আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিজাহাট ও কেএফসির পার্কিং সংকট নিয়েও ডেইলি স্টারে প্রতিবেদন দেখতে চাই। (নিজেদেরকে বদলাতে হবে আগে)

তারা বলে সম্ভব না, আমি বলি সম্ভাবনা

রাজধানীর মেগাশপগুলোতে পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং নেই অভিযোগ করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ ছেপেছে ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার। পত্রিকাটির অন্যতম মালিক ট্রান্সকম গ্রুপ। অথচ একই গ্রুপের ট্রান্সকম ফুড লিমিটেডের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চইজি ফুড চেইন শপ কেএফসি ও পিজা হাটেও গাড়ি রাখার যথাযথ ব্যবস্থা নেই। সরেজমিনে রাজধানীর ধানমন্ডি, সাত মসজিদ রোড, নিউইস্কাটন ও গুলশানের কেএফসি এবং পিজাহাট এ গিয়ে দেখা গেছে কার পার্কিং এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় খদ্দেরদের ভিড়ে সেখানে নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের (ধানমন্ডি ৭/এ নম্বর রাস্তার রোডের ৮৪ নম্বর বাড়ি) কেএফসি একটি আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনে।

পুরো ভবনটির কার পার্কিং বেইজমেন্টে। নিজস্ব নিরাপত্তা বিভাগ দিয়ে ফুটপাত এবং সামনের রাস্তôা দখল করে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে কেএফসি। শাখা ম্যানেজার সোহেল ইকবাল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এখানে ফুটপাতে ছয়টি গাড়ি রাখার মতো পার্কিং রেখেছে কেএফসি। একাধিক স্থানীয় দোকানদার আমাদের সময়কে জানান, কেএফসি ওই ভবনের দুটি ফ্লোর ভাড়া নিলেও তার পর্যাপ্ত কার পার্কিং নেই।

এখানে ক্রেতাদের ৯০ভাগই গাড়ি নিয়ে আসেন। কেএফসির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তখন রাস্তার ওপরে পার্কিং ব্যবস্থা করেন। এটা চার রাস্তার মোড়ে হওয়ায় দুপুর-বিকাল আর সন্ধ্যায় যানজট লেগেই আছে। এ নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। ধানমন্ডির ৫৪, সাত মসজিদ রোডের পিজাহাটের কোন পার্কিং নেই, কিন্তু নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী আছে।

কেউ গাড়ি নিয়ে এলে রাস্তার ওপরে গাড়ি দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দেয়। পিজা হাটের কাউন্টারে থাকা মোঃ হানিফ জানান, সামনের রাস্তা গাড়ি পূর্ণ হয়ে গেলে পেছনের রাস্তায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। ভবনের নীচতলার দোকানদার জুবায়ের রহমান বলেন, চার রাস্তার মোড়ে সব সময় যানজট হওয়ার একটিই কারণ এই পিজা হাটে আসা ক্রেতাদের গাড়ি। গতকাল দুপুর দুইটায় পিজা হাটের সামনে ১০টি গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিলো। একই অবস্থা ৪০০ নিউ ইস্স্কাটনের কেএফসির শাখার ক্ষেত্রে।

আশপাশের একাধিক দোকানদার জানান, বাংলামটর থেকে মগবাজার সবচেয়ে যানজটপূর্ণ এলাকা। কেএফসির এ শাখাটির কারণে এখানে বড় ধরনের যানজট হয়। ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না। কাউন্টারে থাকা জব্বার জানান, সব ব্যবস্থা এখানে আছে। গুলশান পিজাহাটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে দুটি গাড়ি ছাড়াও ফুটপাত ও রাস্তôার ওপরে আরো নয়টি গাড়ি দাঁড়িয়ে।

নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি লম্বালম্বি করে রাখে। ‘কার পার্কিং’ লেখা দুটি স্ট্যান্ড থাকলেও সেখানে গাড়ি নেই। এ ব্যাপারে রাজউকের চেয়ারম্যানে প্রকৌশলী নূরুল হুদা জানান, একাধিক মেগাশপের ক্ষেত্রে অভিযোগ আছে। এখন যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। পার্কিং ছাড়া ভবনগুলোর ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাজউকের কর্মকর্তারা জানান, বারবার নোটিশ দেয়ার পরও ফাস্ট ফুডের দোকান ও শপিং সেন্টারের গাড়ি রাখার নিজস্ব জায়গা তৈরি করা হয়নি। ইহা একটি কপি পেষ্ট পরিবেশনা............... সূত্রঃ Click This Link লেখক সুজিত নন্দী

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।