আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসে কিছু বাংলাদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতের ভুমিকা।



আমি বরিশালী, সিলেটী, রংপুরী বা পাহাড়ী বলবো না। কারন, সন্ত্রাসীর একটাই পরিচয় সে সন্ত্রাসী। একজন সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয়দানকারী আমার চোখে সমান। বাংলাদেশে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী আছে অস্বীকার করার নয়। হয়তো তারা ৪০০/৫০০ বছর আগে এদেশে এসে বসতি স্থাপন করেছে, কিন্তু তারা এখন এ দেশের নাগরিক।

দেশের নাগরিক সকল সুবিধা তারা ভোগ করছে। আবার কিছুটা আগ বাড়িয়ে স্বাধীনদেশের ভিতরে আরেকটা স্বাধীন রাষ্ট্র কায়েমের সুখ স্বপ্নও তারা দেখছে। এবং এটা নতুন কোনো ইস্যু নয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই এ ইস্যুটা মাথাচাড়া দেয়। বিশেষ করে একটি শ্রেণীর নেতারা যখন সমগ্র মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধীতা করেছিলো। পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তারা নিজেদের অছ্যুৎ মনে করতে থাকে।

এমনকি তাদের এক নেতা (রাজা) পাকিস্থানে স্থায়ীভাবে থেকে যায়, সেখানে মন্ত্রিত্ব, পরে রাষ্ট্রদুতের মর্যাদা লাভ করে। সেখান থেকেই নিজ লোকের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভিতরে তৈরী করতে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাধী আন্দোলনের বীজ। বিপথগামী-বিপ্লবী নেতাদের কারনে এরা জড়িত হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে। এ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ঠেকাতে আর রাষ্ট্রের অখন্ডতা রক্ষায় সরকারের হাতে যে পথগুলো বেছে নেয় তা নিন্মরূপ- ১) বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যে সুযোগ-সুবিধা এদের প্রাপ‌্য, কোটা প্রথার মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে এদেরকে আরও বেশী সুবিধা প্রদান করা হয়। ২) একটি এলাকায় সবাই বিচ্ছিন্নতাবাদী হলে রাষ্ট্রের অখন্ডতা চরম হুমকির সম্মুখীন হয়।

তাই এটা প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গুহহীনদের এখানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। এবং অবশ্যই যারা আগে থেকে ছিলো তাদের অসুবিধা না ঘটিয়ে। বিশাল পাহাড়ী চট্টগ্রামে বিপুল এলাকা ফাকা পড়ে আছে, যা ব্যাক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীবিশেষের নয়, রাষ্ট্রের সম্পত্তি। রাষ্ট্র প্রয়োজন বেধে যে কাউকে তা লীজ দিতে পারে। ৩) সশস্ত্র-সন্ত্রাসী আন্দোলন প্রতিরোধে প্রথমে সাধারন আইনরক্ষাকারী ও পরে প্রয়োজন অনুসারে বিশেষ বাহিনী (সেনা) নিয়োগ করে শান্তি-শৃংখলা ও দেশের অখন্ডতা রক্ষায়।

মাঝে মাঝে চলে আলাপ-আলোচনা। কিন্তু কেউ যদি একদফা দাবী করে সমগ্র ঢাকা শহর আমাদের ঢাকাইয়াগো। এখানে বরিশাইল্যা বা নোয়াখাইল্যা বা আর কেউ আইতে-থাকতে পারবো না তাহলে আলোচনা চলে কি করে? আর পাশ্ববর্তি একটা দেশের পূর্ণ সমর্থন পেয়ে এরা মনে করতে থাকে পাহাড়ী চট্টগ্রামে নিজস্ব একটা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র! তাই প্রতিটি আলোচনা ব্যয় হয় পাশ্ববর্তী দেশ পাহাড়ী বর্ডারের মাধ্যমে থেকে অস্ত্র আনা ও পূনর্গঠনের কাজে। এ সমস্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা একই সাথে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে তথ্য সন্ত্রাস চালায় বিশ্বব্যাপী। একটি ওয়েবসাইটি দেখতে পারেন Human Right Congress for Bangladesh Minirities (HRCBM) ।

এ সাইটের বামদিকে পাবেন আরেকটি সাইটের ঠিকানা মায়ের ডাক - Voice of Motherland। লিংকের ইমেজটি নীচে দিলাম। দুটো সাইটেই বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে প্রচন্ড নেগেটিভ প্রচারনা চালানো হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.