আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনলাইনে শিবিরের অবাধ মিথ্যাচার

যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন ধর্ম, মত ও শ্রেণী-পেশার লাখো কর্মী-সমর্থককে ঢালাওভাবে 'নাস্তিক' প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে অসংখ্য ওয়েবসাইট ও ব্লগ। এ জন্য ছবি জালিয়াতি থেকে শুরু করে হত্যার হুমকি-ধমকি, অশ্রাব্য, আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ কিছুই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। অপপ্রচারের অস্ত্র হিসেবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাঁর সঙ্গে একই কাতারে ফেলা হচ্ছে হাজারো সাধারণ আন্দোলনকারীকে। এ প্রসঙ্গে শাহবাগে আন্দোলনরত ব্লগাররা বলছেন, ১৯৭১ সালেও পাকিস্তানপন্থী মহলগুলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে জনমত তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। গতকাল বুধবার দিনভর ফেসবুক মনিটর করে দেখা গেছে, হাজারো মানুষ যখন অনলাইনে সোচ্চার যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে, তখন বিভিন্ন পেজে যুদ্ধাপরাধ বিচারের আন্দোলন নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে।

মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত, জাল আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে নোংরা, আপত্তিকর, অশ্লীল ভাষা। ফেসবুক পেজ ফারায়েজী আন্দোলনে গতকাল বিকেলে এক পোস্টে বলা হয়, 'শাহবাগ হল ...খানা। শাহবাগের নাস্তিকদের যদি সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার না করে তাহলে পল্টনের ময়দানে জবাই করা হবে। ' পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও সংযুক্ত করা হয়। যাতে দেখা যায়, কোনো একটি ইসলামী সংগঠন শাহবাগের যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনকে নাস্তিক্যবাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বলে অভিযুক্ত করছে।

নিউ বাঁশের কেল্লা পেজে দেখা যায়, এটিএন নিউজে প্রচারিত খবরের একটি ফুটেজ- তাতে স্লোগান দিচ্ছেন একজন নারী ব্লগার। পোস্টের শুরুতে বাঁশের কেল্লা বলে, 'মন্তব্যের ভার আপনাদের ওপরই ছেড়ে দিলাম... কাদের পক্ষে এমনটা করা সম্ভব'। এরপর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৬ ঘণ্টায় ভিডিওটি কপি হয় ৪৭৯ বার, নানা ধরনের মন্তব্য করা হয় ৪৯০টি। এর অনেক মন্তব্যই ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য। শাহবাগ আন্দোলনের চিত্রের সঙ্গে বাইরের আপত্তিকর একটি দৃশ্য ফটোশপ বা এ জাতীয় কোনো সফটওয়ারে জুড়ে দিয়ে অশ্লীলতা প্রমাণেরও চেষ্টা চলছে ফেসবুকের এসব পেজসহ বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে।

ছবির নিচে লিখে দেওয়া দেওয়া হয়- 'ঐতিহাসিক রাতের প্রজন্ম চত্বর, শাহবাগ। আপনার সন্তানকে এমন... উপভোগ করাতে চাইলে প্রজন্ম চত্বর ওরফে প্রজনন চত্বর শাহবাগে পাঠান। এখানে রাতে... মেলা হয়। ' বিষয়টি আন্দোলনকারীদের চোখে পড়লে তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানান মৌলিক ছবি ও সেই সঙ্গে বাইরে থেকে জুড়ে দেওয়া ছবিটি পৃথকভাবে পোস্ট করে। ফেসবুকের jibonjekhane.jemon.1 পেজে একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের আক্রমণ করা হয় জাকিরুল ইসলাম নামের একজনের টেঙ্ট-ছবি শেয়ার করার মাধ্যমে।

ছবিতে লেখা : 'ইউরেকা, ইউরেকা, ইউরেকা! কেন শাহবাগ কনসার্টকে ২য় মুক্তিযুদ্ধ বলা হচ্ছে? খুঁজে পাওয়া গেছে আসল রহস্য! ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত সত্য হল, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আ. লীগের নেতারা ময়দান থেকে পালিয়ে ভারতের বিভিন্ন পল্লীতে, নাচ, গান, আমোদ-ফুর্তিতে বিভোর ছিল... সুতরাং তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ মানে শত্রুর মোকাবেলাও নয়, বরং নেশা ও নারীর উন্মাদনাই হল তাদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ। ' (প্রজন্ম ৭৭)। এ ধরনের পেজগুলোর মধ্যে আরো আছে rfaraejiandolon, newbasherkella, sobarage, sorolpath, TheMuslimOnlineNews, hidden1truth, savesaidi, worldunderkhilafah, younggeneration.bd (তরুণ প্রজন্ম), TomsomBagomComeBac, toprealbreaking24, nastikmukto, jibonjekhane.jemon.1, nilkothir, 18party, pir.baba.96 (আলোচিত বাংলা), FreeSayedee, TineraCaleKakaAmitoAbaka, thotfore ও Islam-in-Bangladesh/259554330775243। http://www.facebook.com এই অ্যাড্রেসের পর স্ল্যাস (/) দিয়ে পেজের নাম টাইপ করেই পেজগুলো দেখা যায়। এ ছাড়া 'খিলাফত আসছে কাফের, জালিম ও নাস্তিকরা কাঁপছে', আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই', 'শাহবাগ : প্রজন্ম চত্বর' নামের পেজের মাধ্যমেও অপপ্রচার চালাতে দেখা গেছে।

ফেসুকের বাইরে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগেও চলছে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। TajSylhet1, kashem6.webnode.com (হিলফুল ব্লগ, ব্লগার মোহাম্মদ কাশেম) islamicnews24.net, humanity2011. wordpress.com, islamiandolanbd.org, asholkhobor.com, update24.net এই ওয়েবসাইটগুলোতে ফলাও করে শাহবাগের আন্দোলনবিরোধী খবর প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ফেসবুকের ইসলাম ইন বাংলাদেশ পেজে দ্বিমুখী একটি সাপের ভয়াল ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আক্রমণ করা হয়। ছবির সঙ্গে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, "ছবিটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও এর অধীনে শাসকের স্বরূপ। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা হল বিষাক্ত সাপ, যা ক্রমাগত আমাদের দংশন করে চলেছে।

আর মুখগুলো স্থান-কাল-পাত্রভেদে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে বর্তমানে হাসিনা-খালেদা। যাকেই আমরা নির্বাচিত করি না কেন, গণতন্ত্রের বিষ দ্বারা দংশনই করবে। টানা বিশ বছর যাবৎ তারা এভাবে দংশন করতে পারছে কারণ আমরা তাদের নির্বাচিত করছি, আমরা গণতন্ত্র মেনে নিচ্ছি। রাসুল (সা.) বলেন, 'মুমিন কখনো একই গর্তে দু'বার পা দেয় না'।

" ফেসবুকের SeksTips.SexTips পেজের শুরুতেই বলা হয়, 'শাহবাগ : প্রজন্ম চত্বর ডিজিটাল পতিতালয়। এখনি জয়েন। না করলে অনেক কিছুই মিস করবেন। ' এক দিনে ৫০ হাজার ফান গ্রুপটিতে যোগ দিয়েছে বলে মিথ্যাচার করে অন্যদের প্রলুব্ধ করারও চেষ্টা করা হয় এ পেজে। শাহবাগ : প্রজন্ম চত্বর নামের পেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, লোগো হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে শাহবাগ আন্দোলনের একজন অতিপরিচিত মুখের স্লোগান দেওয়ার ছবি।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন শীর্ষ জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবির পাশাপাশি রয়েছে ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য অশ্লীল পোস্ট। আর এগুলো শাহবাগের আন্দোলনের পরিচিত কিছু মুখের নামও এখানে উল্লেখ করা হয়। গতকাল থেকে ফেসবুকে জামায়াত-শিবিরের পক্ষে সক্রিয় পেজ younggeneration.bd একটি ভিডিও পোস্ট করে। 'পবিত্র কাবা শরিফে সাঈদী সাহেবের জন্য হাজীদের দোয়া' হিসেবে ভিডিওটিকে তারা উপস্থাপন করে। তবে ভিডিওটি ডাউনলোড করে দেখা যায়, কাবা শরিফে মুসল্লিদের মোনাজাতের দৃশ্যের সঙ্গে বাংলায় মোনাজাতের অডিও পরে যুক্ত করা হয়েছে, এমনকি ডাবিং করা মোনাজাতের কোনো অংশেই একবারের জন্যও সাঈদীর নাম উচ্চারিত হতে শোনা যায়নি।

এ ছাড়া ভিডিওর এক অংশে দেখা যায়, স্পষ্টতই বিদেশি হাজিদের মুখে বাংলা ভাষা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামদের মানববন্ধন- এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশেরও ঘটনা ঘটেছে অতি সম্প্রতি। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চাতুরীর বিষয়টি ধরা পড়ে গেলে সংবাদ দুটি অনলাইন থেকে প্রত্যাহার করে নেয় দুই সংশ্লিষ্ট দৈনিক। গত ৬ ডিসেম্বর আমার দেশের সপ্তম পাতায় নিউজটির শিরোনাম ছিল- 'আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন'। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণেও দেখা যায় সংবাদটি।

এ ছাড়া জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার অনলাইনেও এ বিষয়ে সংবাদ ছাপা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের নামে বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা কাবার খতিব বিখ্যাত ক্বারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসির নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে ইমাম পরিষদ। ' এই সংবাদের সঙ্গে আরবি ব্যানার হাতে একটি ছবিও ছাপা হয়। এরপর নাসিম রুপক নামে ব্লগার ও ফেইসবুক অ্যাক্টিভিস্ট ওই দিনই দুপুরে 'যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে 'দৈনিক আমার দেশ' ও 'সংগ্রাম' পত্রিকার নির্লজ্জ মিথ্যাচার' শিরোনামে ফেসবুকে একটি নোট লেখেন। তিনি জানান, অনুবাদ করে দেখিয়ে দেন যে পত্রিকা থেকে ছবিটি নেওয়া হয়েছে তার নিচের ক্যাপশনে আরবিতে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে খতিব পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করছেন।

এরপর দৈনিক সংগ্রাম তাদের সংবাদটি প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করে। আমার দেশ তাদের লিংক থেকে সংবাদটি সরিয়ে ফেলে। সেদিন দৈনিক সংগ্রামের দুঃখ প্রকাশ করে দেওয়া বক্তব্যে বলা হয়, "'বাংলাদেশে আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কা'বার ইমামদের মানববন্ধন' শীর্ষক সংবাদটি আমাদের প্রিন্ট এডিশনের কোথাও ছাপা হয়নি। কিন্তু অসাবধানতাবশত অনলাইন সংস্কারে প্রকাশিত হয়। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং একই সাথে সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেয়া হলো।

- বার্তা সম্পাদক। " গতকাল কালের কণ্ঠ http://www.fazza3.net/vb/ showthread.php?p=10190319 এই লিংক থেকে আরবিতে লেখা সচিত্র প্রতিবেদনটি গুগলে অনুবাদ করে নিশ্চিত হয় ওটি ছিল পবিত্র কাবা শরিফের জন্য নতুন গিলাফ হস্তান্তরের ছবি। এদিকে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ফেসবুক পেজ shahbagecyberjuddho আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি নোটিশ প্রকাশ করে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে। অনলাইনে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তারা নোটিশ আকারে বলেছে, 'সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে জানানো যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ সাইট (ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি) বা ব্লগে একটি রাষ্ট্রবিরোধী মহল সরকার ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের অপপ্রচার চালাচ্ছে এই তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেনেছে। তাই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কায় বাংলাদেশ পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সাইবার ক্রাইম মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাই সন্দেহজনক সকল ব্যক্তির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের প্রতি কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ' এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিডি-সিএসআইআরটি) আহ্বায়ক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা ব্লগ বা ফেইসবুক পেইজ বন্ধ করিনি। তবে কয়েকটি ব্লগ ও ফেইসবুক পেইজ থেকে আপত্তিকর কনটেন্টগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সোনার বাংলা ব্লগ এবং বাঁশের কেল্লা ও ধর্মকারী নামের ফেইসবুক পেইজ। ' তিনি আরো বলেন, 'যেসব কনটেন্টগুলো সমাজে ঘৃণা ও বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে, কারো প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা হচ্ছে- সেগুলো দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এটা আমাদের একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা রাজনৈতিক দল ও মতের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে এ বিষয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ' কিছুদিন আগে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের পরিচালিত সোনারবাংলাদেশ ব্লগ ও বাঁশের কেল্লা ফেসবুক পেজ বয়কট করা হয়। তবে বর্তমানে সাইট দুটি অনলাইনে পাওয়া যায় না। পুরনো কৌশল জামায়াতিদের : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট শর্মি আমিন গতকাল ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন : '৭১ সালের খুন-ধর্ষণকে সমর্থন করা হয়েছিল বাংলাদেশিদের হিন্দু বলে, আজ ২০১৩ সালে, এই দ্বিতীয় ৭১-এ যাবতীয় খুনকে জায়েজ করার চেষ্টা চলছে আস্তিক-নাস্তিক দ্বন্দ্ব দিয়ে! ডিভাইড এন্ড রুল গেইমটা তো অনেক পুরান! কেউ এই ফাঁদে পড়বেন না!' হুমকি-ধমকি, অপপ্রচারের পরও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে রাস্তা ছেড়ে যাব না, কিছুতেই না।

' গণজাগরণ মঞ্চের স্লোগানের অগ্নিকণ্ঠ লাকী আক্তার ফেসবুকে বন্ধুদের উদ্দেশে বলেছেন, 'সারা দেশে যখন জামায়াত-শিবির ভয়ানকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তখন আমাদের আরো শক্তিশালীভাবে তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের আরো বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে এই আন্দোলনে। এই আন্দোলনকে গুণগতভাবে শক্তিশালী করতে হলে, সবাইকে এই আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে রূপান্তরিত হতে হবে। ' ব্লগে ফেসবুকে যুদ্ধাপরাধ বিচার দাবি, একাত্তর নিয়ে অসংখ্য লেখার কারিগর ফারুক ওয়াসিফ আজকের জাগরণ মঞ্চের বেলুন ওড়ানো কর্মসূচি সম্পর্কে জানালেন, 'ফাঁসি ফাঁসি দশ টাকা' কিনতে আসিনি। অ্যাডফার্মের করপোরেট মার্কার আলু পোড়া খাওয়াও দেখতে চাইনি।

ক্যামেরার আওতার বাইরের মানুষ দেখেছি। সবার এক কথা : এটা আন্দোলন, মেলা না। প্রতিবাদ শক্তি হয়। শক্তির অপর নাম আলটিমেটাম, আলটিমেটাম, আলটিমেটাম। ঘাতকদের আলটিমেটামের মুখে আছে শাহবাগ।

সরকারি ঝুনঝুনিতে নাচলে হবে না। বরং তাদের বলতে হবে দায়িত্ব তোমাদের। আন্দোলনের কাজ আন্দোলন করবে। নেতানেত্রীদের শাহবাগে আসার দরকার নাই। তাদের এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তারা কীসের সরকার? ভোট ছিল, সমর্থন ছিল, গণজোয়ারও আছে। এখন চাই আলটিমেটাম। একুশের আলটিমেটাম। View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।