আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একি হাল বাংলাদেশের রাজনীতির ??

সচেতন নাগিরকের প্রত্যাশায়

কাছে এলে ভালো লাগে, দুরে গেলে পুড়ি আগুনে। বাংলাদেশের ক্রান্তি লগ্নে ছাত্র, সিপাহি, জনতা সবাই একযোগে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবন বাজী রাখে। সবারই সীমাহীন ত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন দেশে বাস করেছি। কিন্তু যেসব কারণে দেশ স্বাধীন করার তাগিদ অনুভূত হয় তা কি আজো পূরণ হয়েছে। না হয় নি।

হবে কিভাবে ? 'চোরের বাড়ীতে কি দালান উঠে ?' উঠে না বলেই তো স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, " আমার চার পাশে সব চোরের দল, সবাই এটা সেটার খনি পায় আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। " তাইতো চোরের খনিতেও দালান গড়ে উঠেনি। আর তখন এসব চোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠায় স্বাধীনতার যুদ্ধে এসব চোরদেরই সহযোদ্ধারা, যারা তখনো স্বাধীনতার চেতনায় বলিয়ান ছিল। যারা একত্রে থেকে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। চোরের দলেরা এসব প্রতিবাদী কন্ঠগুলোকে হত্যা, দমন-নিপিড়ন করতে একটুও দ্বিধা করেনি।

আর এসব প্রতিবাদী কন্ঠগুলো তৎকালীন বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু দেখেন আজ আবার তারাই ঐসব বামপন্থী রাজনৈতিক দল গুলোকে কাছে নেয়। আপনারা ভাবছেন, অতীতের ভুল শুধরাতে ? মোটেও না, শুধুমাত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লোভে। এ রকম উদাহরণ আরো আছে। বাংলাদেশের স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল এরশাদের ৮৬ র নির্বাচনকে সবাই যখন বর্জন করে, তখন হঠাৎ করেই ঐ ক্ষমতার লোভীরাই সে নির্বাচনে অংশ নেয়।

তাদের মতাদর্শ ছিল অনেকটা এ রকম,' ক্ষমতায় যেতে না পারি অন্তত ক্ষমতার কাছাকাছি থাকি। ' পরবর্তীতে আবার সেই লোভেই ৯০ তে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে অন্যান্য দল গুলোর সাথে যোগ দেয়। শুরু হয় নতুন বাংলাদেশে নতুন পথ চলা। আবার লোভ । এবার লোভ চরিতার্থ করার জন্য কাছে টেনে নেয় জামাত শিবিরকে।

ক্ষমতার মোহবিষ্ট হয়ে মানবতা বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে তারা নতুন প্রেক্ষাপট তৈরী করে। এবার তারা শতভাগ সফল। আর ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা নয়, এবার পুরো ক্ষমতাই হাতের মুঠোয়। ঝেড়ে ফেলে মানবতা বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের সহযোদ্ধাদের। রাজনৈতিক পট পরবর্তনের ফলে এরা ক্ষমতা হারায়।

আবার মরিয়া হয়ে উঠে ক্ষমতার পরশ পেতে। তাইতো সাথে নেয় সেই স্বৈরাচার শাসক জেনারেল এরশাদকে, সাথে নেয় সেই বামপন্থী দলগুলোকে। এদের সবার সাথে কিছুদিন আগেও সামনা সামনি দেখা করাও যেন এদের কাছে পাপ মনে হত। শুধু পাপই না মহাপাপ। আজ এদেরকে নিয়েই তারা ক্ষমতায়।

এবার তারা ক্ষমতায় থেকে লেগে পড়ে এক কালের মানবতা বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের সহযোদ্ধা জামাত শিবিরের উপর। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে। কিন্তু ক্ষমতাকে উপভোগ করার জন্য এককালে তারা বামপন্থী দল গুলোর উপর প্রয়োগ করেছিল যে রাজনৈতিক হাতিয়ার, এটাও যে সে রাজনৈতিক হাতিয়ার নয় এর নিশ্চয়তা কেউ কি দিতে পারবেন ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।