আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বস্তদের নেতৃত্বে আনুন: প্রধানমন্ত্রী

আর এক্ষেত্রে ‘নৈতিকভাবে বলীয়ান ও বিশ্বস্ততায় প্রশ্নহীন’ কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছেন তিনি।  
রোববার সেনাবাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত এবং সুসংহত করতে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাজেই নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে তাদেরই হাতে যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী। ”
সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী পর্ষদ তাদের পাঁচ দিনের সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেকে কর্নেল এবং কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতির বিষয়ে সুপারিশ করবে। এর ভিত্তিতে সরকার পদোন্নতি দেবে।


জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের প্রজ্ঞা, বিচার-বুদ্ধি এবং ন্যায়পরায়ণতার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ঊর্ধ্বে উঠে, আপনারা উচ্চ-প্রশিক্ষিত, কর্মোদ্যমী, সচেতন, প্রত্যুতপন্নমতিসম্পন্ন এবং প্রজাতন্ত্রের মূল নীতির প্রতি অবিচল থাকবে এমন উপযুক্ত নেতৃত্ব নির্বাচনে সর্বোতভাবে সফল হবেন। ”
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাসদর অফিসার্স মেসে এই সভায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক. সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী পর্ষদের এই সভায় উপস্থিত হতে পেরে নিজের আনন্দ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “এ সভা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমেই আপনারা যোগ্য অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করবেন।

এ দায়িত্ব ন্যায়পরায়ণতা ও সততার সাথে পালন করতে হবে।
“আমি খুবই আনন্দিত যে সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য ছকীয় পদ্ধতিতে পেশাগত দক্ষতার ও জ্যেষ্ঠতার তুলনামূলক মূল্যায়ন এবং পদোন্নতির জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করবেন। ”
এতে কর্মকর্তাদের সামরিক জীবনে সাফল্য ও শৃঙ্খলার বিষয়টি ‘আপসহীনভাবে’ বিবেচনা করার জন্য পর্ষদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  
“নৈতিকভাবে বলীয়ান ও বিশ্বস্ততায় প্রশ্নহীন অফিসারদের পদোন্নতি প্রদানে অগ্রাধিকারে বিবেচনা করতে হবে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংবিধিবদ্ধ আদেশের প্রতি আনুগত্যবোধকে অফিসারের অনিবার্য যোগ্যতা হিসাবে দেখতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সেনাবাহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে সত্যিকারভাবেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আমাদের সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, স¤প্রসারণ ও আধুনিকায়নে বিশ্বাসী। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.