আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাদ্দাফির যৌনাচার!

আমি সত্য বলতে চাই।

লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মোয়াম্মার গাদ্দাফি স্কুলছাত্রীদের অপহরণ করে এনে যৌনদাসী হিসেবে নিজের আস্তানায় রাখতেন বলে তার ওপর প্রকাশিত একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। লিবিবার সাবেক এ লৌহ মানবের নির্যাতনের শিকার উপকূলীয় সিরতে শহরের স্কুলছাত্রী সোরায়া (ছদ্মনাম)। ১৫ বছর বয়সে তাকে অপহরণ করে ত্রিপোলির বাইরে একটি দুর্গে পাঁচ বছর আটক রাখা হয়। তিনি বলেছেন, তাকে প্রায় নিয়মিতভাবে ধর্ষণ, মারধর ও অত্যাচার করা হত।

তার মতো অন্য মেয়ে ও ছেলেরাও গাদ্দাফির নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ‘গাদ্দাফির হারেম: এক তরুণ নারী ও লিবিয়ার ক্ষমতার অপব্যবহারের গল্প’ (গাদ্দাফি’স হারেম : দ্য স্টোরি অব এ ইয়াং উইমেন অ্যান্ড দ্য অ্যাবিউজ অব পাওয়ার ইন লিবিয়া) নামের একটি বইয়ে উঠে এসেছে গাদ্দাফির যৌনলোলুপ চরিত্র! ২০০৪ সালে সিরতে শহরে সফরের সময় গাদ্দাফিকে ফুলের তোড়া দিয়ে ‘সম্মান’ জানানোর দায়িত্ব পড়েছিল সোরায়ার। ওই অনুষ্ঠানেই ৮ সন্তানের বাবা গাদ্দাফির চোখ পড়ে সোরায়ার ওপর। ২০০৯ সালে সোরায়াকে মুক্তি দেন গাদ্দাফি। কিন্তু বিবাহ বহির্ভূতভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ায় তার পরিবারের জন্য তিনি লজ্জার ব্যাপার।

২০১১ সালে গৃহযুদ্ধে গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর নিজেকে মুক্ত মনে করেন সোরায়া। ফরাসি লা মঁদের সাংবাদিক অ্যানিক কোজেনের বইটির এক লাখেরও বেশি কপি এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছর ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত বইটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কাজ চলছে। আগামী মাসে এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ হতে পারে। কোজেন আরও বলেছেন, তার যেসব নারী দেহরক্ষী ছিল, তারা আসলে অস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞানহীন উপপত্নী ছিল তার।

গাদ্দাফির দুর্গে মেয়েদের সরবরাহকারী এক নারীর সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়েছে বইটিতে। অ্যানিক কোজেন বলেছেন, শুধু মেয়েরাই নয়, পুরুষ ও ছেলেরাও গাদ্দাফির নির্লজ্জ আচরণ থেকে রেহাই পাননি। এমনকি তার দেশে সফরত তারকা, সাংবাদিক ও বিদেশি কর্মকর্তাদের স্ত্রীদেরও ‘প্রস্তাব’ দিতেন গাদ্দাফি। ২০১২ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নিহত সানডে টাইমসের সাংবাদিক ম্যারি কোলভিনকেও গাদ্দাফির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য ত্রিপোলি সফরে তার রক্ত পরীক্ষা করার জন্য সুঁচ নিয়ে এসেছিলেন এক নার্স ।

কিন্তু রক্ত দিতে অস্বীকৃতি জানান কোলভিন। কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার আগে তার রক্ত পরীক্ষা করে নিতে গাদ্দাফি সুত্র

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।