আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাডসন স্ট্রিটের সুন্দরী এবং [ দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব ]



আমি স্পষ্ট দেখতে পেয়েছি তুমি কিছু একটা ভাবছিলে এবং তা ইমপোর্টেন্ট কিছু। -যদি ভেবেও থাকি,সব কথা কি সব সময় বলা যায়? -গোপন কিছু? -নট এ্যাকজ্যাক্টলি। -তা হলে বলতে দোষ কি? -তুমি বত্তিচেল্লিকে জানো? -বত্তিচেল্লি! -বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। -কে না জানে? -তাকে নিয়েই ভাবছিলাম। -তাকে নিয়ে ভাবছিলে! হঠাৎ, সব থাকতে বত্তিচেল্লি! -এককভাবে শুধু তাকে নিয়ে নয়,ব্যাপারটায় তুমিও জড়িয়ে আছ।

-তার মানে? -মানে,আমি ভাবছিলাম ঐ বেটা শিল্পী নিশ্চয়ই তোমার মতো কারো দেখা পেয়েছিল না হলে ওরকম চিত্র.... -আমার মতো মানে! -মানে তোমার মতো সুন্দরী। - ফ্লাটারি হচ্ছে! -না,ফ্লাটারি নয়। যথার্থই বলছি,তোমার মতো সুন্দরী কালেভদ্রে দেখা যায়। -তুমি দুষ্ট জানতাম,কিন্তু এতোটা ভাবিনি। মুখে যাই বলুক অ্যানিটা যে খুব খুশী হয়েছে তা তার চেহারার রং বদল থেকেই বুঝতে পারি।

তার ফর্সা সুন্দর মুখটিতে ডকুতে দেখা হৃৎপিন্ডে পাম্প করা রক্তের মতো রক্তের রং লেগে যায়। যা দু'চোখ ভরে শুধু দেখাই যায়,আর মনে মনে ভাবা যায় এই অসম্ভব সুন্দরের সামনে নতজানু হয়ে কেন বসে থাকি না। সময় যেন হঠাৎই স্থির হয়ে যায়। আমি নিজের ভেতরে আত্মস্থ হয়ে টের পাই এ মেয়েটি নিজের অজান্তেই কখন যেন আমার ভেতরে ঠাঁই করে নিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টি ওর কাছে কিভাবে ব্যক্ত করি ,আর সব বিষয়ে আমি যথেষ্ট স্বতঃস্ফুর্ত হলেও এই বিষয়ে আমি যে বড় বেশী ইনট্রোভার্ট।

'তুমি যা ভাবছো,তা ব্যক্ত করতে পারছনা ,তাইতো?' শুনে আমার চমক ভাঙে। ভাবি এই মেয়েটি কি অন্তর্যামী নাকি! তবে নিজেকে সামলে নিয়ে বলি,'ঠিকই ধরেছ তুমি, এ মুহূর্তে আমি যা ভাবছি তা ব্যক্ত করতে পারছিনা কেন জানি। ' -কোনো কিছুই অব্যক্ত রাখা ঠিক নয়। এবং তা বিজ্ঞানসম্মতও নয়। তবু কেন জানি আমার কুন্ঠা দূর হতে চায়না।

সে-ই বরং এগিয়ে আসে,বলে,'তুমি সুনিদ্দিষ্টভাবে আমাকেই কিছু বলতে চাও? আমি মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিই। নিজেকেই বলি,'দেখ রুদ্র,একটা মেয়ে এতোটা এগিয়ে আসতে পারলে তুমি কাপরুষের মতো নিজের ভেতরে গুটিয়ে থাকবে? তুমি না নিজেকে আবার খুব স্মার্ট ভাবো। ' শেষতক সাহস সঞ্চয় করে বলেই ফেলি,'আমি আসলে তোমাকে ভালো ভাসতে শুরু করেছি,অ্যানিটা। -আমাকে নাকি আমার শরীরকে? হতচকিত আমি বলি,' কি বলছ তুমি অ্যানিটা!' -আরো স্পষ্ট করে বলি,লভ উইথ সেক্স অর উইথআউট সেক্স? এ কি উদ্ভট প্রশ্ন! নিষ্কাম ভালোবাসা কি হয়? প্লেটোনিক লভ বলে একটা বিষয় তাত্ত্বিকভাবে আছে বলে জানি, কিন্তু বাস্তবে কি আছে? আমার মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে। হঠাৎ আমার সামনে ফ্রয়েড মশাই এসে দাঁড়ান,তিনি বলেন,নিষ্কাম ভালোবাসা বিষয়টাই ভেগ।

আমি বলি,আমি এখন কি করি গুরু? তিনি বলেন, 'অবশ্যই সেক্স উইথ লভ। ' ফ্রয়েড মশাই উধাও হলে আমি ভাবি নিস্কাম ভালোবাসা শুধুমাত্র তাত্ত্বিক না হয়ে বাস্তবেও থাকতে পারে কিন্তু এ সব নিঃসন্দেহে মহামানবদের জন্য,আমার মতো অতি সাধারণ জনের জন্য নয় নিশ্চয়ই। না,লভ উইদআউট সেক্স কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমি এতোক্ষণে লক্ষ্ করি অ্যানিটা খুব তীক্ষ্ণভাবে আমাকে পর্যবেক্ষণ করছে। আমি অনেকটা অসহায়ের মতো তার দিকে তাকিয়ে থাকি।

সে-ই নিরবতা ভাঙে,'কি সিদ্ধান্তে আসলে?' -আমি অনেক ভেবে দেখলাম আমি তোমাকেই চাই,তবে রক্তমাংসের তোমাকে বাদ দিয়ে নয়। -তার মানে লভ উইথ সেক্স? -হ্যা,তাই। মুহূর্তে তার মুখটি ঘন আঁধারে ছেয়ে যায়। আমি শংকিত হয়ে উঠি। প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে অ্যানিটা বলল,'গ্রান্ডপাকে আমি তোমার কথা বলেছি।

গ্রান্ডপা তোমার সাথে দেখা করার জন্য,কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। ' -তাহলে চলো,উঠা যাক। -হ্যাঁ,উঠবো,তবে পাঁচটা বাজতে এখনো দশ মিনিট বাকি। আমার খেয়াল ছিলনা অ্যানিটার কাজের সময় পাঁচটা অবধি। বললাম,স্যরি! -দ্যটস ওকে।

অ্যানিটা প্রস্তুত হয়েই ছিল। পাঁচটা বাজতেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম। চারদিকে ঝকঝকে রোদের প্রবাহ। বৃষ্টিহীন মেঘহীন নির্মল আকাশ। অ্যানিটার বিশাল ডজ গাড়িটির রং গাঢ় নীল।

সে দরজা খুলে দিয়ে অপর পাশে ড্রাইভিং সিটে উঠে বসল। পার্কিং থেকে গাড়ি বের করে রাস্তায় নেমে সে বলল,'লক্ষ করেছ এ বছর গ্রীষ্মে তেমন একটা গরম পড়েনি। প্রায় দিনই বৃষ্টি অথবা মেঘলা। আমেরিকার আবহাওয়া কেমন বদলে যাচ্ছ দেখেছ? -হ্যঁ,বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা,ঝড় এসবও এখন সাধারণ ঘটনা। -গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফল নাকি গ্রীণ হাউজ এফেক্ট? -যা-ই হোক এসবের জন্য আমরা মানে এই মনুষ্য প্রজাতিই দায়ী।

-ঠিক বলেছ। -আমাদের দেশ মানে বাংলাদেশ হচ্ছে বৃষ্টি-বাদলের দেশ। বিশেষ করে এই জুন-জুলাই-আগষ্টে প্রচুর বৃষ্টি হয়। নদীগুলো ভরে যায় পানিতে। বন্যাও হয়।

অথচ এ বছর বৃষ্টি নেই। এই বর্ষা মৌসূমেও। সুতরাং পরিবর্তনটা শুধু আমেরিকায় নয় এটুকু বলা চলে। -তাই তো দেখছি। দেখতে দেখতে অ্যানিটা একটি চমৎকার ছিমছাম ইটের বাংলো টাইপের বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালো।

সামনের ছোট্ট লনটি ভরে আছে গ্রাস-কাটারে কাটা সবুজ ঘাসে আর নানা রকম ফুলে। দু'পাশে সবুজ রেখে মাঝ দিয়ে এক চিলতে পিচ রাস্তা ঘরের দরজা অবধি বিস্তৃত। চারপাশে ঝকঝকে তকতকে পরিপাটি অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য। মুহূর্তে ভলোলাগা এনে দেয়। দরজার কাছে এসে কলিংবেল টিপে ধরে অ্যানিটা।

খানিকক্ষণ পর যিনি এসে দরজা খুলে দিলেন তাকে দেখে অভিভূত হয়ে গেলাম। তাঁর মাথা জুড়ে কাঁচা-পাকা চুল, ভরাট স্বাস্থ্য,আভিজাত্যের জেল্লা সমস্ত অবয়বে। হাস্যোজ্জ্বল,প্রাণবন্ত একজন মানুষ। অ্যানিটা বলল,'আমার গ্র্যান্ডমা! আর এ হচ্ছে রুড্র,যার কথা তোমাকে বলেছি। ' প্রাণবন্ত হাসিতে উজ্জ্বল তিনি বললেন,'হাই রুড্র!" অভিভূত আমিও বললাম,'হাই!' ঘরে প্রবেশ করে আবারো সর্বত্র এ বাড়ির লোকদের রুচির ছাপ লক্ষ করলাম।

রুচি ও আভিজাত্য ছড়িয়ে আছে সবখানে। দেয়ালে পেস্ট করা পিকাসোর আঁকা গোয়ের্ণিকা প্রথমেই চোখ কেড়ে নেয়। আমাকে বসার ঘরে বসিয়ে ক্ষণিকের জন্য ভেতরে যায় অ্যানিটা। যখন সে ফিরে আসে তখন সে প্রায় নিঃশব্দে একটি ট্রলি ঠেলে নিয়ে আসে। ট্রলিতে বসে আছেন উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের এক সৌম্য দর্শন বৃদ্ধ।

তার মাথার চুলগুলো শুভ্র। চোখে বাই ফোকাল হাই পাওয়ার্ড চশমা। তিনি আমাকে দেখে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলেন। তার ভাঙ্গাচোরা মুখে হাসি যেন আর ধরেনা। তিনি বললেন,'ওর মুখে তোমার কথা শুনেছি অবধি তোমাকে দেখার জন্য, তোমার সাথে কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

' আমি তার সম্মানার্থে উঠে দাঁড়াতে দঁড়াতে বললাম,'আমিও আপনার সাথে দেখা করার জন্যে, কথা বলার জন্যে উদগ্রীব হয়ে আছি। ' যেন অনুমোদন করছেন ঐ ভঙ্গিতে বিষণ্ণভাবে মাথা নাড়লেন তিনি,বললেন,'বহু বছর ধরে এরকম কারো সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলাম । যে কিনা আমার এলাকা,আমার জন্মভূমিকে ভালো করে চেনে। ' 'যে দেশটি আমায় বড় করলো তার জন্য কিছুই করতে পারলাম না। স্বার্থপরের মতো শুধু নিয়েই গেলাম।

সেই কত বছর আগে দেশ ছাড়লাম তারপর আর দেশে যাওয়া হলোনা। জানো এখন প্রায়শই বুকের ভেতর হু হু করে। দেশের জন্য, বিশেষত আমার হলদিয়া গ্রাম,তার মাটি,তার হাওয়া,তার জলের জন্য হাহাকার করে। " -আপনার হলদিয়া গ্রামের এখন খুব উন্নতি হয়েছে। রাস্তাগুলো পাকা হয়েছে,বিদ্যুৎ,গ্যাস ও টেলিফোন লাইন হয়েছে।

বাড়িগুলো পাকা হয়েছে,স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা হয়েছে। -শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু আমাদের সেইসব গাছপালা ,ক্ষেত-খামার,পাখি,মাছ,দিগন্ত বিস্তারি মাঠ,হু হু হাওয়া এসব, এসবও আছে তো? -সেইরকম ভাবে নেই। তবে আছে। কেন জানি তিনি বিষণ্ণ হয়ে পড়লেন।

আপন মনেই বিড়বিড় করলেন খানিকক্ষণ। মনে হলো মুহূর্তের মধ্যে আনমনা হয়ে পড়লেন। -পাকা রাস্তা,গ্যাস,বিদ্যুৎ,টেলিফোন তো সারা জীবনই দেখলাম কিন্তু নির্ভেজাল প্রকৃতির সেই অফুরন্ত দৃশ্য ও স্বাদের কি কোনো তুলনা হয়? জানি তুমি হয়তো বলবে এ আমার নষ্টালজিয়া, যাই বলো এ আমার একান্তই নিজের উপলব্ধি,নিজের বোধ। আমার এই নাতনীটি সারাক্ষণ আমাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেশের কথা মনে করিয়ে দেয়। বলে দেখ একদিন তোমার দেশের লোক এসে যাবে তোমার কাছে।

আজ বহুদিন পর মনে হলো আমার দেশের মাটির গন্ধ পেলাম তোমার শরীর থেকে। আমার হলদিয়ার মাটির। বলে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন অশীতিপর বৃদ্ধ আমজাদ আলী,অ্যানিটার গ্রান্ডপা। আর আমার মনে হলো বৃদ্ধ আমজাদ আলীর ছদ্মবেশে অন্য এক বাংলাদেশ কেঁদে উঠছে বাংলাদেশেরই বিরহে। কিছুক্ষণ থেমে তিনি বললেন,'জানো আমি চেয়েছিলাম অ্যানিটাকে নিয়ে বাংলাদেশে যাই,কিন্তু আমার এই পঙ্গুত্ব আর অ্যানিটার এই সংকট এই সাধে বাদ সাধলো।

' -অ্যানিটার সংকট! কি সংকট ওর? -বলেনি বুঝি! তাহলে ও-ই বলবে তোমাকে। আমি যখন বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এলাম অ্যানিটাও বেরিয়ে এলো আমার সাথে। আমার মনে তখন অ্যানিটার গ্রান্ডপার শেষ কথাটা তোলপাড় করছে-অ্যানিটার সংকট। জানি জীবনের সব সংকট কিংবা অভিজ্ঞতা আর পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায় না। তবু কেন জানি নাছোড় এই মন কৌতুহলে উন্মুখ হয়ে ওঠে।

পাশাপাশি চলতে থাকা অ্যানিটাকে বলি,'সব কিছুতে বোধহয় বড় তাড়াহুড়া করে ফেললাম আমি,তোমাকে যদি দুঃখ দিয়ে থাকি ক্ষমা করে দিও আমাকে। ' খুব বিষণ্ণ ভাবে সে বললো,'এখন মনে হচ্ছে তোমাকে সব খুলে বলা দরকার। তার আগে বলে নিই তুমি আসলে খুব ভালো একটি ছেলে এবং অনেকটাই সরল। ' তখনই আমার চোখে পড়লো দূরে রাস্তার ধারে টিলার গায়ে বড় বড় গাছের ঝোপ,তাতে থোকা থোকা ফুটে আছে লাল ফুল। মুখ ফিরাতেই দেখি অ্যানিটা স্তব্ধ হয়ে চেয়ে আছে আমার মুখের দিকে।

কিছুক্ষণ আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে থেকে সে কোনোরূপ ভণিতা না করেই বললো,'গত বছর আমার ফেলোপিয়ান টিউব এবং ওভারি ফেলে দেয়া হয়েছে। ' -বলো কি! পরক্ষণেই সামলে নিয়ে বললাম,'কিন্তু তাতে কি,এ রকম তো অনেকই হয়। ' -আমি আর বেশী দিন অ্যানিটা থাকবো না। -এর মানে কী? বিষণ্ণ হাসলো অ্যানিটা,'বেশ কিছুদিন থেকেই আমার পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছিল। আমিও ধীরে ধীরে টের পাচ্ছিলাম পরিবর্তনটা।

একসময় টের পেলাম আমার জেনিটল অর্গানেও সমস্যা হচ্ছে, কিছু পরিবর্তনও টের পেলাম। আবার আমার অস্ত্রোপচার হলো। ' এবার সত্যি সত্যি বিস্মিত আমি বললাম,'এসব তোমার পরিবারের সবাই জানে? তোমার বাবা-মা,দাদা-দাদী?' -মা ছাড়া সবাই জানে, মা গত হয়েছেন আমি ছোট থাকতেই। -সত্যি আমি দুঃখিত! -দ্যাটস ওকে। -আমার এ অবস্থা দেখা দেবার পর আমার দীর্ঘ দিনের বয় ফ্রেন্ড আমাকে ছেড়ে চলে যায়।

-দুঃখিত অ্যানিটা! এখন তোমার ডাক্তার কি বলছে? -আমার পুরুষ হরমোন নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছলেই আমার শেষ অস্ত্রোপচারটি হবে এবং তখন থেকে আমি আর অ্যানিটা থাকবোনা,হয়তো অন্য কোনো পুরুষ নাম হবে। এখন তুমিই বলো। -কী আশ্চর্য অ্যানিটা, একটি মাত্র জেনিটল অর্গানের জন্য কত হের-ফের হয়ে যায় জীবন। -এটি একটি ফিলসফিক্যাল ট্রুথ। -আমরা বন্ধু থাকতে পারি? -কেন নয়,তোমার মতো একজন বন্ধুকে হারাতে চাইওনা আমি।

-আমিও নয়। অ্যানিটার চোখের কোণে একফোঁটা জল এসে চিকচিক করে যা আমার ভেতরে উপছে উঠা ক্রন্দনকে আড়াল করে দেয়। মনে মনে ভাবি কতো ক্রন্দনও যে এভাবে আড়ালে আবডালে থেকে যায় কে তার খোঁজ রাখে! নিজের অজান্তে আবারো তাকাই,দেখি টিলার গায়ে ফুটে থাকা ফুলগুলি কখন যেন নেতিয়ে গেছে সূর্যের আলো লাল হয়ে আসার আগেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।