আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জরথুশত্র: প্রাক-খ্রিস্টীয় যুগের পারসিক ধর্মপ্রচারক

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
জরথুশত্র। প্রাচীন ইরানের (পারস্যের) ঋষি। গ্রিকরা এঁকে বলত জোরোএসটার।

জরথুশত্র ছিলেন সভ্যতার প্রাচীনতম ধর্মের প্রবক্তাদের অন্যতম; তাঁর সময়কালকে সাধারনত খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ বলে চিহ্নিত করা হয়। অনুমান করা হয় জরথুশত্র তৎকালীন প্রচলিত ধর্মের পুরোহিত ছিলেন। মৌলিক চিন্তাবিদ এবং সাহসী সংস্কারক হিসেবে তিনি চিহ্নিত হয়ে আছেন। তাঁর বাণীতে প্রতিফলিত হয়েছে প্রাচ্যের শুভবোধ । বহু ঈশ্বরবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একেশ্বরবাদ কেননা প্রাচীন পারস্যে সে সময় ট্রাইবাল সমাজ ভেঙে গড়ে উঠছিল রাষ্ট্র; আজ তাঁর জীবনদর্শন সহজ সরল মনে হতে পারে; কিন্তু তৎকালে তাঁর শিক্ষা ছিল যুগান্তকারী ও বিপ্লবী।

মানচিত্র ইরান মুহাম্মদ ইকবাল তাঁর “দি ডেভেলাপমেন্ট অভ মেটাফিজিক্স ইন পারসিয়া” বইতে জরথুশত্র সম্বন্ধে লিখেছেন,‘ জরথুশত্র হইলেন ইরানের এমন একজন প্রাচীন ঋষি; ইরানি আর্যদিগের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসে যাঁহার অবস্থান সর্বাগ্রে। ” এবং জরথুশত্রর সময়কাল সম্বন্ধে লিখেছেন, “ ... ভ্রমনশীল ইরানি আর্যগন মধ্য এশিয়ায় স্থায়ী আবাস গড়িয়া তুলিল যখন বৈদিক স্তোত্রসমূহ রচিত হইতেছিল। ’(পৃষ্ঠা,৮) ...ইরান শব্দটি ‘আর্য’ শব্দ থেকে উদ্ভুত; এবং কালক্রমে ‘ভ্রমনশীল ইরানি আর্যগন’ পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ভারতবর্ষের পশ্চিম সীমান্তে উপনীত হয়েছিল। জুডিথ ই. ওয়ালশ ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অভ ইন্ডিয়া’ বইতে লিখেছেন:Around 1700 B.C., 200 years after many Harappan cities had been abandoned, a tribal community living in southern Afghanistan began to compose hymns in praise of their gods. This community called themselves Aryans (a term that later meant “civilized” or “noble”). By 1400B.C. these peoples had migrated into the Punjab and completed their collection of hymns. These hymns eventually became the Rig-Veda, a sacred text in the modern Hindu religion, the oldest source for ancient Indian history and the only source of information about the origins of the community that composed it.(পৃষ্ঠা,৩৭) এ থেকে বোঝা যায় প্রাচীন পারস্য ও বৈদিক ভারতের মধ্যে সম্পর্ক গভীর এবং ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বে দক্ষিণ আফগানিস্তানে যে ট্রাইবাল কমিউনিটি বাস করত তার সঙ্গে জরথুশত্রর গোত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ট। বর্তমান আফগানিস্তান প্রাচীনকালে পারস্য সাম্রাজ্যের অর্ন্তভূক্ত ছিল।

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের মানচিত্র ; প্রাক-খ্রিস্টীয় যুগে এখানেই বিকাশ লাভ করেছিল জরথুশত্রীয় মতবাদ। জরথুশত্রর সময়কালে নথিপত্র লিখিত হত না বলে তাঁর সম্বন্ধে জানার প্রত্যক্ষ কোনও উৎস নেই। তাঁর জন্মস্থানও এ কারণেই নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা যায়নি। গ্রিকরা যখন তাঁর কথা প্রথম জানতে পারল -ততদিনে জরথুশত্র পারস্যে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যে পরিনত হয়েছেন। গ্রিকদের মতে জরথুশত্রর সময়কাল দার্শনিক প্লেটোর (৪২৯/৩৪৭ খ্রিষ্টপূর্ব) ৬০০০ বছর পূর্বে।

পরের যুগের ঐতিহাসিকরা অবশ্য বল্লেন জরথুশত্র বেঁচে ছিলেন খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ শতকে-অর্থাৎ হিব্রুভাষী নবীদের আমলে। অবশ্য আধুনিক ঐতিহাসিকগন বিস্তর গবেষণা করে বলছেন, জরথুশত্রর সময়কাল ১৫০০ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্ব। এই মতটিই আমরা গ্রহন করতে পারি। আসলে জরথুশত্রর জীবন-কাহিনী প্রাচীন ইরানবাসীর মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবং এর হাজার বছর পর জরথুশত্রর জীবন-কাহিনী লেখা হয় এবং তাতে জরথুশত্রর জীবন ও দর্শন সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ন তথ্যাদি পাওয়া যায়।

ইরানের দুর্গম পাহাড়ে জরথুশত্রর উপাসনালয় জরথুশত্রর জন্মস্থান নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা না গেলেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক একমত যে প্রাচীন পারস্যের উত্তরপূর্বে জন্মগ্রহন করেছিলেন জরথুশত্র । আভেস্তা (জরথুশত্র প্রণীত ধর্মপুস্তক) থেকে জানা যায় জরথুশত্রর মায়ের নাম দুগ্ধা এবং বাবার নাম পুরুষাসস্প। এবং এই আর্য গোত্রটির নাম ছিল স্পিটামা। আভেস্তা অনুযায়ী দারাজা নদীর তীরে জরথুশত্রর জন্ম। জরথুশত্রীয় বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী প্রথম মাস হল ফারভাদিন (মার্চ-এপ্রিল) দারাজা নদীর তীরে প্রথম মাসের ৬ষ্ট দিনে জরথুশত্রর অনুসারীরা জন্মতিথি পালন করে ।

স্পিটামা গোত্র সম্ভবত চারণ-জীবন যাপন করত-যারা ঘোড়া প্রতিপালন করত। মুহাম্মদ ইকবাল তাঁর “দি ডেভেলাপমেন্ট অভ মেটাফিজিক্স ইন পারসিয়া” বইতে লিখেছেন,‘This new mode of life (আর্যদের স্থায়ী জীবন) and the consequent stability of the institution of property among the settlers, made them hated by other Aryan tribes who had not yet shaken off their original nomadic habits, and occasionally plundered their more civilised kinsmen. Thus grew up the conflict between the two modes of life which found its earliest expression in the denunciation of the deities of each other - the Devas and the Ahuras. (পৃষ্ঠা, ৮) জরথুশত্রর জীবনে এই কথাগুলি প্রতিফলিত হতে দেখি। যা হোক। জরথুশত্রর জন্মের পূর্বেই নাকি ভবিষৎবানী হয়েছিল। চন্দ্র-তারকা নাকি সেকথা জানত এবং তারা আর্য-নারী দুগ্ধাকে জানিয়েছিল সে কথা; এমন কী দুগ্ধার জন্মের সময়ও নাকি তাঁর দেহ থেকে জ্যোতি বিচ্ছুরিত হতে দেখা যায়।

এসব কথা থাক। বলছিলাম জরথুশত্রর জন্মস্থানও নির্দিষ্ট হয়নি বটে তবে প্রাচীন পারস্যের উত্তরপূর্বে জন্মগ্রহন করেছিলেন জরথুশত্র । আরও নির্দিষ্ট করে বললে স্থানটি ব্যাকট্রা । প্রাক-খ্রিস্টীয় যুগের পুর্ব-পারস্যের এক সমৃদ্ধশালী নগর। প্রাচীন ব্যাকট্রা প্রদেশের মানচিত্র।

এখানেই জরথুশত্রর জন্মস্থান বলে অনুমিত। প্রাচীন ব্যাকট্রা বর্তমানে আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশ বলখ এর বর্তমান চিত্র আগেই একবার বলেছি যে জরথুশত্র প্রচারিত ধর্মটির ধর্মগ্রন্থের নাম আভেস্তা। দীর্ঘকাল ধরে আভেস্তা রচিত হয়েছে। এর পুরনো অংশটি ‘গাথিক আবেস্তা’ ভাষায় রচিত; যা ছিল জরথুশত্রর মাতৃভাষা। এতে রয়েছে জরথুশত্রর স্বরচিত ১৭টি স্তোত্রগীত বা স্তুতিগান।

আভেস্তার পরের অংশটি পরে রচিত হলেও জরথুশত্রর অনুসারীদের কাছে এর গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। পন্ডিতগন একে “তরুণ আবেস্তা” বলে অবহিত করেন। আভেস্তা। জীবন ও বিশ্বজগৎ সম্বন্ধে জরথুশত্র নিজস্ব ধ্যানধারণা পাওয়া গেছে গাথা নামে প্রাচীন গ্রন্থে। প্রাচীন ইরানি ভাষায় লেখা স্তোত্রগীত বা স্তুতিগান কে গাথা বলা হয়।

গাথার ভাষাও ছিল গাথিক আবেস্তান। জরথুশত্র এই গাথিক আবেস্তান ভাষায় দেবতা আহুর মাযদার গৌরব বর্ণনা করে প্রার্থনাসংগীত রচনা করে গেছেন। গাথা আসলে ছন্দোবদ্ধ বাণী বা প্রার্থনাসংগীত। গীতাঞ্জলি রচনায় রবীন্দ্রনাথের যে ভূমিকা ছিল,-গাথাসমূহ রচনাতে জরথুশত্রর ঠিক একই ভূমিকা ছিল। জরথুশত্রর জীবনদেবতার নাম আহুর মাযদা বা আলোর দেবতা।

জরথুশত্র যে পুরোহিত ছিল তা অনুমান করা যায়। কেননা, গাথার মতন সংগীতধর্মী কাব্য রচনায় সে কালে মুষ্টিমেয়র আয়ত্বে ছিল। জরথুশত্র কেবল ধর্মীয় চিন্তাবিদই নন-পারস্যের আদিকবিও ছিলেন। জরথুশত্র তাঁর নিজস্ব জীবনদর্শন গাথায় লিখে প্রকাশ করেছেন। আহুর মাযদার ওপর জরথুশত্রর অপার বিশ্বাস এবং তাঁর সঙ্গে কথোপকথন গাথার মূল উপজীব্য।

জরথুশত্র প্রণীত ধর্মে উপাসনার আরও পুস্তক ছিল। যেমন: ইয়াসনা-বলিদানের নিয়মাবলী; ভিসপেরাড-এটি জরথুশত্র-সহ অন্যান্য আধাত্মিক নেতৃবৃন্দের প্রতি স্তুতি; বিদেভদাদ- জরথুশত্রীয় সৃষ্টিতত্ত্ব ও জরথুশত্রীয় বিধিবিধানসমূহ। আস্তথ-স্বর্গীয় দেবদূত ও বীরদের প্রতি স্তুতি এবং খোরদা আভেস্তা-ক্ষুদ্র আবেস্তা; এটি সাধারন প্রার্থনাসংগীতের পুস্তক। জরথুশত্রীয় ধর্মের কৃত্যাদি এসব পুস্তক ও গাথার ওপর গড়ে উঠেছে। এই ছবির মাঝখানে আহুর মাযদা।

তিনি রাজা খসরু পারভেজকে রাজার অধিকার দান করছেন। নারীটি অনাহিতা; পারস্যের দেবী। তিনটি প্রধান নীতির ওপর জরথুশত্রীয় ধর্মটি প্রতিষ্ঠিত। প্রথমত: একেশ্বরবাদ। জরথুশত্রীয় শিক্ষার মূল হল একেশ্বরবাদ।

আহুর মাযদাই একক ঈশ্বর, তার কোনও অংশীদার নেই। আহুর মাযদা অর্থ জ্ঞানী প্রভু। ইনিই বিশ্বজগতের সৃষ্টা; এবং মানবজাতি ও সকল বস্তু ইনিই সৃষ্টি করেছেন। জরথুশত্রর মতে আহুর মাযদা ঈশ্বরের ঈশ্বর, জ্ঞানীর জ্ঞানী। সত্য ও পূণ্যের পিতা; তিনি প্রেম ও সুখের কারক; তাঁকে ভালোবাসতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে।

কখনোই তাঁকে ভয় করা চলবে না। দ্বিতীয়ত: দ্বৈত আত্মা; সত্য ও মিথ্যা: জরথুশত্রর মতে আহুর মাযদা প্রথমে সৃষ্টি করেছেন চেতনা এবং বিশুদ্ধ ঈশ্বরের জ্ঞান। এই হল স্পেনটা মাইনয়ু বা সত্যের স্পিরিট বা উচ্ছ্বাস। এরপর আহুর মাযদা সৃষ্টি করলেন ভৌত জগৎ। সৃষ্ট সময়ের প্রারম্ভ থেকেই শুভ ও অশুভ আত্মার অস্তিত্ব ছিল।

জরথুশত্রর মতে অশুভ আত্মা হল “মিথ্যা”। এবং এই অশুভ আত্মা পরে আহরিমান নামে পরিচিত হয়। শুভ ও অশুভ আত্মার পরস্পর সংগ্রাম এবং দ্বন্দই মানুষের চিন্তা ও কর্মপ্রনালীকে নিয়ন্ত্রন করে। তৃতীয়ত: স্বাধীন চিন্তা (ফ্রি উইল) ...আহুর মাযদা মানবজীবনের প্রতিটি স্তরকে প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রন করেন না। সৃষ্টির সময়ে মানবজাতিকে ফ্রি উইল পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।

জোরোআসট্রিয়ানিজম বইতে পলা আর. হাটৎস লিখেছেন, ‘As Zoroastrians, men and women must think and reason for themselves. They have the freedom to choose good over evil. Free will and intellect give them the choice to do the will of Ahura Mazda—to live according to the Spirit of Truth.' আধুনিক জরথুশত্রীয় উপাসনালয় জরথুশত্রীয় ধর্মটিতে আরও তিনটি প্রধান নীতি রয়েছে । ক) শুভ চিন্তা বা হুমাতা; খ) শুভ শব্দ বা হুকতা; গ) শুভ কাজ বা হুভারশতা। জরথুশত্রীয় ধর্মটি আশাবাদী ধর্ম; নিরাশা পাপ হিসেবে গন্য হয়। এবং অশুভর বিরুদ্ধে আহরু মাযদার যুদ্ধে সাহায্য করবে আমেশা স্পেনটাস। এ ই শক্তির এক রুপ।

মানুষকে সত্য পথ দেখানোর জন্য প্রতিটি মানুষ ফ্রাভাশি নিয়ে জন্ম গ্রহন করে। এটি পথপদর্শক আত্ম ভালোমন্দ চিনতে শেখায়। মানুষ বিবেকের নির্দেশ মেনে চললে ফ্রাভাশি চিনতে পারে। মানুষের মৃত্যু হলে ফ্রাভাশি দেহখাঁচা ছেড়ে অন্য ফ্রাভাশির কাছে চলে যায় এবং এভাবে জীবনমৃত্যুর মাঝে যোগসূত্র হিসেবে থাকে। ফ্রাভাশি হল আহরু মাযদার স্পর্শ যা প্রতিটি জীবিত বস্তুতে থাকে।

আহরু মাযদার প্রতীক হল আগুন বা অগ্নি। অগ্নিতে অন্যান্য স্বর্গীয় বস্তু ও সূর্যের উজ্জ্বল্য নিহিত থাকে এবং অগ্নি থেকে সত্যের আত্মশক্তি ক্ষমতা বিচ্ছুরিত হয়। জরথুশত্রীয় পুরোহিত ও অগ্নি এ কারণে অভিন্ন। অগ্নি আহরু মাযদার উপস্থিতি ঘোষনা করে । জরথুশত্রীয় উপাসনালয়কে বলে ফায়ার টেম্পল বা আতাশ বেহরাম।

আগুনের মতো পানিও আহরু মাযদার পবিত্রসৃষ্টি। অগ্নি উপাসনালয়ে থাকে জলাধার। প্রার্থনার পূর্বে শুদ্ধ হয়। উপাসনালয় ভবনের মাঝখানে থাকে অগ্নিকক্ষ। অগ্নিকক্ষের মাঝখানে থাকে আফারগান-কড়াই।

তাতে সর্বক্ষণ আগুন জ্বলে। জরথুশত্র; একালের শিল্পীর আাঁকা জরথুশত্রীয় ধর্মে পরকাল এর ধারণা রয়েছে। । পরকালে হয় লোকে আহরু মাযদার গৌরবে বিলীন হবে অথবা নরকের অতল গহব্বরে পতিত হবে। জীবিত অবস্থায় কর্মফল অনুযায়ী এমনটা ঘটবে।

শয়তানের ধারণাও জরথুশত্রীয় ধর্মে রয়েছে। জরথুশত্রীয় ধর্মে শয়তানের নাম-আনগ্রা মাইনু। শয়তান পাতালের শাসক! শেষ বিচারের পর জগৎ ধ্বংস হবে এবং নতুন বিশুদ্ধ জগৎ সৃষ্টি হবে। শেষ সময়ে একজন উদ্ধারকর্তা আসবে এবং সৎলোককে উদ্ধার করবে -এই ধারণাও জরথুশত্রীয় ধর্মেরই। তথ্যনির্দেশ: মুহাম্মদ ইকবাল; দি ডেভেলাপমেন্ট অভ মেটাফিজিক্স ইন পারসিয়া।

মানেকজি নুসেরভানজি দাহলা; জোরোআসট্রিয়ান থিওলজি ফ্রম দি আরলিয়েস্ট টাইমস টু দি প্রেজেন্ট ডে পলা আর. হাটৎস; জোরোআসট্রিয়ানিজম । জুডিথ ই. ওয়ালশ; আ ব্রিফ হিস্ট্রি অভ ইন্ডিয়া।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।