রাজাকার ও তাদের বংশধরেরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাই পাবে
শিক্ষার্থী এএএম মহিউদ্দিনকে নিজেদের কর্মী দাবি করে লাশ চেয়ে শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীতে বের করা ছাত্র শিবিরের মিছিলে লাঠিপেটা করে সংগঠনটির অর্ধশত কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে শিবিরের দাবি নাকচ করে মহিউদ্দিনের বাবা বলেছেন, তার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিনকে।
মহিউদ্দিনের লাশ চেয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী নেতা শাহজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ শতাধিক শিবির নেতা-কর্মী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মর্গের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করে।
এরপর শিবিরকর্মীরা মিছিল নিয়ে এগোলে জামাল খান মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ওই সময় শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়লে পুলিশ পাল্টা লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
প্রায় ১৫-২০ মিনিট দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পুলিশি ধাওয়ায় শিবিরকর্মীরা জামাল খান ও আশকার দীঘির পাড়ের বিভিন্ন ভবনে ঢুকলে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশ ৫০ জন শিবিরকর্মীকে আটক করেছে বলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতায়ালি অঞ্চল) কাজী হেলালউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান।
সংঘর্ষের সময় কাজির দেউরী ও জামাল খান এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তবে দুপুর সোয়া ১টা থেকে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক।
এদিকে জামায়াত-শিবিরের লাশ চাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগ নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান ইমনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর মিছিলটি নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে ২ নম্বর গেইট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
ছাত্রলীগ মহিউদ্দিনকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করে আসছে।
শিবিরের দাবি নাকচ
ছাত্র শিবির মহিউদ্দিনকে তাদের কর্মী দাবি করলেও মহিউদ্দিনের বাবা মো. ফজলুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক।
তাদের কেউ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।
"আমার ছেলে শিবির করতো না। আমরা আওয়ামী লীগ সমর্থক। আমার ছেলের লাশ নিয়ে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লুটুক, এটা আমি চাই না", বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তিনি।
ফজলুল জানান, তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে স্টোর কিপার হিসেবে চাকরি করেন।
"২০০২ সালে জোট সরকারের আমলে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই আমায় বরখাস্ত করা হয়। পরে হাইকোর্টে মামলা করে রায় আমার পক্ষে এলে ৬ মাস আগে পুনরায় যোগদান করি। "
মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনও বলেন, তার ভাই শিবির করতেন না।
তিনি জানান, তাদের তিন ভাই এক বোনের মধ্যে মহিউদ্দিন সবার বড়।
মহিউদ্দিনের হল আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ হোসাইন কবিরও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দরিদ্র পরিবারের ছেলে মহিউদ্দিন ছিলো সাদাসিধে।
শিবিরের রাজনীতিতে তাকে যুক্ত হতে দেখা যায়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।