মোক্ষম হে গন্ধ, বিশুদ্ধ নাভিশ্বাস, পূত পিপাসা
যে গাছ তোমার ছায়াসঙ্গী আজকেই তা রোপণ করতে পারো
খোলসা হয়ে আসবে রাত, ফোলা চাঁদ অসভ্যের মতো
চীৎকার করে বলবে--মহুয়া মহুয়া...ভালুক নাচাবো তোর দেহে।
যে নাচায় তার কলজে ছিঁড়ে পালালো ভালুক
যেখানে দীর্ঘ ঘুমের আছে প্রয়োজন, গন্ধগোকুলেরা করে উৎপাত--সেখানে।
আসো--আমরা যে গান গাইবো তা মৃত্যুকে মুছে দেবার
যে গান গাইবো তা উপশম দেবে আহত চোখের
যার নৈরাশ্যের কথা বলতে এলাম--সে ঘুমাতে চায়
তার গোঙানীর শব্দে ফাটে কার্পাসখোসা--আমি জানি
এবঙ আরো জানি,
দেয়াল গলিয়ে এসে জোর করে ঢুকে পড়ে ময়লা বাতাস
গড়াতে থাকে মার্বেল শব্দের মত, পূর্ণিমা রাতকে চুমু খেতে খেতে
এই মহুয়া দ্রাঘিমায় বিষন্ন ও সখাকাতর কিছু মানুষ
নির্নিমেষে চাটে চেহারার মধু--নিশ্চিন্তে।
একটু একটু আছড়ে পড়ছে উদ্বেগ, পাশ কাটিয়ে যায়
উল্লসিত জনকোলাহল; জল্লাদের মতো তারা কেটে ফেলে অনুভব
যেভাবে আহত চোখ কাটে নির্ভরতার আশা।
আমার দরজা খুলে রেখে তোমার বাতাসকে পেরোতে দেই
জামা খুলে ফেলি, ছিঁড়ে ফেলি ঘুম--চৈত্রসঙ্ক্রান্তির আগে
নক্ষত্র দেখে দেখে বসাই মহুয়া গাছ।
হে মোক্ষম গন্ধ--বাতাসকে কতভাবে পেরুতে দাও তুমি!
ছাপিয়ে ওঠো নীল তরঙ্গের ভেতর নারীর ভেতর
যেন গাধার পীঠে সমস্ত রাত শুয়ে শুয়ে চরাচর পেরোয়-
ফেলে রাতের বিস্বাদ, মরা কুসুম
আততায়ীর বাসনা-বিজ্ঞান--ছড়িয়ে ছিটিয়ে, পথে পথে।
২৯-৩০ মার্চ, গোধুলি, জয়দেবপুর
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।