আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে শচিনের রেকর্ড ছুয়ে ফেললাম



গত ২ বছর ৯ মাস ধরে কখন ও নিয়মিত কখন ও অনিয়মিত ব্লগিং করছি। ক্ষুদ্র এ ব্লগিং জীবনে অম্ল মধুর নানা স্মৃতি রয়েছে। ব্লগিং করতি এসে সহব্লগারদের কাছ থেকে পেয়েছি উৎসাহ, উদ্দিপনা। প্রথম যার হাত ধরে সামু এর সাথে আমার পরিচয় ঘটে সে এখন ব্লগে অনিয়মিত (ভ্রান্ত পথিক)। আমরা যখন রেজিষ্ট্রেশন করেছিলাম তখন সামুতে এত নিয়মনীতি ছিল না।

রেজিষ্ট্রেশন করলেই প্রথম পাতায় একসেস পেতাম। সেসময়কার ব্লগারদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এখন ব্লগে নিয়মিত যাদের মধ্যে মুহিব ভাই, কালপুরুষ দা, অমিরহমান পিয়াল ভাই, শামসীর, চানাচুর এরা উল্লেখযোগ্য। ব্লগিং করতে করতে কখন যে এমন একটা ভার্চুয়াল কমিউনিটির সদস্য হয়ে গেছি নিজে ও জানি না। বন্ধু হিসাবে পেয়েছি অনেক কে। বিশেষ করে রাতমজুর, বৃত্তবন্দি, দুরন্ত স্বপ্নচারী, অনন্ত দিগন্ত, পাক্না জয় (স্বপ্নজয়) মুহিব ভাই, রুবেল শাহ, ক্যামেরাম্যান, সামছা আকিদা আপু, শ্রাবণসন্ধ্যা আপু, মেঘবলেছে যাবো যাবো সহ অনেকে।

কাব্যকে খোঁচাইতে না পারলে দিনটা যেন কেমন পানসে লাগে আর খোঁচানোর জন্য সহযোদ্ধা গোয়েবলস রয়েছে। চরম আড্ডাবাজ সবারপ্রিয় আড্ডার ডাক দেয় প্রায়শই, আগে যেটা একরামুল হক শামীম আব্দুল্লা আল মনছুর করত। আড্ডার ডাক শুনলে সেখানে হাজির হতে না পারলে মেজাজটাই খারাপ থাকে। পুত্তুম পিলাচ খ্যাত রাজসোহানকে অফলাইনে দেখলে মনে হয় কি যেন একটা অস্বাভাবিক ঘটছে। স্বপ্নকথক এর স্বপ্ন মানবতার সেবা - আজমিরির জন্য ওদের উদ্যোগ মনে রাখার মত।

বোহেমিয়ান, সরল মানুষ, সায়েম মুন, গুরুজী, কুড়ের বাদশা কখন যে ছোট ভাইয়ের জায়গা টা দখল করে নিয়েছে ঠিক বলতে পারব না। তেমনি বাবুনি সুপ্তি দখল করে নিয়েছে আমার পিচ্চি ছোট বোনটার জায়গা। নুশেরাপু আর সাজি আপু (সুলতানা শিরিন সাজি) দখল করে নিয়েছেন বড় বোনের আসনটি। নুশেরাপুকে ইদানিং খুব কম দেখি অনলাইনে যে জন্য মনটা খুবই খারাপ থাকে। আর টম জেরির (জেরি ও সাইফুর) এর কনফ্লিক্ট দেখতে দেখতে জেরি যে কখন আমার দিদিমনি হয়ে উঠেছে সে হিসাব মিরাতে পারছি না।

এছাড়া বন্ধু ও সুর্হদ অনেকে রয়েছে সামুতে যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন ব্লগিং এ। আমার পরিবারের ও দুই একজন সামুতে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আমার জীবনসঙ্গি অপরাজিতা এবং কাজিন (ছোটবোন) অপ্রিয়কথা। সবমিলিয়ে সামুতে ব্লগিং বেশ উপভোগ করি আমি। কিন্তু একটা বিষয় কখন ও মেনে নিতে পারি না, আর তা হলো সামুর মত প্লাটফর্মে একটা বিশেষ গোত্রের ফ্লাডিং। মুক্তবুদ্ধিচর্চা করতে এসে এরা বিভিন্ন বায়াস্ড দৈনিকের কল্প গল্প কপি পেস্ট করে এই প্লাপটফর্মে আর যা নিয়ে তৈরি হতে শুরু করে ব্লগ অস্থিতিশলিতা।

এইসব বিপথগামী (ধর্ম ব্যবসায়ী ও তাদের দোসর) দের সামু থেকে বিদায় করতে পারলে সামু হয়ে উঠতে পারে বিশাল এক প্লাটফর্ম যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নতুন পথ দেখাবে। এবার আসি শচীনের রেকর্ড ছুঁয়ে যাওয়ার গল্পে। একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ এ সর্বোচ্চ স্কোরের মালিক সে - অপরাজিত ২০০। এটা আমার ২০০ তম পোস্ট, না আমারটাকে ওয়ানডে ম্যাচ বললে ভুল হবে, এটা টেস্ট ম্যাচ বলতে পারেন আর তাই ইচ্ছা লারার ৪০০ রানের রেকর্ডটা ভেঙ্গে ফেলা। যদি আউট না হই (অর্থাৎ সামু কর্তৃপক্ষ ব্যান না করে অথবা পরম করুনাময় পৃথিবী থেকে তুলে না নন) তাহলে সে রেকর্ড শুধু ভাংবই না নতুন একটা রেকর্ড করে ছাড়ব ইনশাল্লা।

বি: দ্র: প্রায় তিনবছর ব্লগিং করলে ও আমি কিন্তু মোটেই জনপ্রিয় নই, প্রমান ব্লগ পরিসংখ্যানে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।