আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজয়ী বিদ্যা...

সবাইকে আমার ব্লগে শুভেচ্ছা

কজন অভিনেত্রী অমিতাভ বচ্চনের মা হতে পেরেছেন? আমি সেই সৌভাগ্যবতী। যখন অভিনয় করতাম না, তখন অমিতজিকেই অভিনয়ের “গড” মানতাম। আজ সেই অমিতজি আমাকে শুটিংয়ের বাইরেও “মা” বলে ডাকেন। এক জীবনে আর কী চাই?’—বলছিলেন বিদ্যা বালান। সদ্য মুক্তি পাওয়াপা ছবিতে প্রোজেরিয়ায় আক্রান্ত ১৩ বছরের কিশোর অরোর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা; আর এই অভিনয়ই তাঁকে এনে দিয়েছে প্রথমবারের মতো সেরা অভিনেত্রীর স্টার-স্ক্রিন পুরস্কার।

বিজয়ীর হাসি ছড়িয়ে বিদ্যা বলেন, ‘প্রথম ছবি পরিণীতার জন্য প্রশংসার প্লাবনে ভেসেছিলাম। তারপর অনেক সফল ছবি উপহার দিলেও এতটা প্রশংসা পাইনি, যতটা পেয়েছি পা মুক্তির পর। মুক্তির প্রথম তিন দিন তো অন্য কোনো কাজই করতে পারিনি। শুধু ফোন রিসিভ করেছি আর এসএমএস, ই-মেইলের উত্তর দিয়েছি। ’ দেড় বছর বিরতির পর বিদ্যার কোনো ছবি মুক্তি পেল।

এত দীর্ঘ বিরতির কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের ওপর কিছুটা অভিমান করেছিলাম। তাঁরা আমার অভিনয় বাদ দিয়ে আমার ওজন, পোশাক—এসব নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল। হে বেবি ছবিতে আমার পোশাক যেন দেশের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিজেকে নিয়ে একটা সময় দ্বিধার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার সম্বলই তো শুধু অভিনয়-প্রতিভা, গ্ল্যামার ডল হওয়া আমার সাধ্যে নেই।

ভাগ্য ভালো বালকি, বিশাল ভরদ্বাজ, সঞ্জয় লীলা বানসালি আমার অভিনয়-প্রতিভাকেই সম্মান জানিয়েছেন। তাঁদের কারণেই আমি আবার অভিনয়ে ফিরে এসেছি। পা মুক্তির এক সপ্তাহ পরই বানসালির চেনাব গান্ধীর কাজ শুরু করেছি। কাকতালীয়ভাবে এ ছবিতেও অমিতজি আছেন। তবে এবার আমি তাঁর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি।

’ এটা ঠিক, তথাকথিত ‘গ্ল্যামার ডল’ না হয়েও বিদ্যা তাঁর চার বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ঝুলিতে ভরেছেন ১০টি ছবি, যার মধ্যে মাত্র তিনটি ফ্লপ (সালাম-ই-ইশক, একলব্য, হল্লা বোল), চারটি হিট (পরিণীতা, গুরু, কিসমত কানেকশন, পা) এবং তিনটি ব্লকবাস্টার হিট (লাগে রাহো মুন্নাভাই, হে বেবি, ভুল ভুলাইয়া)। এই ১০টি ছবির মধ্য থেকে বিদ্যাকে প্রিয় পাঁচটি ছবির নাম বেছে নিতে বলা হয়। বিদ্যা বেছে নেন—পরিণীতা, ভুল ভুলাইয়া, পা, লাগে রাহো মুন্না ভাই এবং মুক্তি প্রতীক্ষিত ইশকিয়া। সব কটির মধ্যে ইশকিয়ার কৃষ্ণা চরিত্রটি বিদ্যার সবচেয়ে প্রিয়। ইশকিয়া মুক্তি পাবে আগামী সপ্তাহে, এই প্রথম বিদ্যা ধূসর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

অভিনয়ের জন্য ওজন বাড়িয়েছেন। আরশাদ ওয়ার্সির সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। গ্রাম্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন আরশাদ ও নাসিরউদ্দিন শাহের সঙ্গে। বিদ্যা বালানের মুখ থেকে গালি? আরশাদের সঙ্গে চুম্বন? বিদ্যা কি তবে বিশাল ভরদ্বাজের নাম দেখেই ছবিটি করতে রাজি হয়েছিলেন? ‘অবশ্যই নয়’, বিদ্যার যুক্তি খণ্ডন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কোনো ছবিই চিত্রনাট্য না শুনে সই করিনি; সে যত বড় নির্মাতা হোক। ইশকিয়ার বিশেষত্ব এর স্বাভাবিকতা।

হিন্দি ছবিতে নায়িকার চরিত্র হয় সতী সাবিত্রী, নয়তো ভ্যাম্প। ভালো-মন্দের সমান্তরাল চরিত্র সচরাচর পাওয়া যায় না। এ কারণেই ইশকিয়া আমার কাছে বিশেষ কিছু। ছবির “ইবনে বতুতা” গানটির জন্য মদ খাওয়ার অভিনয়ও করতে হয়েছে, যেখানে বাস্তবে কখনো অ্যালকোহল ছুঁয়েও দেখিনি। ’ নাসিরউদ্দিন শাহের বিপরীতে অভিনয় করলেও বিদ্যার প্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, উত্পল দত্ত ও শ্রীদেবী।

যদিও তিনি স্বপ্ন দেখেন শাহরুখ খান, আমির খানের সঙ্গে কাজ করার। শাহরুখ খান থাকলে আইটেম গানে কাজ করতেও আপত্তি নেই বিদ্যার। তবে অবশ্যই নিজস্বতা জলাঞ্জলি দিয়ে নয়। ‘প্রয়োজনে ঘরে বসে থাকব, তবে নীতিবিরুদ্ধ কোনো কাজ করব না’, বিদ্যার বিবৃতি (প্রথম আলোয় প্রকাশিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।