আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব চাঙ্গে উঠছে

এডিট করুন

বইছিলাম পড়তে। কোন কুক্ষণে বইছিলাম ঠিক নাই, গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান কই আছিল কেডা জানে! এক কাপ চা বানাইলাম। কি মনে কইরা টেবিল পরিষ্কার করতে শুরু করলাম কেডা জানে! হঠাৎ ধাক্কা লাইগা চায়ের কাপ উল্টাইয়া গিয়া কাম বাড়াইয়া দিল। টেবিলে আছিল দুইডা ইন্দুর। দুই ইন্দুর চায়ে গুসল করল।

টিস্যু দিয়া সব সাফ করলাম। একটা ইন্দুর খুইলা কতক্ষণ গরম বাতাসে শুকাইলাম। পরে মুইছা টুইছা সাফ সুফ কইরা আবার বইলাম। মাগার ইন্দুর দুইডার সমস্যা দেহা দিল। কালা ইন্দুরটার বাম পা আর সাদা ইন্দুরটার ডান পা জ্যাম লাইগা গেছে বেশী চিনি দেওয়া চায়ের কারনে।

কতক্ষণ টিপাটিপি কইরা বুঝলাম অবস্থা বেশী সুবিধার না। পকেটে টেকাও নাই যে নতুন ইন্দুর কিনুম। কি করি কি করি ভাবতে লাগলাম। পরে ভাইবা দেখলাম একটা পুরানা মরা ইন্দুর আছে। যেহেতু এই দুই ইন্দুরের মোট দুইডা চাবি নষ্ট হইছে সেইহেতু মরা ইন্দুরটার দুইডা চাবি খুইলা বদল কইরা দিলেই হইয়া যাইব।

মরা ইন্দুরটারে খাটের নীচ থিকা বাইর করলাম। একটা মান্ধাত্মার আমলের জাং মেশিন আছে। ঐটারে গরম দিলাম। হারামজাদা জাং মেশিন এহন আর ঠিকমত কাম করে না। বহুত কষ্টে গুতাইয়া গাতাইয়া মরা ইন্দুরটার চাবি দুইটা খুললাম।

এরপর কালা ইন্দুরটার জ্যাম জেলি হইয়া যাওয়া চাবিডা খুললাম। হারামজাদা জাং মেশিন এমনিতে কাম না করলে কি হইব আমার বাম হাতের একটা আঙ্গুল পুড়াইয়া দিল। এই চাবি খুলাখুলিতে বহুত সময় গেলগা। কালা ইন্দুরটার চাবি বদলাইয়া দিলাম। এরপরে সাদা ইন্দুরটারও চাবি বদলাইলাম।

চাবি টেষ্ট করতে গিয়া দেখি ঠিক মিলতাছে না। কেমন জানি ড্যাম খাইয়া গেছে। পুরানা ইন্দুরটার চাবি আছিল তিনটা, অনেক টেকা দিয়া কিনছিলামতো তাই। পরে ঐটার তিন নাম্বার চাবিটা টিপি দিয়া দেখি এইডা ভালা আছে। পরে আবার সাদা ইন্দুরটায় লাগানি চাবি খুইলা এই তিন নাম্বার চাবিডা লাগাইলাম।

জাং মেশিন হারামজাদায় কাম করবারই চায় না। জোরে চাইপা ধইরা রাখতে হয়। ফাকে দিয়া আমার ডাইন হাতের বুড়া আঙ্গুলও ফোস্কা খাইয়া গেল। পরে ইন্দুরের চাবি টেষ্ট করতে গিয়া কয়েকটা বলগ পইড়া ফালাইলাম। ইতিমধ্যে রজনী প্রভাত হইয়া গেছে।

চাবি বদলাইতে বদলাইতে আর চাবি টেষ্ট করতে গিয়া বলগ পড়তে পড়তে রাইত শেষ। আইজকা সব চাঙ্গে উঠছে। এহন মাথা ঘুরাইতাছে। ঘুমানি দরকার। পড়া চাঙ্গে উঠাইয়া আর কতক্ষণ পরে ঘুমাইতে যামু।

কালা ইন্দুরটার চাবি টিপলে ঠিকমত ক্যাচ ক্যাচ করলেও সাদা ইন্দুরটার ক্যাচক্যাচানিতে একটু সমস্যা আছে। কিছু করার নাই, পুরান আর একটা মরা ইন্দুর আছে ঐটা কোন চিপায় ফালাইয়া রাখছি কে জানে। যাই হোক সব আজকে চাঙ্গে উঠাইলাম আর এর মূল হোতা মানে মুলি বাশ প্রদানকারী হইতাছে এক কাপ চা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.