো মায়ের খারাপ কিবা ভালো সন্তানের প্রাণ যাক... চাইনা কোনো বন্ধুর খারাপ কিবা ভালো সহপাঠির প্রাণ যাক... চাইনা আমার ভালো কিবা খারাপ কোনো ভায়ের প্রাণ যাক... চাইনা এদেশের ভালো কিবা খারাপ কোনো নাগরিকের প্রাণ যাক...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।