আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবারের নির্বাচনেও পিপিপির নেতৃত্বে প্রয়াত বেনজির!

পাকিস্তানের অন্যতম রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটির ইতিহাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম সরকার হিসেবে সম্প্রতি মেয়াদ পূর্ণ করেছে। ১১ মে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। কিন্তু এখনো বড় সমাবেশ বা কোনো বিতর্কে অংশ নেয়নি।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিপিপির প্রধান বেনজির ভুট্টো। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে পিপিপি।

ওই নির্বাচনের মতো আসন্ন নির্বাচনেও পিপিপির নির্বাচনী প্রচারণার বেশির ভাগ অংশজুড়ে আছেন বেনজির। নিহত হওয়ার পাঁচ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও দলের পতাকা বইছেন সেই বেনজিরই।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিপিপির টিভি বিজ্ঞাপন, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে বেনজিরকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী ইশতেহারে বেনজিরের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ইশতেহারে অবশ্য বেনজিরের স্বামী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং তাঁদের সন্তান বিলাওয়াল ভুট্টোর ছবিও রয়েছে।

বিলাওয়াল পিপিপির চেয়ারম্যানের পদে থাকলেও তিনি সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। এর কারণ অবশ্য সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা।
বেনজিরকে হত্যার জন্য তালেবানকে দায়ী করা হয়। সেই তালেবান পিপিপির নির্বাচনী সমাবেশে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। এরই মধ্যে পিপিপির নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দলের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছে।

এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী হতাহত হন। পিপিপির নির্বাচনী প্রচারণায় বেনজিরকে গুরুত্ব দেওয়ার এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যেহেতু বিলাওয়াল সরাসরি প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না এবং হামলার আশঙ্কায় দলটিও বড় ধরনের সমাবেশ করছে না, তাই বেনজিরকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞাপন ও ব্যানারের মাধ্যমেই প্রচারণা চালানোর কৌশল নিয়েছে পিপিপি। বিশ্লেষকদের মতে, আসলে এই কৌশল ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই দলটির।
নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহূত পিপিপির একটি প্ল্যাকার্ডে মাথায় স্কার্ফ দেওয়া বেনজির ভুট্টোর চিরাচরিত ছবি দেখা যায়।

আরেকটি প্ল্যাকার্ডে দৃঢ়ভাবে দুই হাত ওপরে তোলা বেনজিরকে দেখা যায়। তৃতীয় প্ল্যাকার্ডে ছেলে বিলাওয়ালের বিজয়সূচক চিহ্ন দেখানো ছবির পাশে আছেন মা বেনজির।
আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না ২৪ বছর বয়সী বিলাওয়াল। সংবিধান অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হয়। কিন্তু দলের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

গত মঙ্গলবার এক ভিডিওচিত্রে বিলাওয়াল বলেন, ‘আমি আমার কর্মীদের পাশে থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে চাই। কিন্তু এটা খুবই বিপজ্জনক। শান্তি ও সমৃদ্ধির শত্রুরা আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ’
পিপিপির নেতৃত্বাধীন সরকার মেয়াদ পূর্ণ করে রেকর্ড গড়লেও আসিফ আলী জারদারির জনপ্রিয়তা একেবারেই কমে গেছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে ২৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.