আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টমেটোর যত গুণ

প্রকৃত বন্ধুত্ব কখনো হারায় না, বেঁচে থাকে হৃদয়ে

টমেটো একটি ফল। আমরা খাই সবজি হিসাবে। খাই কাঁচা, সালাদে। আর রান্না করে তরকারিতে। টমেটো ঈষৎ টক।

তবে যে জাতের টমেটো পানিতে ডুবে যায় সেগুলো একটু মিষ্টি জাতের। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে আছে: ভিটামিন এ ১০০০ আই ইউ, ভিটামিন। সি ২৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৬০ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ১ গ্রাম। আছে নিকোটিনিক এসিড ও প্রচুর গ্লুটামিক এসিড (৮৬-১৪০ গ্রাম)। একশো গ্রাম টমেটো থেকে শক্তি পাওয়া যায় প্রায় ২০ ক্যালরি।

টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। টমেটো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর ভিটামিন এ ত্বককে সুন্দর রাখে। ভিটামিন সি স্কার্ভি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন কে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।

নিকোটিনিক এসিড রক্তের কোলেষ্টেরল কমায়, তাই হৃদরোগ প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক। গ্লুটামিক এসিড মস্তিষ্ককে রাখে সুস্থ। টমেটোর পটাশিয়াম স্ট্রোক প্রতিরোধে কার্যকরী। হনলুলুর কুইন্স মেডিক্যাল সেন্টারের নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের ডা: দেবোরা এম গ্রীন এক গবেষণায় দেখেছেন, খাদ্যে পটাশিয়াম কম থাকলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি। যে সব লোক দৈনিক ২.৪ গ্রামের চেয়ে কম পটাশিয়াম খান তাদের, দৈনিক ৪ গ্রামের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম গ্রহণকারীদের তুলনায় স্ট্রোকের সম্ভাবনা দেড় গুণ বেশি।

'লাইকোপিন' নামক এক ধরনের শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে টমেটোর রং লাল। টমেটোর ন্যায় এত অধিক লাইকোপিন আর কোন ফল বা সবজিতে আছে বলে জানা নাই। লাইকোপিন শরীরের ফ্রি রেডিক্যালগুলোকে নষ্ট করে দিয়ে কোষগুলোকে হেফাজত করে। লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। প্রষ্টেট, বৃহদন্ত্র, মলাশয়, পাকস্থলি, গ্রাসনালী ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো সহায়ক বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ।

লাইকোপিন শরীরে তৈরি হয় না, তাই বাইরে থেকে এর সরবরাহ প্রয়োজন। সুতরাং টমেটো আমাদের চাই-ই। রান্নায় লাইকোপিন নষ্ট হয় না, বরং বাড়ে। তাই টমেটো তরকারীতে দিয়ে রান্না করে খাওয়াও বাড়তি উপকার। দৈনিক কয়টা টমেটো খেলে এসব উপকার পাওয়া যাবে? এক গ্লাস রস হয়-এই পরিমাণ।

অর্থাৎ দিনে তিন থেকে চারটি টমেটো তো লাগবেই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।