আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নোয়াখালীর সুবর্নচরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ



নোয়াখালী প্রতিনিধি নোয়াখালীর সুবর্নচরে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সাপ্তাহে তিনি ২০টিরও বেশি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সুবর্নচর উপজেলার আনছার মিয়ার হাট- ছমির হাট রাস্তাাসহ তেরটি রাস্তার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন করার জন্য ২০০৬ সালের জুলাই মাসে উপজেলা পরিষদ ও চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় স্থানীয় জমিদার বাড়ির নার্সারী। চুক্তিনামা অনুসারে ঐ বাগানের ৫৫ শতাংশ মালিক জমিদার বাড়ি নার্সারী। বাকী ৪৫ শতাংশের মালিক ভূমি মালিক সংস্থা, বন অধিদপ্তর, সৈকত কলেজ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ।

গত এক বছরে মতাশীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে সামাজিক বনায়নের এসব পুরাতন গাছ কেটে নিচ্ছে। অথচ এসব বাগানের অংশিদার বন বিভাগ ও উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ হলেও গাছ কাটা বন্ধে তাঁদের কোন ভূমিকাই চোখে পড়েনি। এক সাপ্তাহে স্থানীয় আনছার মিয়ার হাট-ছমির হাট রাস্তার মূল্যবান ২০টিরও বেশি গাছ কেটে নিয়ে যান ছমির হাট বাজার কমিটির সেক্রেটারী ও উপজেলা যুবলীগ নেতা আবুল কালাম ওরপে জাহাঙ্গীর । মতাসীন দলের কর্মী হওয়ায় গাছ কাটার কাজে স্থানীয় কেউ বাধা দেয়ার সাহস পায়নি। গত বছর খানেক সময়ের মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক বনায়নের বাগান থেকে মতাসীন দলের নেতা ও তাদের কাছের লোকেরা কয়েকশ সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যায়।

যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। বাগানের উপকারভোগী হাজীপুর গ্রামের লিয়াকত আলী সুজন জানান, গত কয়েক মাস ধরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও সুবর্নর উপজেলা চেয়ারম্যানের নাতি বলে পরিচিত আজিজসহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি প্রকাশ্যে তাদের তাদের এই বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনিসহ অন্য উপকারভোগীরারা তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েছেন বলে জানায়। গত ২৬ জানুয়ারি বিকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, চার সদস্যের একদল শ্রমিক বিশালাকার একটি নিমগাছ কারছেণ। কিছুদুর গিয়ে দেখা যায় আরো দুটি বিশালাকার মেহগনি গাছ ও ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে কয়েক টুকরো করে রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার শ্রমিক নুর মাওলা এসময় জানান, ছমির হাট বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর তাঁদের দৈনিক ২০০ টাকা জনপ্রতি হাজিরার নিয়োগ করেছেন। ঐদিন তিনটি গাছ কেটেছেন তারা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, গাছগুলো সরকারি বলে তিনি জানেন। জাহাঙ্গীর তাদের বলেছেন উপজেলার চেয়ারম্যঅনের কাছ থেকে তিনি এসব গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছেন। তাই তারাও কাটতে রাজী হয়েছেন।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.