আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার গান্ধীর স্বাদেশিকতা!



স্বদেশের বিশ্বখ্যাত মসলিন কিংবা জামদানির ঐতিহ্য তাদের আন্দোলিত করে না। লোকজ বাংলা নকশিকাঁথা এবং সিলেটের বিশ্বনন্দিত শীতলপাটিও তাদের অনুপ্রাণিত করতে অপারগ। ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ‘চরকাকাটা’ তাদের মূল প্রেরণা। আর এই প্রেরণা থেকেই বাংলাদেশী দশটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় দেশীদশ ভারতীয় জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে আয়োজন করছে ‘গান্ধীর স্বাদেশিকতায় দেশীদশ’ শীর্ষক প্রদর্শনী। ভারত তোষণের উলঙ্গ প্রতিযোগিতার নতুন সংযোজন এই প্রদর্শনী আগামী ২১ জানুয়ারি শুরু হবে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে।

চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। গান্ধীর স্বাদেশিকতাকে অনুসরণ করার আহ্বান সংবলিত এই প্রদর্শনী নিয়ে এরই মধ্যে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার মসলিন মুঘল অন্দরমহলের অন্তর কেড়েছিল; উঠেছিল মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের প্রতীক হয়ে। মুঘল সম্রাজ্ঞী নূরজাহানের প্রিয় বস্ত্র ছিল ঢাকাই মসলিন। এমনকি মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পরও মসলিনের এই মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়নি।

ব্রিটেনের মহারানী ভিক্টোরিয়া রাজা রামমোহন রায়ের কাছ থেকে একটি মসলিন বস্ত্র উপহার পেয়ে আনন্দ ও বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন। তার মন্তব্য ছিল, এ ধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র তৈরি করা কীভাবে সম্ভব! বস্ত্রশিল্পে ঢাকার অনন্যতার উল্লেখ আছে রবীন্দ্রনাথের কবিতাতেও। তার বিখ্যাত ‘বাঁশি’ কবিতার নায়িকার ছিল ‘পড়নে ঢাকাই শাড়ি কপালে সিঁদুর....’। মসলিনের আধুনিক সংস্করণ জামদানি এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো বিশ্ব। শত শত বছরের এই ঐতিহ্য আকৃষ্ট করতে পারেনি দেশীদশকে।

তাদের আকৃষ্ট করেছে গান্ধীর ‘রাজনৈতিক চরকাকাটা’। প্রদর্শনী সামনে রেখে দেশীদশ আমন্ত্রণপত্রে লিখেছে : ‘ভারতবর্ষে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বানে আন্দোলিত হয়েছিল এ অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষ। গান্ধীর সে আদর্শকে পাথেয় করে আজও যারা চলার প্রয়াসী, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট তাদের অন্যতম। দেশীদশ তার চলার শুরুতে এদেশের কারু ও বয়নশিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি এ জাতির যা কিছু অর্জন ও গৌরবের, সেই সবকিছুকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার প্রত্যয় জানিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সহায়ক হিসেবে আমরা ২১ থেকে ২৬ জানুয়ারি আয়োজন করেছি গান্ধীর স্বাদেশিকতায় দেশীদশ শীর্ষক প্রদর্শনী।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন ২১ জানুয়ারি সকাল ১১টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। বিশেষ অতিথির তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশে ইউনেস্কো প্রতিনিধি মালামা মেলেইসি এবং রামেন্দু মজুমদার। মুখ্য আলোচক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। সভাপতিত্ব করবেন দেশীদশ-এর সমন্বয়ক আশরাফুর রহমান ফারুক।

’ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.