আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা কবিতায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার / সাপ্তাহিক কাগজ

স্বেচ্ছাচার না করা গেলে তারে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারের অধিকার।

২৯ মে ২০০৮ তারিখে সাপ্তাহিক কাগজ-এর তরফে একটি মাসিক বৈঠকি আনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকির আলোচনার বিষয় ছিল ‘কবিতায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার’। বৈঠকিতে অংশ নেন কবি মোহাম্মদ রফিক, জাহিদ হায়দার, শিহাব সরকার, তুষার দাশ, আবদুর রব, ব্রাত্য রাইসু, মাদল হাসান, সাখাওয়াত টিপু, মাতিয়ার রাফায়েল, ডেভিড সজ্জন বিপ্লব ও জহির হাসান।

এতে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন ফরিদ কবির। গ্রন্থনা করেছেন মাহমুদ সীমান্ত। বৈঠকির ছবি তুলেছেন সুবীর কুমার। ............................. ফরিদ কবির: যে আলোচনার জন্য আমরা এখানে এসেছি সেটা শুরু করি। এটাকে আমরা আড্ডা হিসেবেই চিহ্নিত করি।

আড্ডায় আমরা একটা বিষয়; সেটা হচ্ছে ‘বাংলা কবিতায় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার’। সবাইকে আমার শুভেচ্ছা, আমার কৃতজ্ঞতা যে আপনার আমার অনুরোধে এসেছেন। আমার মনে হয় এটা ভালো হবে যে, প্রথমে সবাই দু’মিনিটি করে বলি। তারপর বিস্তারিত আলোচনায় যাই। বাংলা কবিতায় ইদানিং আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে, এটার সম্ভাবনা বা ক্ষতিকর দিক কি কি থাকতে পারে? আমার অনুরোধ সবাই দু’ মিনিট করে বলবেন।

সবার মতামত পেয়ে গেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনায় যাবো। আমরা কি শুরু করতে পারি...? মোহাম্মদ রফিক: দু’মিনিটেই কি তুমি মত পেয়ে যাবে? ফরিদ কবির: না না, এটা সূচনা আর কি, সবাই শুরু করুক। কারণ সবার মতগুলি পাওয়া গেলে আলোচনাটা করতে সুবিধা হবে। ওদের সূত্র ধরেই আমরা কোন না কোন সূত্র ধরেই আলোচনায় যাবো। তাহলে আমরা রফিক ভাইকে দিয়েই প্রথম শুরু করি।

সাখাওয়াত টিপু: ফরিদ ভাই আপনি বলে দেন যে, আলোচনাটা কোন জায়গা থেকে শুরু করবেন? মানে আলোচনাটা কোন জায়গায় থাকবে বা থাকবে না... ফরিদ কবির: আমরা তো জানি, বাংলা কবিতায় আগেও আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হয়েছে। এখন যেটা হচ্ছে, আমরা এখনকার পরিস্থিতিতে দেখছি, ঢাকার কসমোপলিটন ভাষা বা মিশ্র ভাষার ব্যবহার হচ্ছে বেশি। শুধু কবিতায় নয়, গদ্যেও ভালোভাবেই এর ব্যবহার হচ্ছে। এটা আমাদের কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে? এ ব্যাপারেই আসলে আমরা একটু দেখতে চাচ্ছি যে কার কী মত? আমার মনে হয়, কবি মোহাম্মদ রফিককে দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি... মোহাম্মদ রফিক: ফরিদ যে আঞ্চলিক ভাষার কথা বলছে, আমি আঞ্চলিক ভাষার সাথে আরেকটা কথাও যোগ করতে চাই সেটা হচ্ছে প্রতিদিনের ব্যবহারিক জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করি তার কথা। ব্যবহারিক জীবনে আমরা যে ভাষা ব্যবহার করি আজকালকার কবিতায় এ ধরনের ভাষার একটা বিশেষ ব্যবহার কবিদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে যে প্রত্যেকেই কিছু কাব্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটা করছেন।

এমন না সাবলিলভাবে তারা লিখছে। মনে হয়, তারা লিখতে চাইছে বলে তারা লিখছে। আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার তো হবেই। বহুত আগে, মনে হয়, ৫০-এর দশকে একটা সাহিত্য সম্মেলন হয়েছিল এবং সেখানে এই ভাষা ব্যবহারের প্রশ্নটা উঠেছিল। একদল বলছিল যে এদেশে যে ভাষা, বিষেশ করে, তখনকার পাকিস্তানের এ অংশে যে ভাষা চর্চিত হবে সেই ভাষায় আরবি, উর্দু, ফার্সি ভাষার প্রভাব তারা দেখতে চেয়েছিলেন।

আরেকদল প্রচলিত বাংলা অর্থাৎ বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ হয়ে যে ভাষা ব্যবহৃত হচ্ছে সেই ভাষারই বহুল প্রচলনের কথা বলেছিলেন। আমি যদি ভুল না করি, তাহলে সেখানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ তার আরেকটা মত প্রকাশ করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন এর বাইরেও আরেকটি ভাষা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং সেটা হচ্ছে যে আমাদের দেশে যে বিপুল জনমানুষ তাদের একটা ভাষা আছে, সেই ভাষার ব্যবহার। (...) (...বাকি অংশ পড়ুন "ভাষা-ফ্যাসিবাদীদের ঠেকাও!" ফেসবুক পেজ-এ। ক্লিক। )


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।