আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাঙ্খিত বিচারের আশায়........



ছায়া আদালতে যুদ্ধাপরাধীরা মুত্যদণ্ডে দণ্ডিত!!! >>> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলানায়তন। এখানেই বসেছে ৭১'র যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইবুনাল। চারিদিকে পিনপতন নিরবতা। এখনই ঘোষণা হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়। একটু পর খানিক কেশে ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারক এ. কে. বদরুল হক শুনানি শুরু করলেন।

রায়ে তিনি বললেন, আজ এই মহান আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত বিশেষ ট্রাইবুনালে মামলার সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষে আসামী মু. আলী বুচারী ও আসামী মু. করিমকে ফাসির মাধ্যমে মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। ” মামলার রায় ঘোষণার পর বিচারপতি বললেন, “৭১’র এই নয় মাসে যে অপরাধ তারা করেছে তাতে মৃত্যদণ্ড ছাড়া অন্য কোন দণ্ডে দণ্ডিত করা সমীচীন হবে না। দেওয়াটা উচিতও হবে না। সুতরাং তাদেরকে এ মৃত্যদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। ” এরকমই একটি ট্রাইবুনালের জন্য দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছে বাঙ্গালি জাতি।

যেখানে এভাবেই শুনানি হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের। দেয়া হবে মৃত্যদণ্ড। কিছুদিন পরেই কার্যকর হবে ফাসি। সেরকমই একটি ছায়া আদালত বসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই ছায়া আদালত।

আদালতে ১৯৭১ সালে সংঘঠিত বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার করা হয়। ছায়া আদালতে বিচারপতি ছিলেন- বিচারপতি এ. কে. বদরুল হক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ. কে. রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এম বদরুদ্দিন। আদালতের এমিকাস কিউরী ছিলেন সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম। আদারতের পরামর্শক হিসেবে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়। যুদ্ধাপরাধের মত ঘৃণিত অপরাধ হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে।

কিন্তু সব দেশেরই বিচার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অথচ ৭১’র যুদ্ধাপরাধের বিচার আজ সম্পন্নের মাধ্যমে এদেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করলো। আর এ বিচার কোন প্রতিশোধ হিসেবে নয়, একটি প্রতিষেধক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবে। ” ছায়া আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কোসূলী ও আসামীপক্ষের আইনজীবি হিসেবে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ও তার বিপরীতে বাধা হিসেবে বিভিন্ন বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে।

গতকাল বেলা ১২টায় ঢাবি’তে এ আদালতের উদ্বোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশীদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধের সেক্টও কমান্ডার মেজর জেনারেল কে. এম. শফিউল্লাহ, লে. জে. হারুন-অর-রশীদ, আদালতের ব্যবস্থাপক অধ্যাপক মীজানুর রহমান প্রমূখ। এছাড়া সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ। ছায়া আদালতের ব্যবস্থাপক মীজানুর রহমান দৈনিক জনতাকে জানান, বাংলাদেশের প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকি চরিত্র অনুযায়ী আসামীদের সনাক্ত করতে এবং এদেশে স¤প্রতি আলোচিত বিষয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ার একটি স্বচ্ছ ধারণা দেয়ার জন্যই এ ছায়া আদালতের আয়োজন করা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।