আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোলিশ রাষ্ট্রপতির বিমান দূর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার



পোলিশ রাষ্ট্রপতি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেলেন। তার সাথে মারা গেলেন সরকারের আরও উচ্চ পদস্থ কর্মচারি ও কর্মকর্তা। এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে পোলিশ রাষ্ট্রপতির বিমানটি যে দূর্ঘটনা গ্রস্থ হতে পারে তা চিন্তা করাও যায় না। যেখানে একটি সাধারণ যাত্রী বাহি বিমানের হাজারটা চেকিং এর পর উড্ডয়নের ছাড় পত্র মেলে সেখানে পোলিশ রাষ্ট্রপতির বিমানটি যে কোনো ধরনের চেকিং ছাড়া চলবে তা তো ভাবাই যায় না। এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রই মনে হচ্ছে।

ষড়যন্ত্রের কারণও আছে। পূর্ব ইউরোপের দুটি দেশ হচ্ছে পোল্যাণ্ড ও চেক রিপাবলিক। এদের সাথে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। দেশ দুটি রাশিয়ান আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা মূলক বূহ্য তৈরি করতে চায়। রাশিয়া মার্কিন সরকারের এ পরিকল্পনা তীব্রভাবে বিরোধ করে।

পাশাপাশি রাশিয়া পোল্যাণ্ড সরকারকে এ বিষয়ে সর্তক করে এই বলে যে তারা যেন মার্কিন এ পরিকল্পনায় কোনো সায় না দেয়। নিহত রাষ্ট্রপতি ও তার সরকারের সেনা প্রধানরা ছিল মূলত রাশিয়ান বিরোধী। তারা মার্কিন এ পরিকল্পনায় সায় দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় বারাক ওবামা সম্প্রতি রাশিয়া সফরে করার আগেই এ ঘোষণা গুলো আসে। কি কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার এই বৃহৎ পরিকল্পনা থেকে সরে আসল তা পরিস্কার নয়।

ইরানের ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা,উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা ইত্যাদি ব্যপারে রাশিয়াকে এই বলে চাপ দিত যে আমার কথা মত কাজ না করলে আমি পোল্যাণ্ডে প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপনাস্ত্র মোতায়েন করব। এখন পোল্যাণ্ড যদি নিজে থেকেই মার্কিন এ পরিকল্পনার অংশ থেকে বেরিয়ে যায়। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পোলিশ সরকারকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এ হত্যাকাণ্ড করবে না তার গ্যরান্টি কি? অন্যদিকে এমনও হতে পারে রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে একটি বোঝাপড়া করে ফেলেছে। এখন পোল্যাণ্ড চাইলেও সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো কিছু মোতায়েন করবে না। এর ফলে রাশিয়া পোলিশ সরকারকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে একটি শিক্ষা দিল।

তবে যাই হোক। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে। হয়ত কোনো একদিন এ ঘটনা সকলের কাছে উন্মোচিত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।