আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশা জাগিয়ে এখন দায় এড়ানোর চেষ্টা নোয়াখালীর সুবর্নচরে মিল্কভিটার নতুন নতুন নিয়মে দিশেহারা খামারীরা \ বন্ধ হয়ে গেছে ১২টি সমিতি



বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি- মিল্কভিটা নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলার তোঁতা মিয়ার বাজারে দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা স্থাপনের সময় খামারীদের মনে আশা জাগিয়ে এখন প্রায়ই হঠাৎ করে দুধ কেনা বন্ধ করে দেয়াসহ নতুন নতুন নিয়ম চালু করা এবং অসহযোগীতায় বিপাকে পড়েছে সমবায়ীরা। মিল্কভিটা ও খামারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারী সুবর্নচরের তোতামিয়ার বাজারে মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানা স্থাপিত হবার পর সর্বোচ্ছ ৫ হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই থেকে ৪২টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে দুধ সরবরাহ করা হতো। বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ১২টি সমিতি। গত বছরের ২১ এপ্রিল মিল্কভিটা নতুন করে কোটা প্রথা চালু করে।

কোটা অনুযায়ী প্রতিদিন ১৫’শ লিটার দুধ কেনার ঘোষণা দেয়। এতে সমবায়ীর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে কারখানাটি নিয়মিত দুধ সংগ্রহ, ন্যায্যমূল্য প্রদানসহ খামারীদের সেবা দিলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরই পাল্টেযায় চিত্র। তাছাড়া হঠাৎ করেই দুধ কেনা বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র চলতি বছরের দুই মাসেই দুধ সাত দিন দুধ কেনেনি মিল্কভিটা।

ফলে নামমাত্র মূল্যে এ দুধ বাজারে বিক্রি করতে হয়েছে। মওসুমের এ সময়ে দুধ এমনিতেই কম উৎপাদন হয় তারওপর এভাবে ঘন ঘন দুধ কেনা বন্ধ করে দেয়ায় হিমসিম খেতে হচ্ছে খামারীদের। এ অবস্থায় বর্তমানে ৩০টির মতো সমিতি কোনমতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে ১২টি সমিতি। স¤প্রতি মিল্কভিটার চেয়ারম্যান ওহিদ উল্যা মোল্লা সুবর্নচরের শীতলীকরণ কারখানা পরিদর্শনে এলে খামারীরা দুধের দাম কম নেয়া, হঠাৎ করেই দুধ নেয়া বন্ধ করে দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

এসময় চেয়ারম্যান খামারীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তাঁর বাস্তবায়ন দেখছেন না খামারীরা। খামারীদের অভিযোগ মানতে নারাজ সুবর্নচর উপজেলা দুগ্ধ শীতলীকরণ কারখানার ইনচার্য ডাঃ মোঃ কামরুল আলম। তাঁর মতে সুবর্নচর অনেক বড় এলাকা; লোকবল কম থাকায় খামারীরা ডাকলেই তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া বর্তমানে কোন কোটা প্রথা নেই। যখন চালু হবে তখন জানোনো হবে খামারীদের।

হেড অফিস থেকে দুধ বন্ধ রাখার নির্দেশসহ যখন যে নির্দেশ আসে সে মোতাবেক সমিতিগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই। তবে; প্রথম বছরে সমস্যা অনেক কম ছিলো বলে তিনি স্বীকার করেন। # http://www.youtube.com/watch?v=2Dcx45_ftzg


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।