আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসম্ভব প্রিয় দুইটা অল্টারনেটিভ মেটাল, বন্ধুত্ব যেখানে হার মানেনা মৃত্যুর কাছে.....

My scars remind me that the past is real, I tear my heart open just to feel........

২০০০-২০০১ সালের কথা। ইন্টারে পড়ি, বন্ধুদের সাথে আড্ডার অন্যতম বিষয় থাকে WWF পরে যা নাম পাল্টে হয় WWE. কঠিন ভক্ত ছিলাম রেসলিংএর। জটিল লাগত, আজ মনে পড়লে কিছুটা হাসিই পায়। খুব আগ্রহ নিয়ে বসে থাকতাম বিখ্যাত রেসলারদের ফাইট দেখার জন্য। চিনতাম কিভাবে কে আসছে? এনট্রান্সের গানগুলো শুনে।

আমার অন্যতম ফেভারিট ছিল আন্ডারটেকার, রিংএ আসার সময় বাজত 'ডেড ম্যান ইজ ওয়াকিং.....কিপ রোল ইন, রোল ইন, রোল ইন' (লিম্প বিজকিট - রোল ইন)। ওরা বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করত হেভি মেটাল অথবা অল্টারনেটিভ মেটাল এনট্রান্স সং হিসেবে (র‌্যাপকে গান বলতে ইচ্ছা করেনা)। যাই হোক, পোস্ট যে জন্য। ২০০১ এর সামারস্লামে হঠাৎ বেজে উঠল একদিন একটা পুরা অন্যরকম গান, লেট দ্যা বাডিস হিট দ্যা ফ্লোর, লেট দ্যা বাডিস হিট দ্যা ফ্লোর, লেট দ্যা বাডিস হিট দ্যা ফ্লোর,লেট দ্যা বাডিস হিট দ্যা ফ্লোররররররররররররররররররররররর, হ্যাঁ, আমি ড্রাউনিং পোলের ডেভ উইলিয়ামসের গাওয়া বাডিস গানটার কথাই বলছি। ২০০৮ এর 37 Stitches গানটা বের হওয়ার আগ পর্যন্ত বাডিস ছিল ওদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান।

দেখুন মিউজিক ভিডিওটা, ভাল লাগবেই। অথবা বড় করে দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=sO_QntXc-c4 ডেভ উইলিয়ামস অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। অল্পদিনেই ব্যান্ডের প্রচুর জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ ছিলেন এই হাসিখুশি মানুষটির মিউজিক সেন্স এবং ভোকাল এবিলিটি। ২০০২ সালে এক ট্যুরের সময় ট্যুর-বাসে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তিনি মারা যাওয়ার পর ২০০৭ সাল পর্যন্ত ব্যান্ডের জন্য কোন স্ট্যাবল ভোকাল পাওয়া যায়নি।

এবার এই গানটা শুনুন/দেখুন- অথবা বড় করে দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=dguZU-71oRA ইল নিনো মানে কম বেশি সবাই জানেন, একটা ঝড়ের নাম। এই ইল নিনো (Ill Niño) একটা আমেরিকান ল্যাটিন মেটাল ব্যান্ড, গানটা শুনলেই বুঝতে পারবেন ল্যাটিন মেটাল নামকরণের কারণ কি। ব্যান্ডের ভোকাল ক্রিসটিয়ান মাকাডোর জন্ম ব্রাজিলে, বড় হয়েছেন ভেনেজুয়েলায়। অনেক বড় হওয়ার আগ পর্যন্ত জানতেননা বাবার পরিচয়, জানার পর বাবার প্রতি জন্মে ঘৃণা। পরে অবশ্য বাবার সাথে যোগাযোগ স্হাপিত হয়, এখন রেগুলার মেইলে কন্টাক্ট করেন বাবার সাথে।

How Can I Live গানটা কম্পোজ করেছিলেন বাবার উদ্দেশ্যেই। শুনে দেখুন প্লীজ, আর কারো অল্টারনেটিভ মেটালে কঙ্গোর ব্যবহার পাবেন না! ডেভ উইলিয়ামস আর ক্রিসটিয়ান মাকাডো ছিলেন অসম্ভব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ডেভের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তাদের এই বন্ধুত্ব এতটাই ঘন ছিল যে, দুই ব্যান্ড একসাথে প্রচুর ট্যুর তো করতই, সাথে ব্যান্ডমেম্বার দের মাঝেও ছিল আলাদা হৃদ্যতা। তাই ডেভ মারা যাওয়ার পর, ডেভের পারিবারিক সিদ্ধান্তে ডেভের পরিবার এবং ড্রাউনিং পোলের মেম্বাররা ডেভের মাইক্রোফোনটি দিয়ে দেয় ক্রিসটিয়ান মাকাডোকে। ইল নিনোর গানগুলোতেএখনো ব্যবহার করেন ক্রিসটিয়ান মাকাডো সেটি ( বাডিস গানটিতে ডেভ অন্য মাইক্রোফোন ইউজ করেছেন)।

এজন্যই পোস্টের শিরোনাম দিয়েছিলাম বন্ধুত্ব যেখানে হার মানেনা মৃত্যুর কাছে..... এম.পি.থ্রী. ডাউনলোড লিংক: Drowning Pool - Bodies Click This Link Ill Nino - How Can I Live Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।