আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক প্রেম, একটি ফেইক আই ডি এবং কিছু "থ " হয়ে যাওয়ার গল্প । সিরিয়াস গল্প লিখলে তো আপ্নারা পরবেন না তাই হুদাই কিছু সত্যি ঘটনা দিএ দিলাম।নেন বউসা বইসা পড়েন আর মজা নেন

মনে হয় পুরাই পাগল হয়ে গেসি ক্লাস এইটের TALENTED STUDENT দের মধ্যে যদি কাউকে হিংসা করা যাইত সেই ছিল ব্যাটা সীমান্ত পুরা নাম সীমান্ত আহমেদ। হালায় এত্ত পড়ত সারাদিন দেখে আমাদের ই মাথা নষ্ট আমরা বলতাম ভাই তোর ফাপর লাগে না ? সে বেশ একটা আতেল আতেল ভাব নিয়ে বলত আরেহ ভাই ভাল করে পড় তোদের ও ভাল্লাগবে আমরাও শুনতাম চুপচাপ। পড়াশোনায় ভাল বলে যে ও খুবই তুলসি পাতা টাইপ পোলা তা ভাববেন না ছেলে ছিল মারাত্মক টাংকি বাজ ক্লাস এইটে পরতাম আমরা চিন্তা করে দেখেন কত ছোট তখন ই যদি টাংকি মারা শুরু করে ক্যামন লাগবে?? ভাল ছাত্র বলে টিচার রা কিছু বলে না আর ওর আম্মুর কথা শুনলে মনে হবে সে যেন সাক্ষাৎ ফেরেশতা। এত প্রশংসা করত যে শুনে মনে হইত ওর মত ভাল ছেলে আর দুনিয়াতে নাই। সেই গল্প শুনে আম্মু আমাকে রোজ বলত , " সীমান্তর মত হইতে পারিস না? " এইদিকে আসল কাহিনি তো আমরা জানি তা হঠাৎ একদিন সীমান্ত বলল, দোস্ত ফেসবুকে একটা অ্যাকাউন্ট খুলসি !!!! দুই দিনে ওর ফ্রেন্ড ৩০ জন তার মধ্যে ৭টা মেয়ে আমরা তো অবাক !!! তো একদিন দেখি সীমান্ত এসে বলল ওর কিছু টাকা দরকার আমি বললাম কত?" সে বলে ৫০০০ এর মত আমরা তো আরও মাথা নষ্ট ব্যাটা কিসুতেই কয় না টাকা দিয়া কি করবে পরে পুরা গল্প শুনে আমরা থ ফেসবুকের ওই ৭ জন মেয়ের মধ্যে একজনের সাথে ওর খাতির হয় ভালই । তারপর ফোন এ কথা এবং অতঃপর প্রেম তারপর একদিন হঠাৎ মেয়ে টা ওর কাছে ৫০০০ টাকা চায় ও সরল মনে ওর তথাকথিত গার্লফ্রেন্ড কে টাকা দেয় ওর আব্বুর কাছে নিয়ে এরপর আস্তে আস্তে পরিমান বাড়তে থাকে সীমান্তর মা যখন ব্যপার টা টের পায় তখন তিনি পুরাই সি আই ডি ইশটাইলে তদন্ত শুরু করেন আর আঙ্কেল কে টাকা সাপ্লাই দিতে নিষেধ করে দেয় তারপর সীমান্ত একদিন ওর গীটার কেনার জন্য জমান টাকা টা কুরিয়ার সার্ভিসে ড্রাফ্‌ট করতে গিয়ে ধরা পরে আনটির কাছে কিন্তু ঐযে মেয়ে হুমকি দেয় টাকা না দিলেই ব্রেক আপ তখন তো আমরা মাত্র এইটে পরতাম কিছুই বুঝতাম না তাই সীমান্ত ও ব্রেক আপ এর ভয়ে আমাদের কাছে আসছে টাকা ধার নিতে পুরা গল্প শুনে আমরা আবার থ অকে বুঝাইতে বেশ কিছু সময় লাগল যে ওইটা ফেইক আই ডি আও বেশি সময় লাগল এইটা বুঝাইতে যে ফেইক আই ডি জিনিস টা কি আমরা তখন অত কিছু বুঝতাম ই না আমাদের কে হেল্প করল এলাকার বড় ভাই এরপর তিন মাস আমাদের সাথে সীমান্তর দেখা হয় নাই তারপর অবশ্য আমি একটা ফেইক আই ডি খুলে সীমান্ত কে TROLL করসিলাম একবার পরে জানতে পারলাম ওই মেয়ে টা আসলে তখন বি বি এ টে পড়ত ধাকার নাম করা এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে সে আর তার এক মামা মিলে এম্নে পোলা পাইন দের কে TROLL করে টাকা নিত হায়রে দুনিয়া কিন্তু ওই মেয়ে টা যে কিভাবে আমাদের মত সরল ছেলে দের কে এইভাবে বোকা বানাল ভাবতেই অবাক লাগে মানুশের মধ্যে কি একটুও মানবিকতা নাই??? যাই হোক শেষ করার আগে কিছু ভাল কথা বলে যাই আপনার ছোট ভাই বোন কিংবা বাচ্চা কাচ্চা ফেসবুকে কি করে সেইটা তে একটু খেয়াল করবেন but একটু privacy না দিলে ওরা mind করবেই তাই খেয়াল করতে হবে একটু সাবধানে বন্ধুসুলভ আচরন দিয়েই তো সব জানতে পারবেন তদন্ত না করে যদি ভালকিছু করা যায় তাহলে তদন্ত না করাই ভাল

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.