আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভ্যালেন্টাইন ডে বনাম স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস, ভাষা আন্দোলন বনাম বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস (রি-পোস্ট)

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

(রি-পোস্ট করা সঠিক মনে করিনা, কিন্তু আদর্শগত কারণে রি-পোস্ট করতে বাধ্য হলাম) সময়োপযোগী নেতৃত্বের অভাব আর ভিনদেশী আনুগত্যের কারণে ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেখা এখনো বিদেশী প্রভুদের ছায়াদাস তৈরির কারখানা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। নয়া সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভারতের স্যাটেলাইট সংস্কৃতির মাধ্যমে হিন্দী ভাষার আগ্রাসন যে ভয়াবহ ক্ষতি করে চলেছে, উর্দু ভাষা কখনোই তা করতে পারত না। এই সবে ভর করেই এসেছে ভ্যালেন্টাইন ডে এর মতো দিবস। ১৪ ফেব্রুয়ারি যেখানে আমার কাছে হওয়ার কথা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস, যে দিবসের সাথে, যে ঐতিহাসিক গণ আন্দোলনের সাথে আমাদের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক, যে নুর হোসেনের রক্তের সাথে আমার সম্পর্ক আমাকে মানুষ নামক আশরাফুল মাখলুকাতে পরিণত করে, পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সেই পবিত্র ১৪ ফেব্রুয়ারি সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন করে আমাকে আবদ্ধ করে ভোগবাদী ভালোবাসা দিবসের ক্ষুদ্রতায়, ভালোবাসাকে পণ্য করে সেই পণ্য ফেটিসের গা জোয়ারী জীবন বিধানে আমি আমাকেই ভুলে যাই।

ব্যাবসায়িক স্বার্থে ঠিক এভাবেই আমাকে কেটেকুটে বিচ্ছিন্ন, অসুস্থ্য করা হচ্ছে প্রতিদিন। উপনিবেশি দাস মানসিকতার আরেক উদাহরণ হতে পারে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস নিয়ে অতি উৎসাহ। এমন একধরণের ডিসকোর্স তৈরি করা হচ্ছে যে বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হওয়াই হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি। এধরণের ধারণা তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে বিশেষ একধরণের পশ্চিমা সেবাদাস, আর আমরা সাধারণ জনগণও পশ্চিমা প্রভুদের এই স্বীকৃতিতে আহ্লাদিত হই, গর্বিত হই। সালাম-রফিক-বরকত’দের উত্তরপুরুষ হিসাবে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।

ভাষা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের গরিমা বাড়ায় নাই, বাড়ালে পুরা দুনিয়ার গরিমা বাড়িয়েছে। এই স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিমের আমাদের কিছু দেয়ার নাই, বরং নেয়ার আছে। (ইহা একটি কপি পেস্ট লেখা। আমার "ভাষা আন্দোলনের “বাঙাল” বয়ান - নয়া উপনিবেশ বিরোধিতার “পবিত্র দিবস” আর “আধ্যাত্মিক” উৎস সন্ধান" সিরিজের শেষ পর্ব থেকে কপি পেস্ট, সিরিজের লেখা গুলো খুব বেশি মানুষ পড়েনা, হয়ত বেশি বড় বলে। কিন্তু অন্তত এই অংশটায় আলচ্য বিষয়ে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি)



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।