আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রমেই ব্যয়বহুল হবে খাওয়ার পানি-২



ভুগর্ভের পানি ক্রমাগত উত্তোলন এবং সে তুলনায় পানির রি-চার্জ বা পুর্নভরণ না হওয়ায়, পানির স্তর দ্রুত নেমে যাওয়াকে অবধারিত করে তুলেছে। বেশ কিছুদিন ধরে বিশেষঙ্গ পর্যায়ে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য জলাধার নির্মাণ এবং ভূগর্ভে কৃত্রিমভাবে পানি ইনজেক্ট(Inject) করে ফেরত পাঠানোর আলাপ চলছে। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে প্রকল্পও প্রস্তুত করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কৃত্রিম উপায়ে ভূগর্ভের জলস্তর রিচার্জ করার উদ্যোগ তেমন অপরিচিত প্রযুক্তি নয়।

ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি,স্কটল্যান্ড, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রে এ প্রযুক্তি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পরিষ্কার পানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের তাগিদে বেলজিয়াম,চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড,গ্রিস,নেদারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কৃত্রিম উপায়ে পানি ইনজেক্ট করে ভূগর্ভের জলস্তর রিচার্জ করা হচ্ছে। পৃথিবীর মোট ৭৫০০ ডিস্যালাইনেশন প্লান্টের পানির (লবণমুক্তকরণ প্লান্ট) প্রায় ৬০ শতাংশ মধয়প্রাচ্যে অবস্তিত। তুলনামূলক ব্যয়বহুল হলেও সমুদ্রের পানি লবনমুক্ত করে পানীয় জল উৎপাদনের ব্যয় এখন প্রতি ঘনমিটার প্রায় ০.৫০ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। সিঙ্গাপুরে এ কাজের জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রতি ঘনমিটারে প্রায় ০.৪৯ মার্কিন ডলার ।

সমুদ্র- তীরবর্তী অনেক দেশই ডিস্যালাইনেশন প্লান্ট বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যমতে উত্তর ভারতের হরিয়ানা,পাঞজাব, দিল্লি ও রাজস্তান রাজ্যে ভূগর্ভের ২৬ ঘনমাইল পানির সঞ্চয় নিঃশেষিতও হয়েছে ২০০২-২০০৮ সময়কালে। প্রতি বছর উত্তর ভারতে ভূগর্ভের জলস্তর অবনমিত হচ্ছে ১ ফুট হারে। অতএব, ভূগর্ভের দুষ্প্রাপ্য পানি অবধারিতভাবে আমাদের পানির জন্য বেশি ব্যয় করতে বাধ্য করবে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.