আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলমানের দর্শন ও বিজ্ঞান তথা মুক্তবুদ্ধি চর্চা (পর্ব-৫)

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

এই পর্বের শুরুতেই কয়েকটা বিষয়ে আলোচনা করা দরকার। মুসলমান দার্শনিক/বিজ্ঞানী বলতে আমরা যাদের বুঝি তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ধর্ম সম্বন্ধে তাদের কি অভিমত ছিলো তা নিয়ে শুরুতেই সামান্য আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করছি। দার্শনিক/বিজ্ঞানীরা যদি কোন সংগঠনের অংশ না হন তবে তাদের নিজস্ব ধর্ম এবং দর্শন চিন্তায় অনে পার্থক্য থাকে, সবাইকে তাই এক কাতারে ফেলার উপায় নাই। তারপরও সাধারণ একটা ধারণ পাওয়া যায় অধিকাংশের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোয় মতৈক্য ছিলো সেগুলোর মাধ্যমে। মুসলিম সভ্যতার স্বর্ণযুগে যেসব খ্যাতিমান আরব বিজ্ঞানী/দার্শনিকরা জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা একদিকে ছিলেন গ্রিক দার্শনিকদের উত্তরসূরি এবং আরেক দিকে ইউরোপিয় বিজ্ঞানীদের পূর্বসূরী।

দর্শন সম্বন্ধে তাদের ধারণা ছিলো গ্রিকদের কাছাকাছি আর বিজ্ঞান সম্বন্ধে ধারণা ছিলো পরবর্তি যুগের ইউরোপিয়দের কাছাকাছি। আধুনিক যুগে দর্শন’কে দেখা হয় তাত্ত্বিক যুক্তি বিচার হিসাবে। গ্রিক এবং মুসলিম দার্শনিকদের কাছে দর্শন ছিলো যুক্তি বিচার, পরীক্ষা নিরিক্ষার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। গ্রিকদের মতোই আরব দার্শনিকরা দর্শনকে বিবেচনা করতো “জীবন বিধান” হিসাবে। প্রায় সব মুসলমান দার্শনিক/বিজ্ঞানীরাই ছিলেন প্লেটো এবং এরিস্টটলের অনুসারী।

সত্য এবং সত্তার অনুসন্ধান এবং সক্রেটিস-প্লেটো-এরিস্টটল ধাঁচের নৈতিক জীবনাচরণ অর্থাৎ সর্বোপরি প্রজ্ঞা নির্ভর জীবনাচরনকেই দার্শনিকরা তাদের ধর্ম বলে বিবেচনা করতো। “শরিয়ত শুধু সাধারণ মানুষের ধর্ম” আর “দর্শন শুধু দার্শনিকদের ধর্ম” এমনটাই বিবেচনা করেছেন বেশিরভাগ মুসলিম দার্শনিক/বিজ্ঞানী। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ধিরে ধিরে। দার্শনিকদের ধর্ম নিয়ে প্রথম যিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি ছিলেন আল-রাজী। দার্শনিকদের জন্য রাজী যে মধ্যপন্থী জীবনাচরণের কথা লিখে গেছেন তার সাথে এরিস্টটলের “নিকোমেনিয়ান এথিক্স” এর কিছুটা মিল থাকলেও তার মাঝে অনেক ইসলামি নৈতিকতার প্রভাবও লক্ষ করা যায়।

রাজী কঠোর বৈরাগ্য এবং অতিরিক্ত দৈহিক সূখ এই দুই অবস্থারই বিরোধীতা করেন। কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তির দরবারে আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসকের জীবন বেছে নেয়াকেও তিনি তার দার্শনিকের জীবনাচরণ হিসেবেই দাবি করেছেন। তার মতে, আত্মার প্রকৃত নিবাস “বুদ্ধি জগতে”। তিন মনে করতেন, দর্শন চর্চার মাধ্যমেই আত্মা জড়ীয় আকারের মোহ থেকে মুক্তি পেয়ে আবার বুদ্ধি জগতে ফিরে যেতে সক্ষম হবে। তবে শরিয়ত নয় বরং দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে নীতিতত্ত্ব এবং প্রজ্ঞা কেন্দ্রিক জীবনাচরণ নিয়ে রাজীর চেয়েও অনেক বেশি আলোচনা করে গেছেন আল-ফারাবি।

ফারাবি শুধু ব্যাক্তিগত জীবন নয় বরং রাষ্ট্র দর্শনের ক্ষেত্রেও নির্দেশনামূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন। আমাদের এ পর্বের মূল আলোচনা আল-ফারাবি’কে নিয়েই। আল-ফারাবি (৮৭০-৯৫০) পরিচয় ও কর্মযজ্ঞঃ মোহাম্মদ ইবনে তারখান ইবনে উজলাঘ আবু নাসের আল-ফারাবির জন্ম তুরস্কের ফারাবে ৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি শুরুতে দামেস্ক ও পরে বাগদাদে অধ্যয়ন করেন। বাগদাদে বিশ বছর অবস্থান করার পর তিনি সিরিয়ার আলেপ্পোয় সাইফ-আল-দৌলার দরবারে স্থান করে নেন।

সাইফ-আল-দৌলার দরবারে সেই সময় অনেক বরেণ্য কবি, ভাষাবিদ, দার্শনিকদের সমাগম ঘটেছিল। আলেপ্পোতেই ফারাবি মৃত্যুবরণ করেন ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে। ফারাবি খুব অল্প বয়সেই আরবি, তুর্কি ও ফার্সি ভাষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাকে অভিহিত করা হয় মুসলিম দর্শনের পিরামিডের মূল ভিত্তি বলে। কারো কারো মতে দার্শনিক হিসাবে আল-ফারাবি যে অবস্থানে পৌঁছে ছিলেন আর কোন মুসলিম দার্শনিক সেই অবস্থানে যেতে পারেন নি।

মূলত আল-ফারাবির ভাষ্যকার হিসাবেই আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ইবনে সিনা। আল-ফারাবি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন যুক্তিবিদ্যা নিয়ে। জ্ঞান চর্চায় জ্যামিতি বা গনিতকে তিনি যুক্তিবিদ্যার বিকল্প মনে করতেন না। সঠিক যুক্তিবিদ্যা এবং তার ব্যাবহারিক প্রয়োগ নিয়ে তিনি দিক নির্দেশনা রেখে গেছেন। ব্যাকরন আর যুক্তিবিদ্যার পার্থক্য নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।

তার মতে, ব্যাকরনের কাজ শব্দ নিয়ে আর যুক্তিবিদ্যার কাজ অর্থ নিয়ে। কূট তর্ক আর যুক্তিবিদ্যা এক জিনিস না। কূট তর্ক শব্দে নিয়ে খেলা করে, অর্থ নিয়ে না। যুক্তিবিদ্যা ছাড়াও পদার্থ বিজ্ঞানে তিনি রেখে গেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শুন্যস্থান নিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলক গবেষনার পথিকৃত গণ্য করা হয় তাকে।

আধুনিক কালের সিগমুন্ড ফ্রয়েডের বহু আগেই স্বপ্নকে মনবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষনের আওতায় আনার চেষ্টা তিনি করেছেন তাঁর “স্বপ্নের কারণ সম্পর্কে” পুস্তকে। সংগিত বিষয়ে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক রচনা করেন, যার নাম “কিতাব আল মিউসিকা”। তাকে গণ্য করা হয় তার সময়ের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র দার্শনিক হিসাবে। প্লেটোর রিপাবলিক গ্রন্থের অনুসরণে তিনি লেখেন অপেক্ষাকৃত সমসাময়িক কায়দায় “পবিত্র নগরীর অধিবাসীদের অভিমত”। একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে একজন দার্শনিক এবং এরিস্টটলের ভাষ্যকার হিসাবেই তিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বেশি পরিচিত হয়ে আছেন।

তিনি সব মিলিয়ে সত্তরটির মতো গ্রন্থ রচনা করেন। আল-কিন্দি এবং আল-রাজির তুলনায় তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা কম হলেও গভীরতায় তার গ্রন্থগুলোকে সমসাময়িক সময়ে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলেই গণ্য করা হয়। দর্শন ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে এনালিটিকা পোস্টেরিয়া সম্পর্কে ভাষ্য, এনালিটিকা প্রায়োরা সম্পর্কে ভাষ্য, আইসগগ সম্পর্কে ভাষ্য, টপিকা সম্পর্কে ভাষ্য, আবস্যিক ও অস্তিত্বসূচক বচন সম্পর্কে একটি গ্রন্থ, বিজ্ঞানে ব্যবহৃত বচন ও সহানুমান বিষয়ে একটি গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। তবে আল ফারাবির লেখা অনেক কঠিন এবং দুর্বোধ্য বলে বিবেচিত হয়। আল ফারাবির কঠিন এবং দুর্বোধ্য চিন্তাধারাকে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করে গেছেন ফারাবির যোগ্য উত্তরসূরি ইবনে সিনা।

ধর্ম ও দর্শনঃ আল কিন্দির পর শারাখসি, রাওয়ান্ডি এবং রাজি যেখানে হেটেছেন ধর্মীয় সংশয়বাদের পথে সেখানে আল কিন্দির মতো আল ফারাবিও ধর্ম আর বিজ্ঞানের সহাবস্থানে আস্থা রেখেছেন। তবে আগেই বলেছি, দর্শন চর্চাকে দার্শনিকদের ধর্মের মর্যাদা দেয়ার ব্যাপারে প্রথম অগ্রনি ভূমিকা পালন করেন আল ফারাবি। আল ফারাবি যদিও তাঁর পরবর্তি প্রজন্মের দার্শনিকদের মতো দার্শনিকদের জীবনে শরিয়তের প্রয়োজনিয়তা অস্বিকার করেন নাই, তবু আরব দর্শনে প্রজ্ঞা নির্ভর দার্শনিক জীবন বোধের মূল ভিত্তী রচিত হয় তার হাতেই। দর্শন বলতে তিনি স্থুল্ভাবে যুক্ত কয়েকটি বিছিন্ন বিষয়ের সমষ্টিকে বোঝেন নাই, বুঝেছেন একটি একক সমগ্র বিষয় হিসাবে। সত্যের অনুশীলন ও অনুসন্ধানই তার মতে যথার্থ দার্শনিকের লক্ষ্য।

দার্শনিকদের মধ্যে ব্যাক্তিগত মতবাদ আর দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য থাকলেও সব দার্শনিক এবং তাদের মতবাদের সমষ্টি মিলেই দর্শন যা ক্রমাগত সামনের দিকে ধাবমান একটি জ্ঞান প্রক্রিয়া। একজন দার্শনিকের ব্যাক্তিগত জীবনে সত্যনিষ্টা ও আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনই তার দর্শন চর্চার মূল লক্ষ্য। যৌক্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমেই একজন দার্শনিক সক্ষম হন সত্য জ্ঞান ও পরমসত্তার সান্নিধ্য অর্জন। সূফিরা যেখানে সজ্ঞার মাধ্যমে পরমসত্তার সান্নিধ্য অর্জন করতে চেয়েছেন আল ফারাবি এবং তার পরবর্তি প্রজন্মের দার্শনিকরা সেখানে প্রজ্ঞার মাধ্যমে পরমসত্তার সান্নিধ্য অর্জন করতে চেয়েছেন। আল-রাজির মতো ধর্মের আধ্যাত্মিকতার বিরোধীতা না করলেও এবং ধর্ম ও দর্শনের সহাবস্থানের পক্ষে হলেও সমসাময়িক মুক্তবুদ্ধি চর্চার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারনেই আল্লাহ এবং জগতের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই মৌল ইসলামি বিশ্ব্বাসের পরিপন্থী মতামত ব্যাক্ত করেন আল ফারাবি।

সৃষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে তিনি ছিলেন নব্য প্লেটোবাদীদের মতো বিকিরণবাদী। কোন এক সময়ে স্রষ্টা জগত সৃষ্টি করেছেন এই মতের বিরোধী ছিলেন তিনি। জগতকে স্রষ্টার অনন্ত বিকিরণ বলে মনে করতেন তিনি। তার মতে, স্রষ্টা সরাসরি জগত সৃষ্টি করেন নাই, বরং বিশ্ব জগত মূলত স্রষ্টা আর জগতের মধ্যবর্তি কতগুলো শক্তির মাধ্যমে বিকীর্ণ। আল্লাহর ইচ্ছায় জগত সৃষ্টি হয় নাই, বরং এই জগত তাঁর স্রষ্টার মতোই প্রাকৃতিক অনিবার্যতার ফল।

এ জগত স্রষ্টার ইচ্ছা না বরং তাঁর স্বতস্ফুর্ত কর্ম। পরম আদীসত্তা অর্থাৎ স্রষ্টা থেকে প্রথম বিকীর্ণ সত্তা হল আদি বুদ্ধি। আদি বুদ্ধি নিজেকে এবং স্রষ্টাকে উপলদ্ধি করতে পারে, আর এই উপলদ্ধি ক্রিয়া থেকে বিকীর্ণ হয় দ্বিতীয় বুদ্ধি এবং এইভাবে দশম বুদ্ধি পর্যন্ত চলে। একেক বুদ্ধির উপলদ্ধিতে বিশ্বজগতের একেক বস্তু বিকীর্ণ হয়েছে। আত্মা এবং আত্মার অমরত্ব বিষয়ে তার মতামত নিয়ে বিতর্ক আছে।

তাঁর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে আত্মার অমরত্বের পক্ষে এবং বিপক্ষে দুই ধরণের লেখাই পাওয়া যায়। তাঁর মতে, মৃত্যুর পর যা টিকে থাকে তা হলো সক্রিয় বুদ্ধি। সক্রিয় বুদ্ধির কোন আলাদা মানবিক অস্তিত্ব নেই। সক্রিয় বুদ্ধির অমরত্ব থাকলেও তা ব্যাক্তি মানুষের মত অমরত্ব না বরং এক ধরণের যৌথ অমরত্ব যেখানে আলাদা আলাদা ভাবে ব্যাক্তির আত্মার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা। তবে আল ফারাবির কিছু কিছু লেখায় পারলৌকিক শান্তি এবং শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

এক্ষেত্রে তিনি যে অভিমত দিয়েছেন তা হচ্ছে, জড়ের প্রতি আশক্তির কারণে ব্যাক্তির আত্মা দীর্ঘকাল একধরণের স্বকিয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। তবে এই আশক্তি এক ধরণের শাস্তির মতো, যেহেতু এই পর্যায়ে আত্মার কোন শরীর থাকবেনা। আল ফারাবি পরকালে যে শান্তি আর শাস্তির কথা বলেছেন তা ইসলামী বিশ্বাসে যে ধরণের শারিরীক সুখ এবং শাস্তির কথা বলা হয়েছে তার মত না। তার মতে পারলৌকিক সুখ এক ধরণের বৌদ্ধিক উৎকর্ষ আর পারলৌকিক শাস্তি জড়ের প্রতি এক ধরণের আশক্তি যার ফলে আত্মা মুক্তি পায় না। পক্ষ বিপক্ষঃ আল ফারাবি ছিলেন আল কিন্দির পরবর্তি প্রজন্মের এবং আল রাজির সমসাময়িক।

কিন্দি এবং রাজির মতোই সমসাময়িক মৌলবাদীদের দ্বারা ধর্মবিরোধী হিসাবে সমালোচিত হলেও বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হন নাই। তবে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল আক্রমন হয় তার মৃত্যুর পর। এই আক্রমনে নেতৃত্ব দেন আল গাজালি। আল ফারাবি ছিলেন অনেক ক্ষেত্রেই পরবর্তি মুসলিম দার্শনিকদের চিন্তা চেতনার ভিত্তীস্বরূপ। দর্শনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামা আল গাজালির প্রধান টার্গেটই ছিলেন আল ফারাবি।

গাজালির পর থেকেই মূল আরব বিশ্বে ফারাবির চিন্তা চেতনা হারিয়ে যেতে থাকে। তবে ফারাবি টিকে থাকেন মুসলিম স্পেনে আর স্পেন থেকে ছড়িয়ে পরেন ইউরোপে। আরব বিশ্বে দীর্ঘকালের বিসৃতিতে হারিয়ে গেলও আল ফারাবি টিকে থাকেন ইউরোপিয় দর্শনে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.