আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেলাইট সেভিংস পদ্ধতি বাতিল ভুল সিদ্ধান্ত



আজব আমাদের দেশ বাংলাদেশ । বিশ্বের বহুদেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার জন্য দিনের আলো সংরক্ষন সময় পদ্ধতি (ডেলাইট সেভিং টাইম) করা হয় । দেরীতে হলেো আমাদের দেশে এই পদ্ধতি চালু হয়েছিল। সরকারি হিসাবমতে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে দিয়ে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। যেখানে আমাদের দেশে বিদ্যুতের প্রচন্ড সমস্যা সেখানে সরকারের ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ বিষয়। সরকার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কেন শুধু শুধু অপচয় করবো। বিভিন্ন মহলের আপত্তি, বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে মন্ত্রিসভা ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে। অষ্ট্রেলিয়া, কানাডার মত বড় বড় দেশে সমস্যা না হলেও আমাদের দেশে কেন সমস্যা হচ্ছে এটা আমার মাথায় আসেনা।

নতুন কোন কিছু চালু হলে একটু সমস্যা হবে। তাই বলে সেটা বাতিল কেন করতে হবে সেটাই আমার প্রশ্ন। সবচাইতে বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে আমাদের পুরাতন কে ধরে রাখার মানসিকতা। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই কিন্তু এই সামান্য সমস্যা মেনে নিতে পারিনা। আর সমস্যাই বা কেন? যেদিন ডেলাইট সেভিংস হিসাবে ঘোষনা করা হবে সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির কাটা এক ঘন্টা এগিয়ে বা পিছিয়ে নিলেই হলো ।

সমস্যা হলে ঐ এক দিনই হতে পারে। এর পর থেকে আগের সময় মনে রাখার কোন কারন নেই। এক ঘন্টা আমাদের শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করে তা নয়। আমাদের কাজের গতিও অনেক বাড়িয়ে দেয়। চিন্তা করে দেখেন শীত কালে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সকাল হয় তাড়াতাড়ি আর সন্ধ্যা লাগে দেরীতে।

আমরা অনেকেই ভোরবেলাতে বিদ্যুত জ্বালিয়ে কাজ করি। কিন্তু আমাদের ঘড়ির কাটা যদি এক ঘন্টা এগিয়ে থাকে তবে সকাল ৫টার সময় সকাল ৬টা বাজবে। তখন সূর্যো উঠে পড়বে। ফলে আমাদের আর লাইট জ্বালিয়ে কাজ করতে হবে না। আবার গরমকালে সূর্য ডোবে দেরী করে।

তো তখন আমরা দেরী করে কাজ শুরু করলেো সমস্যা হয় না। আমরা শুধু নিজেদের সমস্যার কথা চিন্তা করি। কিন্তু এই এক ঘন্টার জন্য দেশের কত উপকার হচ্ছে সেটা নিয়ে আমরা ভাবিনা। ডেলাইট সেভিংস পদ্ধতি বাতিল ভুল সিদ্ধান্ত

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।