আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নী ল ত র ঙ্গে র ভে ত র - গত ৩০ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মহুয়া উৎসবে পঠিত আমার কবিতাখানি



মোক্ষম হে গন্ধ, বিশুদ্ধ নাভিশ্বাস, পূত পিপাসা যে গাছ তোমার ছায়াসঙ্গী আজকেই তা রোপণ করতে পারো খোলসা হয়ে আসবে রাত, ফোলা চাঁদ অসভ্যের মতো চীৎকার করে বলবে--মহুয়া মহুয়া...ভালুক নাচাবো তোর দেহে। যে নাচায় তার কলজে ছিঁড়ে পালালো ভালুক যেখানে দীর্ঘ ঘুমের আছে প্রয়োজন, গন্ধগোকুলেরা করে উৎপাত--সেখানে। আসো--আমরা যে গান গাইবো তা মৃত্যুকে মুছে দেবার যে গান গাইবো তা উপশম দেবে আহত চোখের যার নৈরাশ্যের কথা বলতে এলাম--সে ঘুমাতে চায় তার গোঙানীর শব্দে ফাটে কার্পাসখোসা--আমি জানি এবঙ আরো জানি, দেয়াল গলিয়ে এসে জোর করে ঢুকে পড়ে ময়লা বাতাস গড়াতে থাকে মার্বেল শব্দের মত, পূর্ণিমা রাতকে চুমু খেতে খেতে এই মহুয়া দ্রাঘিমায় বিষন্ন ও সখাকাতর কিছু মানুষ নির্নিমেষে চাটে চেহারার মধু--নিশ্চিন্তে। একটু একটু আছড়ে পড়ছে উদ্বেগ, পাশ কাটিয়ে যায় উল্লসিত জনকোলাহল; জল্লাদের মতো তারা কেটে ফেলে অনুভব যেভাবে আহত চোখ কাটে নির্ভরতার আশা। আমার দরজা খুলে রেখে তোমার বাতাসকে পেরোতে দেই জামা খুলে ফেলি, ছিঁড়ে ফেলি ঘুম--চৈত্রসঙ্ক্রান্তির আগে নক্ষত্র দেখে দেখে বসাই মহুয়া গাছ। হে মোক্ষম গন্ধ--বাতাসকে কতভাবে পেরুতে দাও তুমি! ছাপিয়ে ওঠো নীল তরঙ্গের ভেতর নারীর ভেতর যেন গাধার পীঠে সমস্ত রাত শুয়ে শুয়ে চরাচর পেরোয়- ফেলে রাতের বিস্বাদ, মরা কুসুম আততায়ীর বাসনা-বিজ্ঞান--ছড়িয়ে ছিটিয়ে, পথে পথে। ২৯-৩০ মার্চ, গোধুলি, জয়দেবপুর

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।