আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পান্ডুলিপির পাতা থেকে//কবিতা// ১. অবাঞ্ছিত উপহার



সুপ্রিয় ব্লগার এবং পাঠকবৃন্দ, একটি ডায়েরি যেটি ছয়টি বছর পর এই মাত্র ফিরে পেলাম। ডায়েরিখানা হারিয়েছিলাম ২০০৪ সালে। অনেক খুজাখুজি করেও ডায়েরিটার কোনো হদিস পাইনি এতদিন। ২০০৪ সাল থেকে কর্মস্থল দুবাই। গত কয়েক মাস পূর্বে ছোট বোন শিউলি আমাকে বলেছিলো- ভাই একখানা পুরোনো ডায়েরি আমি পেয়েছি- ওই ডয়েরিটাই সম্ভবত আপনি এতদিন খুজাখুজি করছেন।

আমি চমকে গেলাম শিউলির ফোন পেয়ে। নিশ্চিত হলাম ওটাই আমার হারানো ডায়েরিখানা। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। আমি কৃতজ্ঞ শিউলির কাছে। আজ কিছুক্ষন পূর্বে সেই হারানো ডায়েরিটা হাতে পেলাম।

বড় ভায়ের ছেলে আরিফ দুমাসের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলো। আরিফ ছুটি শেষে আজ দুবাই ফিরে এসেছে। এই মাত্র ওকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে বাসায় নিয়ে এলাম। বাড়ি থেকে আমার জন্য বড্ড যত্ন করে, বড্ড আদর করে অনেক কিছু পাঠিয়েছে। সাভারের প্রসিদ্ধ কালী সাহার রস গোল্লা, রসমালাই, মায়ের হাতের চেপা শুটরির ভর্তা, কালিজিরার ভর্তা, জলপাই এর ঝাল আচার ইত্যাদি খাবার।

কিন্তু আমার পরান জুড়িয়ে গেলো আমার হারানো ডায়েরিখানা হাতে পেয়ে। নিজের লেখা কবিতা, গান ইত্যাদির একটি পান্ডুলিপি এই ডায়রিখানা। ৯০ এর দশকে লিখেছিলাম কবিতা এবং গানগুলো। প্রিয় বন্ধগন ফিরে পাওয়া এই পান্ডুলিপিতে লেখা গান ও কবিতার চরন ও পংক্তিমালা ক্রমানুসারে ব্লগে প্রকাশ করার ইচ্ছা পোষন করছি। ভাল মন্দের বিচার আপনাদের উপর।

(১৭/০১/২০১০) অবাঞ্ছিত উপহার তুমি চলে গেলে চিরতরে রেখে গেলে স্মৃতি তোমার বিরহে স্তব্ধ প্রাণ হারিয়ে গেছে সব প্রীতি। কতদিনের হাজারো কথা মনে পড়ে রহি রহি আজকে আমি শুধুই একা তুমি যে পাশে নাহি। বুকের ভেতর জ্বলছে চিতা নিঁভেনা জল দিলে কি থেকে কি হয়ে গেলো (তাই) ভাবি বসে তরু তলে। পাগরের মতো ঘুরে বেড়াই হেরিতে তব মুখ কত শত মুখ দেখিছে নয়ন তবু আসেনা তো মনে সুখ। আশা ছিলো বাঁধিতে ঘর একে অপরের লাগি সর্বনাশা ঝড় এসে সব করে দিলো বিভাগী।

কোথায় তোমায় ওড়িয়ে নিলো রাক্ষসী কালো ঝড় কোথা গেলে শুনিতে পাবো (বন্ধু) তোমার কন্ঠ স্বর। কতদিন দেখিনা তোমায় কেমন করে আমি বাঁচি আর কোনো দিন পাবো কিনা তাই তো মনে যাচি। নাই নাই কোথাও নাই আমার প্রাণের সাথী তোমাকে হারিয়ে ইনাম পেলাম এই বিরহের অহরাতি। ২৫ জুন, ১৯৯৭

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।