আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সড়ক থানা হাসপাতাল পানিতে থৈ থৈ

টঙ্গীর সরকারি হাসপাতাল ও টঙ্গী মডেল থানার পাশাপাশি বিভিন্ন নিচু এলাকায় বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নাওজোর মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. ইকবাল হোসেন জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিতে জমা পানি না সরতেই শুক্রবার ভোর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা টানা বৃষ্টি হয়েছে গাজীপুরে। ফলে সদর উপজেলার ভোগড়া, চৌধুরীবাড়ি, ঢাকা-বাইপাস, বাসন সড়ক, মালেকের বাড়ি, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কের বহু স্থানে হাঁটু পানি জমে যাওয়ায় গাড়ি চলছে ধীর গতিতে।

এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
টঙ্গী থানার এসআই মালেকা বানু জানান, টঙ্গী থানা ও পাশের টঙ্গী হাসপাতালেও পানি ঢুকে পড়েছে।
ভোগড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আতাউর রহমান বলছেন, মহসড়কের নিচে মোগর খালের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
“ক্ষেতে পানি আটকে কেউ কেউ মাছ চাষ করায় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বৃষ্টি হলেই মহাসড়ক ও আশে-পাশের এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে।


দুই দিনের বৃষ্টিতে জমা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে কাঁচা ঘর-বাড়ি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
কলকারখানা ও গৃহস্থালীর বর্জ্য আটকে যাওয়ায় ড্রেনগুলো থেকে পানি বের হতে পারছে না জানিয়ে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ” 
এদিকে সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও বাসযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।  
ভোগড়া এলাকার স্টার লাইট সোয়েটার কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, সকালে তাকে কারখানায় যেতে হয়েছে হাঁটুপানি ঠেলে। একই রকম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্যাগাসাস সু কারখানার শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক।


গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান হুমায়ুন কবির বলেন, ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে। বৃষ্টি কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।