আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্তর্বিরোধে ক্ষতবিক্ষত আওয়ামী লীগ

জেলায় জেলায় দলীয় কোন্দলে ক্ষতবিক্ষত আওয়ামী লীগ।

কোন্দলের কারণে প্রাক-নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারছে না দলটি। জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের দূরত্ব যোজন যোজন। নেতাদের মধ্যে বিদ্যমান গ্রুপিং, দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূল আওয়ামী লীগ এখন বিপর্যস্ত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও ঝিমিয়ে পড়া হতাশ নেতা-কর্মীদের ঘুম ভাঙছে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স্থবিরতা দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের টেনশনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের মান ভাঙাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিধি সম্মেলন ডাকা হলেও সুফল আসছে না। সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে কর্মীদের তোপের মুখে দলীয় এমপিরা ক্ষমা চেয়েও পার পাননি। কর্মীদের দাবি, হাইব্রিড নেতা-এমপিদের নিয়ে আগামী নির্বাচন নয়। এমন অবস্থায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি রীতিমতো ঝুঁকির মধ্যে।

সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলার বদলে সাংগঠনিকভাবেই ঝিমিয়ে পড়ছে দলটি। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও অধিকাংশ নেতা-কর্মী অলস সময় কাটাচ্ছেন। সাংগঠনিক কাজ না থাকায় কিছু নেতা বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আলোচনায় অংশ নিয়ে হাজিরা অব্যাহত রেখেছেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদকরাও তৃণমূলে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সিনিয়র নেতারাও নিজ নিজ এলাকায় কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন।

তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রী ও এমপিদের দূরত্ব বাড়ছে দিন দিন। এ দূরত্ব কোথাও কোথাও বিরোধে রূপ নিয়েছে। ক্ষমতার সাড়ে চার বছরে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের সঙ্গেই মূলত এ দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনতোষণ, গ্রুপিং ও জনবিচ্ছিন্নতার কারণে দলে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী।

অভিযোগ উঠেছে, অনেক মন্ত্রী ও এমপি কর্মীদের উপেক্ষা ও সুযোগসন্ধানী চাটুকার পরিবেষ্টিত থাকায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

তাদের এ দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চান ত্যাগী ও পুরনো নেতারা। এসব নেতার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও। ফলে বিভিন্ন আসনে দলের মনোনয়ন নিয়ে আগাম লড়াই শুরু হয়ে গেছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলীয় নেতাদের মুখোমুখি অবস্থানসহ বহুমুখী সংকট আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে ফেলেছে। কর্মীদের অভিযোগ, দলের হাইব্রিড নেতা-কর্মীদের আগ্রাসী আচরণের কারণে পরীক্ষিত নেতারা ছিঁটকে পড়ছেন দলের কার্যক্রম থেকে।

এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি হয়েছে চরম মতবিরোধ। বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও থানা কমিটির মধ্যে সমন্বয় না থাকায় দলে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। নিজ দলের নেতারাই পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পাঁচ সিটি করপোরেশনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে ওঠে আসে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী নিজেই সরাসরি দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। ঈদের সময় দলের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের উপস্থিতিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বরিশাল সিটি মেয়র প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ তার পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকেই দায়ী করেছেন। গত বুধবার রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি সভায় তোপের মুখে পড়েন জেলার নেতা, মন্ত্রী ও এমপিরা। এ সময় এমপি-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ ঝাড়েন।

তারা বলেন, এমপি-মন্ত্রীরা এতদিন হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে চলেছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রাম-৯ আসনের এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফসারুল আমিন, নুরুল ইসলাম বিএসসি এমপি, আবদুল লতিফ এমপি ও আজম নাছির উদ্দিন এর বিরোধ চলছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি সারাহ বেগম কবরী ও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পরও এ দ্বন্দ্ব মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে সাবেক এমপি ইমদাদুল হক ভুঁইয়ার বিরোধে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জড়িয়ে পড়েছেন।

ফরিদপুর জেলায় আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ। সরকারের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সঙ্গে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম ভোলা মাস্টারের দ্বন্দ্বে ফরিদপুর জেলার নেতা-কর্মীরা রয়েছেন দুই মেরুতে। গত কয়েক বছরে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা আগাম ঘোষণা দিয়ে সংর্ঘেষর প্রস্তুতি নেয় কয়েকবার। গত ২০ জুলাই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন মেজর (অব.) হালিম।

অন্যদিকে সদর আসনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগও দুই ভাগে বিভক্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও পরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি দুই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন। ফলে জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির। মহিউদ্দিন খান আলমগীরের পক্ষে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল হক ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারি।

আর ডা. দীপু মনির পক্ষে রয়েছেন জেলা সহসভাপতি ওসমান গনি পাটোয়ারি। পুরো জেলার তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

ঝালকাঠি-১ সংসদীয় আসনে কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ আসনের এমপি বজলুল হক হারুনের সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরোধ চরমে। এমপির আপনজন হয়ে উঠেছেন সুযোগসন্ধানী ও বিতর্কিত কিছু উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান।

ফলে এই আসনে আওয়ামী লীগে নতুন-পুরাতনে দ্বন্দ্ব্ব চরম আকার ধারণ করেছে।

হবিগঞ্জ জেলাতেও মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদের সঙ্গে জেলা সভাপতি ড. মুশফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল জাহির এমপির দ্বন্দ্ব চরমে। মৌলভীবাজার জেলায় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ জেলায় একক আধিপত্য বিস্তার করায় নেতা-কর্মীরা এখন বিভক্ত। তার লোকজনের জুলুমের প্রতিবাদে কর্মীরা আশ্রয় নেন সদর আসনের এমপি সৈয়দ মহসীন আলীর কাছে।

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুটের দ্বন্দ্ব চরমে। দলের দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছায়া এখন এমপির দিকে। কোন্দলে জর্জরিত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ তিন ভাগে বিভক্ত। অর্থমন্ত্রী আবুল আল আবদুল মুহিত নিজে এক গ্রুপ, সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন কামরানের এক গ্রুপ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাউদ্দিন সিরাজের এক গ্রুপ। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগও তিন ভাগে বিভক্ত।

সিরাজগঞ্জ সদর আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব ডা. হাবিবে এ মিল্লাত মুন্নার সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরির। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর) আসন বাদে বাকিগুলোতেই কোন্দল। এমপিদের স্বেচ্ছাচারিতায় দূরে সরে আছেন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত কর্মীরা। তার মধ্যে ৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। ইসহাক হোসেন তালুকদার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সুবিধাবাদীদের নিয়ে আলাদা বলয় গড়ে তোলেন।

তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণীর লোকদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ চার ভাগে বিভক্ত। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক একটি গ্রুপে, জেলা সাধারণ সম্পাদক মইনউদ্দিন মণ্ডল এক গ্রুপের নেতা। সদর আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদের এক গ্রুপ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আরেকটা গ্রুপ। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই সাঈদীর রায়ের পর জামায়াত-শিবির বিদ্যুৎকেন্দ্র পুড়িয়ে দিলেও প্রতিরোধ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

অপরদিকে নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে জনবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক এলাকায় যেতে পারছেন না। নাটোর-৪ আসনের এমপি আবদুল কুদ্দুসের নিজ উপজেলা গুরুদাসপুরে দলীয় কোন্দল চরমে। উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার মোহাম্মদ এমদাদ ও পৌর মেয়র শাহেনেওয়াজ এক গ্রুপ ও এমপি আরেক গ্রুপে নেতৃত্ব দেন। দলীয় কোন্দলে নিজ এলাকায় যেতে পারেন না এমপি আবদুল কুদ্দুস। বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম মণি ও বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের বিরোধে বিভক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি আলী রেজা রাজু, বর্তমান এমপি খালেদুর রহমান টিটো ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব রয়েছে। কঙ্বাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির সঙ্গে উখিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আদিল উদ্দিন চৌধুরীর বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। পিরোজপুর-১ আসনে একেএম আওয়ালের সঙ্গে বিরোধ চলছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সাধনা হালদারের। এখানে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনেও প্রকাশ্যে একাধিক গ্রুপিং রয়েছে। খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের এমপি ননী গোপাল মণ্ডলের সঙ্গে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও তার অনুসারীদের কোন্দল দীর্ঘদিন ধরে।

এ ছাড়াও ননী গোপালের সঙ্গে এমপি পঞ্চানন বিশ্বাসের কোন্দলও প্রকাশ্যে। খুলনা-৩ আসনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে তার আসনের তিন থানা কমিটির নেতা-কর্মীদের বিরোধও চরমে। খুলনা-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এমপি মোল্লা জালাল উদ্দিনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হুইপ এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার দ্বন্দ্ব তীব্র। তাদের দুজনের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দর সঙ্গে থানা পর্যায়ের নেতাদের বিরোধ চলছে।

খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানার সঙ্গে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল হকের কোন্দল চরমে। নেত্রকোনা-১ আসনের এমপি মোশতাক আহমদ রুহীর সঙ্গে সাবেক এমপি জালালউদ্দীন তালুকদারের বিরোধও এলাকায় বহুল আলোচিত।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.