আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

~~~রাবির হত্যাকান্ড ও এর পরবর্তী........

~~~কেমন যেন একটা উৎকন্ঠায় আছি.......
* রাবির ঘটনায় সাসপেন্ড ৮ পুলিশ: নিরাপদে কমান্ডিং অফিসাররা : রাজশাহী, ১১ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবিরের সামপ্রতিক তাণ্ডব ও ছাত্র হত্যার ঘটনায় এএসআই, নায়েক ও কনস্টেবলসহ ৮ পুলিশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইজিপিসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ৪ ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে ঘটনার রাতে কমান্ডিং ফোর্সের দায়িত্বে থাকা রাজশাহী মেট্রোপলিটান পুলিশের (আরএমপি) উপ-কমিশনার সরদার নুরুল আমিন এবং সহকারী কমিশনার হুমায়ুন কবীর ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি উপরন্তু অভিযুক্ত কমান্ডিং কর্মকর্তা সরদার নুরুল আমিন ৮ পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংবাদকর্মীদের। সাসপেন্ডকৃতরা হলেন-শাহ মখদুম হলের গেটে স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে থাকা সিটি ডিবির এএসআই মহসিন আলম, দাঙ্গা দমন বিভাগের নায়েক আল মামুন ও কনস্টেবল ইসাহাক আলী, আব্বাস আলী, খায়রুল বাশার, নাজমুল হক, আরিফুর রহমান ও মনোয়ারুল ইসলাম। এর আগে উপাচার্যের বাসভবনের লাউঞ্জে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়।

বৈঠকে শিবিরের তাণ্ডবের জন্য পুলিশকে দায়ি করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। পুলিশের ভূমিকা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। অপরদিকে রাবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তোলে পুলিশ। বৈঠকে আইজিপি নূর মোহাম্মদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নওশের আলী ও র্যাব-৫ পরিচালক লে. কর্নেল মইন উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা তুলোধুনো করেন পুলিশকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান, প্রক্টর প্রফেসর চৌধুরী জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

ঘটনার সময় পুলিশ কেন শিবিরকে প্রতিহত করতে পারল না এবং পুলিশ কেন শিবিরের তাণ্ডবে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো সে প্রশ্ন তুলে একজন হল প্রভোস্ট বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করবে। কিন্তু সেই পুলিশ যখন শিবিরের কাতারে এক হয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল তখন আমরাও হতবাক হয়ে যাই। ছাত্রদের রক্তাক্ত দেহ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি পুলিশ। বৈঠকে আরেকজন হল প্রভোস্ট পুলিশের একজন উপ-কমিশনারের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি কি কারণে পুলিশের অর্ধেক ফোর্স প্রত্যাহার করে নিলেন- সে বিষয়টিও তদন্ত করতে হবে। হল প্রভোস্টদের অভিযোগ শুনে আইজিপি বলেন, পুলিশের ভূমিকা কি ছিল-তা তদন্ত করা হচ্ছে।

যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে তাকে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্টরা পুলিশের সঙ্গে ওই রাতে রহস্যজনক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, তারা রাত ১টার পর ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক করেন। কিন্তু হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন না।

তাই কে শিবির বা কে ছাত্রলীগ তা রাতের অন্ধকারে পুলিশের পক্ষে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ওই সময় হল কর্তৃপক্ষের কেউ উপস্থিত থাকলে পুলিশের পক্ষ থেকে শিবির চিহ্নিত করা সহজ হতো। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এসআর/ জেডএম/ সস/ ০০.২০ঘ.) * রাবি কর্তৃপক্ষ-পুলিশ রুদ্ধদ্বার বৈঠক: একে অপরকে দোষারোপ: রাজশাহী, ১০ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবিরের সাম্প্রতিক তাণ্ডবের জন্য পুলিশকে দায়ি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা। পুলিশের ভূমিকা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। অপরদিকে রাবি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তুলেছে পুলিশ।

আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আইজিপি নূর মোহাম্মদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নওশের আলী ও র্যাব-৫ পরিচালক লে. কর্নেল মইন উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা তুলোধুনো করেছেন পুলিশকে। উপাচার্যের বাসভবনের লাউঞ্জে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান, প্রক্টর প্রফেসর চৌধুরী জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু ও বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা বক্তব্য রাখেন ঘটনার সময় পুলিশ কেন শিবিরকে প্রতিহত করতে পারল না এবং পুলিশ কেন শিবিরের তাণ্ডবে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করলো সে প্রশ্ন তুলে একজন হল প্রভোস্ট বলেন, আমরা ভেবেছিলাম পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভাল করবে। কিন্তু সেই পুলিশ যখন শিবিরের কাতারে এক হয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল তখন আমরাও হতবাক হয়ে যাই। ছাত্রদের রক্তাক্ত দেহ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি পুলিশ। বৈঠকে আরেকজন হল প্রভোস্ট পুলিশের একজন উপ-কমিশনারের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি কি কারণে পুলিশের অর্ধেক ফোর্স প্রত্যাহার করে নিলেন- সে বিষয়টিও তদন্ত করতে হবে।

হল প্রভোস্টদের অভিযোগ শুনে আইজিপি বলেন, পুলিশের ভূমিকা কি ছিল-তা তদন্ত করা হচ্ছে। যদি কোন পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে তাকে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। বিশেষ করে প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্টরা পুলিশের সঙ্গে ওই রাতে রহস্যজনক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, তারা রাত ১টার পর ঘটনাস্থল থেকে চলে এসে উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠক করেন।

কিন্তু হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন না। তাই কে শিবির বা কে ছাত্রলীগ তা রাতের অন্ধকারে পুলিশের পক্ষে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ওই সময় হল কর্তৃপক্ষের কেউ উপস্থিত থাকলে পুলিশের পক্ষ থেকে শিবির চিহ্নিত করা সহজ হতো। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এসআর/ জেডএম/ ২২.৩৫ঘ.) শিবির নিষিদ্ধ করার দাবি সুরঞ্জিতের: ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনপুষ্ট ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ বুধবার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, অস্ত্র দিয়ে গুলি করে রগ কেটে মানুষ হত্যা করে ম্যানহোলে লাশ ফেলে দিয়ে রাজনীতি করার কোনো অধিকার শিবিরের নেই। এই সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে। রাবিতে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় শিবির জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সফর করে এসেছেন। তার উস্কানিতেই এ ঘটনা ঘটেছে। সরকার ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকতে এ ধরনের রাজনীতি চলতে পারে না। তাই শিবিবের রাজনীতি বন্ধ করতে সরকারকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ পিএম/ এমএম/ আইএম/ সস/১৭.৪০ঘ ) SHIBIR GROWS UNDER TEACHER-ADMIN CARE. An intelligence agency played key role in recruitment of Jamaat loyalists at RU: Daily Star, 11.02.2010: Islami Chhatra Shibir has been perpetrating a reign of terror on Rajshahi University campus for over two decades with the backup from university administration and pro-Jamaat teachers. Their terror activities cannot be controlled at present as some teachers loyal to Jamaat-e-Islami have been in the administration posing as Awami League loyalists, a few RU teachers told The Daily Star. Shibir, the student wing of Jamaat, has been able to carry out criminal activities and get away with it since the pro-Jamaat teachers have tactfully recruited their men in the RU administration as teachers, officials, proctors and even the vice-chancellor, they said. Another source said even an intelligence agency has worked in favour of Jamaat-Shibir during the recruitment of VC, Pro-VC, proctors and other top officials by giving positive reports to the government on teachers who have good links with Jamaat or work as "secret agents" of that party. The source alleged that present Vice - Chancellor Prof Abdus Sobhan and his close ally Assistant Proctor Mustak Ahmed both have good relations with Jamaat teachers and are secretly working in favour of Shibir men. This administration, which includes the VC, the proctorial body and pro-Jamaat teachers, always works for Shibir men, a teacher of the university said, wishing anonymity. Only the administration of former VC Abdul Khaleque could control Shibir with a strong hand, but others have actually worked to help the student body establish its supremacy on the campus during the tenures of both Awami League and BNP, the teacher said. Proctor Chowdhury Muhammad Zakaria comes from a family with BNP background and Assistant Proctor Mustak Ahmed comes from a family with Jamaat background while Students' Adviser Golam Sabbir Sattar Tapu took part in an election at the university from pro-Jamaat panel, an RU teacher said. "Except for the pro-VC, all key position holders are loyal to Jamaat, so, why will they control the cadre-based politics of Shibir?" he said. When contacted, the RU VC did not agree to speak to The Daily Star. Tapu claimed that he contested the RU Syndicate election from the group of Quader Bhuiyan. "Chowdhury Muhammad Zakaria was also in that group along with other progressive teachers. But I left the group when it went political," Tapu told The Daily Star. Proctor Chowdhury Zakaria told The Daily Star that none of his family members except a maternal uncle, who died, is involved in BNP politics. "My family has a number of Awami League leaders also. Why don't you write about it?" he said. When contacted, Assistant Proctor Mustak Ahmed said, "It would be very difficult to find someone in my family who is involved with Jamaat-Shibir. None of my brothers and sisters and my father are involved with Jamaat-Shibir." According to the university administration sources, there are around 1,100 teachers at RU of whom around 325 belong to the progressive parties, 300 are loyal to BNP and 400 to Jamaat. To maintain its supremacy on the campus, Shibir keeps pressuring the university people by issuing threats directly and indirectly, sources said. Around 60 incidents of clashes among the student wings of different political parties have taken place on RU campus since 1971, which left 28 people killed and over 2,100 injured, sources in the RU administration said. The university remained closed for over 600 days because of the clashes. Shibir has been involved in most of the clashes since 1980s after it started its activities on the campus in 1980. Towards the end of the '80s, left -leaning student wings including Chhatra Moitree became weak organisationally, which helped Shibir establish its supremacy. In the latest incident on Tuesday, Shibir men hacked to death Faruk Hossain, an activist of Bangladesh Chhatra League, in Shah Mokhdum Hall. Around 100 people were injured in the overnight clashes between the activists of BCL and Shibir following the death. Sources said Shibir killed Faruk as a revenge for the killing of RU unit Shibir general secretary Sharifuzzaman Nomani on March 13 last year. A leader of the RU Officers' Association said, "Shibir men used to build a relatives base through marriage in the university area. Later, they started storing arms and sharp weapons in the houses of their new relatives and used to stage showdowns on the campus." Shibir collects tolls from students and businessmen in the name of various programmes and publications to run its cadre-based politics. "We are forced to buy their publications, no matter we support it or not," an RU student said. "Shibir generally targets the poor students of the university and tactfully involves them in its politics by giving them financial help and seats in the halls," a teacher told The Daily Star. Shibir has a strong base not only in and around the RU campus but also at other intuitions in Rajshahi city. The RU unit Shibir has been controlling the university campus with the help of its city unit. Even Shibir cadres from other educational institutions join the RU unit during any clash at RU. The pro-Jamaat teachers also give strong backup to Shibir through ideas, planning, financial help and various administrative facilities, including seat allotment at halls, sources said. THE CULTURE OF TENDON CUTTING Shibir at Rajshahi University uses various methods and devices for torturing its targets both mentally and physically, including killing, intimidation, beating and cutting tendons. Political rivals, students, even teachers and journalists have fallen victim to such tortures over the years. In the '80s, Shibir was known as the rog-kata (tendon-cutting) party, a reference to its favourite tactic of maiming opponents by slicing their tendons. Shibir men would also often cut off the wrists of their opponents. The practice severely damaged its image as a party, which forced them to change their methods of torture. Shibir cadres visit target students in different rooms in university dormitories every day to get them involved in their political activities like group meetings, rallies and processions, keeping mental pressure on them, sources said. They said the Shibir cadres take their targets on a "remand" confining in a room and give them the last warning for acting as per their direction. They threaten them with dire consequences if they fail to do so. Shibir men would take students who go against their directives or fail to give tolls and beat them up mercilessly with iron rods and hammers wrapped in cloth. The method has seldom led to their victims' death but has caused permanent disability to many, sources said. However, RU Shibir has apparently returned to their earlier method of cutting tendons as their cadres cut off the tendons of at least four BCL men and hacked another to death. Shibir men have always had a psychological pressure on the university students, teachers, officers and employees, journalists and even high officials of the university. This has prevented the RU people from expressing their voices freely. শিবিরের বর্বরতার বিরুদ্ধে সর্বত্র ক্ষোভ, ধিক্কার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডারদের তাণ্ডবে গণিত বিভাগের মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। শিবিরের বর্বরতার নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশের অনেক স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে।

একটি প্রশ্নই সবার মুখে মুখে ফিরছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এত শক্তির উত্স কোথায়? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। নগরের মতিহার থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলা দুটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম ও মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এরশাদুল আলম। মাজেদুল ইসলামের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় শিবিরের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। এসআই এরশাদুলের মামলাতেও শিবিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় শিবিরের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ভীতি প্রদর্শন, হামলা ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়। শিবিরের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে নবাব আবদুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শিবির কর্মী সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩৪ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মতিহার থানা ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বিনোদপুর, কাজলা, বুধপাড়া, মেহেরচণ্ডী এলাকাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত শিবিরনিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাস থেকে শিবির কর্মী সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী ও একই হলের শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকও রয়েছেন।

আরও আছেন মনিরুল আলম, তাহা বক্কর, জাহিদ, আবু আউয়াল, মনজুরুল রহমান, শহীদুল ইসলাম, রাসেল, আতাউজ্জামান, মুস্তাফিজ, মোসা কালিমুল্লাহ, সোহেল, জাকারিয়া, কিবরিয়া প্রমুখ। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৩৪ জনকে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ২৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্য ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তিনি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা চান। আইজিপি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত শিবির কর্মীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদেরও চিহ্নিত করা হবে। এ অভিযান চলতে থাকবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন। সংঘর্ষের সময় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজি বলেন, ইটপাটকেল ছোড়ার সময় পুলিশ সরে গিয়েছিল।

এই সুযোগে শিবির তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনার দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শিবির আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পারিবারিকভাবে শক্ত অবস্থান নিয়ে একটা ভিত্তি তৈরি করেছে। ওই এলাকার অনেক মানুষ সীমান্তের ওপার থেকে আসা। তারা শিবির কর্মীদের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে রাজশাহী পৌঁছান। এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের দেখতে যান। তিনি তাঁদের চিকিত্সার খোঁজখবর নেন। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছাত্রলীগ কর্মীদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ায় গুরুতর আহত ফিরোজ মো. আরিফুজ্জামান ও সাইফুর রহমানকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁকা: গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছিল প্রায় ফাঁকা। আবাসিক হলগুলোও ছিল প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত আটটা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছিল পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। একটার দিকে হঠাত্ করে ক্যাম্পাস চলে যায় শিবিরের নিয়ন্ত্রণে।

এ সময়ই ১০টি আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর তারা একতরফা হামলা চালায়। তারা ছাত্রলীগের তিনজনের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং গণিত বিভাগের ফারুক হোসেনকে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়। এরপর পুলিশের সঙ্গে শিবির কর্মীদের রাতভর গুলি বিনিময় হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করলে শিবিরের এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একটি শক্ত ভিতের চিত্র ফুটে ওঠে। প্রশ্ন এখানেই, এই ভিত তারা কোথায় পেল? আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার-সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও এ ঘটনা কেন ও কীভাবে ঘটল, তা জানতে আগ্রহী তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সূত্র বলছে, শিবিরের অস্ত্র ও শক্তির মূলে রয়েছে স্থানীয় কিছু লোকের জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ছাত্রলীগের ভেতরে শিবিরের চরদের ঢুকে পড়া, শিবিরকে পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতা, শিবিরের বহিরাগত ক্যাডারদের ক্যাম্পাসে ঢোকার সুযোগ। জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বুধপাড়া, মেহেরচণ্ডী, বিনোদপুর, কাজলা, কাটাখালি, খড়খড়িসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে অনেক মাদ্রাসা, এতিমখানা, স্কুল ও কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী ফরহাদ আহমেদ, মোমিনুল ইসলামসহ অনেকে জানান, শিবির ইসলামের কথা বলে ও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসসংলগ্ন বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কৌশলে দলে ভেড়ায়। ক্যাম্পাসে শিবিরের মিছিল-সমাবেশে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক বহিরাগত যুবকের সমাগম ঘটে। ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চলাকালে তারা শিবিরের পক্ষে অংশ নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগ কর্মী তৌহিদুর রহমানসহ অনেকে জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ শিবির ক্যাডার ছিল বহিরাগত। এদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসা, স্কুল ও কলেজের ছাত্র। শিবিরের বহিরাগত শক্তি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজুয়ান আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সহজেই বহিরাগত শিবিরসমর্থক ও ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে। হামলার আগ থেকেই শিবির ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিভিন্ন ছাত্রাবাসে অস্ত্র মজুদ রাখে। পুলিশ নিষ্ক্রিয়: ছাত্রলীগের আহত কর্মীরা শিবিরের তাণ্ডবের পেছনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে অনেকাংশে দায়ী করেছেন।

আহত তৌফিক ও লুত্ফর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, পুলিশ প্রথম দিকে নিষ্ক্রিয় না থেকে শিবিরের মিছিল লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে বা লাঠিপেটা করে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিলে এ ঘটনা ঘটত না। সেদিন শাহ মখদুম হলের নিরাপত্তা রক্ষায় বেশ কয়েকজন পুলিশসদস্য মোতায়েন ছিলেন। কিন্তু তাঁদের চোখের সামনেই ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে শিবির ক্যাডাররা কুপিয়ে হত্যা করে লাশ টেনেহেঁচড়ে ম্যানহোলে ফেলে রাখলেও পুলিশ কিছুই বলেনি। আট পুলিশ বরখাস্ত: শিবিরের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সময় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ আট পুলিশসদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের একজনের পা ধরে এক ছাত্র বাঁচার জন্য কাকুতি-মিনতি করেছিলেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মহসীন আলম, নায়েক আল মামুন, কনস্টেবল নাইমুল হক, আরিফুর রহমান, ইসহাক আলী, মনোয়ারুল ইসলাম, আক্কাস আলী ও খায়রুল ইসলাম দায়িত্বে ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এই পুলিশ সদস্যদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের কর্মী ফারুক হোসেনকে শিবির ক্যাডাররা নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়। ছাত্রলীগের কর্মী শাহ নেওয়াজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শিবিরনিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ছাত্রাবাসে পুলিশ নিয়মিত তল্লাশি চালালে অনেক অস্ত্র পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না হওয়ায় ছাত্রশিবির যেকোনো সময় হামলা করার সাহস পায় এবং নানা ধরনের ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক জানান, অনেক জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতি মাসে তাঁদের বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ শিবিরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য দিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে চাকরি পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন জামায়াত-শিবির সমর্থক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অনেক সময় শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযানে যাওয়ার আগে তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি শামসুল আলম দাবি করেন, ছাত্রশিবির একটি আদর্শ রাজনৈতিক সংগঠন।

এ সংগঠন সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অর্থের উত্স সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি সংগঠনের অর্থের বিভিন্ন উত্স থাকা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। তিনি শিবিরের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, শিবিরের অস্ত্র মজুদসহ ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিবির নেতা-কর্মীদের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম অফিস জানায়, নগরের বিভিন্ন এলাকায় শিবিরের ১৩৫টি মেসে গতকাল রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে নগর পুলিশের ১২টি দল।

শিবির ক্যাডাররা রাজশাহী থেকে পালিয়ে এসে চট্টগ্রামের মেসে অবস্থান করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ নিয়ে গতকাল রাতে নগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জমানের সভাপতিত্বে তাঁর দপ্তরে পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এতে মেসগুলোতে অভিযান পরিচালনার ছক চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি-ডিবি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের মেসগুলোতে কিছু বহিরাগত লোকের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এ কারণে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।

Others Facts: নিহত ছাত্রের রাজনৈতিক পরিচয় নেই: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের গুলিতে নিহত ছাত্রের রাজনৈতিক পরিচয় জানেন না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতারা নিহত ফারুককে তাদের কর্মী বলে দাবি করেছেন। ঘটনার পর ফারুকের পরিচয় নিয়ে মিডিয়ায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে তার দফতরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ছাত্রের কোন রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী না বোধক জবাব দেন।

তবে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। গত রাতে সংঘর্ষের পর সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সংক্ষিপ্ত) সূত্র: (শীর্ষ নিউজ ডটকম/আরএইচ/এমএনএম/এসএম/১৬:৩৭ঘ.) নিহত কর্মী ছাত্রলীগের; জড়িত জামায়াত: আশরাফ : ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াত ও শিবির নেতাদের দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পলী্ল উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সমপ্রতি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রাজশাহী সফরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

(সংক্ষিপ্ত) (শীর্ষ নিউজ/পিএম/ডিকেডি/আরআর/এস) আশরাফের বক্তব্য অসংযত ও অসত্য: মুজাহিদ: ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি (শীর্ষ নিউজ ডটকম): জামায়াত সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য অসংযত ও অসত্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যার সাথে জামায়াত আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বড় মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আশরাফুলের সমালোচনা করে মুজাহিদ বলেন, তার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদার ব্যক্তির কাছে জাতি এ ধরনের অনভিপ্রেত বক্তব্য আশা করে না। তার এই বক্তব্যের কারণে সারা দেশে ছাত্র, যুব ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা জামায়াত ও শিবিরের অফিস, ছাত্রাবাস ও মেসে হামলা চালাচ্ছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর সমাবেশে মতিউর রহমান নিজামী কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেননি দাবি করে তিনি বলেন, মাওলানা নিজামী সেদিন সরকারের ভালো কাজে সহযোগিতা ও সরকারকে আরো সময় দেয়ার পক্ষে কথা বলেছিলেন।

আশরাফ সাহেব তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি যদি মাওলানা নিজামীর বক্তব্য নিজে শুনতেন বা পত্রিকায় ভালো মত পড়ে দেখতেন তবে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারতেন না। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মুজাহিদ বলেন, রাজশাহীর ঘটনায় এখনই সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করা মুশকিল। কারণ সেই পরিমাণ তথ্য এখনো আমাদের হাতে আসেনি। এখানে ছাত্রলীগও আছে, শিবিরও আছে।

তবে কোন পক্ষকেই এখনই দোষী বা নির্দোষ দাবি করা সম্ভব নয়। তদন্তের আগে এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসলাম রগ কাটাকে সমর্থন করে না। শিবিরকে সাংগঠনিকভাবে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (শীর্ষ নিউজ ডটকম/ এসকে/ জেডএম/ সস/ ১৯:০১ ঘ.) সম্পাদনায়ঃ সোহেল খন্দকার
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.