সৈয়দ মুতনু
সরকারের এক বছর পার না হতেই আশাহত হয়েছেন বৃহত্তর সিলেটের নতুন প্রজন্মের ভোটাররা। তাদের অনেকেই বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আর ভোট দেয়ার ইচ্ছা নেই তাদের। তাদের দাবি, ক্ষমতায় গিয়ে মন্ত্রী, এমপি আর সরকারের তল্পিবাহকরা লাভবান হলেও সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেক নতুন ভোটার মহাজোটকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। কিন্তু এ সরকার আদৌ সে লক্ষে পৌঁছাতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নাসিম আহমদ বাপ্পী জানান, জীবনে প্রথম ভোট দেয়ার পর নিজেকে দেশের অগ্রযাত্রার সৈনিক মনে করে গর্ববোধ করতেন। কিন্তু নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আর রাজনৈতিক দলগুলোর কাঁদা ছুঁড়াছুড়িতে সেই গর্ববোধ এখন আর নেই। নবম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের ভোট দেয়া কমলগঞ্জের অনেক তরুণ ভোটারের বক্তব্য আরিফুরের মতো। তাদের আক্ষেপের শেষ নেই। তাদের দাবি, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতারা আর আশার বাণী শোনাবেন না।
কারণ নির্বাচনের পর সকলে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। পিলখানার হত্যাযজ্ঞ নতুন ভোটারের জন্য খুব পীড়াদায়ক। কুলাউড়া কলেজের ছাত্রী রেহানা তাবাসসুম বলেন, বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। মৌলভীবাজার শহরের শসমশেরনগর রোডের শাহাদাত হোসেন, সজীব, কামাল, আদনান, সোহেল বলেন, নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলোর দেয়া আশার বাণী শুনে ২৩ জন বন্ধু আলোচনা করে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে ভাগাভাগি করে ভোট দেন। কিন্তু এখন তাদের মনে আশা ভঙ্গ হয়েছে।
নির্বাচনের পর শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র সংগঠনের কর্মতৎপরতায় তারা ক্ষোব্ধ। একজন ছাত্র কিভাবে অস্ত্রহাতে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মারধর, ছিনতাইয়ে লিপ্ত হতে পারে, তা তাদের কাছে বোধগম্য নয়। আলাপকালে ওই যুবকরা আরো বলেন, সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারে চীফ হুইপ উপাধাক্ষ আব্দুশ শহীদ আর সদর আসনের এমপি সৈয়দ মহসীন আলীর মতো মহাজোট নেতাদের কাঁদা ছোড়াছুড়ি জেলাবাসীর জন্য দুঃখজনক। বিরোধী দল প্রসঙ্গে নতুন ভোটারদের অভিমত, সংসদ কার্যকর করার জন্য তাদের নিয়মিত সংসদে যাওয়া উচিত। কিন্তু অনেকদিন তারা সে পথে হাঁটেনি।
তারা যে দাবিতে আন্দোলন করছে তারও যৌক্তিকতা নেই। তবে মহাজোট সরকারের এক বছরের সফলতা ও ব্যর্থতার পাল্লা ওজনের পূর্ণাঙ্গ সময় এখনও আসেনি বলে নতুন ভোটাররা মনে করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।