আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিম্বাবুয়ের ১৫ বছর পর পাকিস্তান বধ

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ধীরে-সুস্থে খেললেও জয়টা পাওয়া যেত। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য যেন তর সইছিল না শেন উইলিয়ামসের। ৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছয় মেরেই পৌঁছালেন জয়ের বন্দরে। ১০ বল হাতে রেখেই সাত উইকেটের জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এই জয়টা নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রাণিত করবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে। সব মিলিয়ে একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা জিম্বাবুয়ের তৃতীয় জয়।
পাকিস্তানের এই সফর শুরুর আগেও বেশ বিপর্যস্ত অবস্থাতেই ছিল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। বর্ধিত বেতন-ভাতার দাবিতে সিরিজ বয়কটের হুমকিও দিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। সেসব সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে মাঠে নামলেও সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি টেলর-মাসাকাদজারা।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচেই হার দিয়ে শুরুটা খুব বাজেভাবেই করেছিল স্বাগতিকেরা। ওয়ানডে সিরিজেও যে ব্যতিক্রমী কিছু ঘটবে, এমন আশাবাদী জিম্বাবুয়ের সমর্থকও হয়তো খুব বেশি ছিল না। কিন্তু আজ ফেভারিট পাকিস্তানকে হারানোর পর নিশ্চয়ই উল্লাসে মাতোয়ারা হয়েছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট অঙ্গন।
জয়ের জন্য ২৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজা আর ভুসি সিবান্দার ১০৭ রানের উদ্বোধনী জুটিটাই গড়ে দিয়েছিল শক্ত ভিত্তি।

২৪তম ওভারে ৫৪ রান করে সিবান্দা সাজঘরে ফিরলেও দলকে জয়ের পথে আরও অনেক দূরই এগিয়ে দিয়েছিলেন মাসাকাদজা। ৩৮তম ওভারে তিনি যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬৯ রান। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে এসেছে ৮৫ রান। বাকি কাজটা সেরে ফেলতে খুব বেশি ঘাম ঝরাতে হয়নি অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ও উইলিয়ামসকে। টেলর ৪৩ ও উইলিয়ামস ৩৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।


এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের অপরাজিত ৮৩ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৭০ রানের ইনিংস দুটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২৪৪ রান জমা করেছিল পাকিস্তান। সফরকারীদের অল্প রানেই আটকে রাখার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন দুই পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও টেন্ডাই চাতারা। কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও পানিয়াঙ্গারার কৃপণ বোলিং ভালোই চাপের মুখে রেখেছিল পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের। ১০ ওভার বল করে তিনি দিয়েছেন মাত্র ৩৮ রান। আর চাতারা ১০ ওভার বল করে ৩২ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন দুটি উইকেট।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.