আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তীব্র শীতে কাঁপছে ইউরোপ ও এশিয়া

কাউকে কখন ও বেশী ভালোবাসতে নেই পরিনামে সেই দুঃখ দিতে পারে

তীব্র শীতের প্রভাবে বরফে ঢেকে গেছে বেইজিং, উত্তর চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরও অন্যান্য এলাকা। শীতের প্রকোপ বেড়েছে ইউরোপসহ এশিয়ার দেশ নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশেও। এ দশকের সবচেয়ে বেশি বরফ পড়েছে এবারকার শীতে। বেইজিং, উত্তর চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার বহু এলাকা বরফে ঢেকে গেছে। এর ফলে সেখানে যানজট বেড়েছে এবং বিমানের ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে হচ্ছে।

এ দিকে প্রচণ্ড শীতে ইউরোপে ৮০ জন, ভারতে ১০০ জন, নেপালে ১৮ জন মারা গেছে। বাংলাদেশেও বাড়ছে শীতের প্রকোপ, মারা পড়ছে অনেক লোক। ৬০ বছর পর বেইজিং ও উত্তর চীনে এবং সিউল ও দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু এলাকায় ৭০ বছর পর এ রকম ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সিউলে ২৮.৫ সেন্টিমিটার বরফের স্তর পড়েছে, যা কি-না ১৯৩৭ সালের পর একদিনে বরফ পড়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড। বেইজিং কেন্দ্রস্থলের কিছু এলাকায় ৩৩.৫ সেন্টিমিটার এবং হুয়াইরোতে ৩৭.৫ সেন্টিমিটার বরফের স্তর পড়েছে।

দক্ষিণ বেইজিং-এ ১৯৫১ সালের পর জানুয়ারি মাসে এটাই সর্বোচ্চ তুষারপাত বলে জানিয়েছে দেশটির মিডিয়া। চীনের রাজধানী বেইজিং এর তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কি-না গত ৩০ বছরে সবচেয়ে বেশি। বেইজিংর কাছের শহর তিয়ানজিনে ঠাণ্ডার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯০ শতাংশ বিমানের ফ্লাইটগুলো দেরিতে ছাড়ছে বা বাতিল করতে হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তিয়ানজিন বিমানবন্দর।

মঙ্গোলিয়ায় ১৪০০ যাত্রীকে ট্রেন থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়ার কারণে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে ৮০ জনেরও বেশি মারা গেছে তুষার ঝড়ে এবং তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে যাওয়ায়। এদিকে, ভারতের উত্তর প্রদেশ নতুন দিল্লি, বিহার, ঝাড়খণ্ডে প্রায় ১০০ জন মারা গেছে। এদের বেশিরভাগই বৃদ্ধ এবং গৃহহারা মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ অবস্থা আরও বেশ কিছু দিন চলবে।

ভারতের অমৃতসরসহ বিভিন্ন স্থান ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এবং তাপমাত্রা শূন্যে নেমে যায়। উত্তর প্রদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে এবং ৭২ জন মারা গেছে বিহার, ঝাড়খণ্ডে ১১ ও ১৩ জন মারা গেছে। মৃত্যুর সংবাদ আসছে দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর থেকেও। বিমানবন্দর এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় ১০০টি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে এবং ২২টি ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। নেপালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ১৮ জন মারা গেছে।

এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা তরাই-এ। দেশটিতে যাতায়াত ব্যবস্থা ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, বাংলাদেশে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, খুলনা, শ্রীমঙ্গল, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং কুমিল্লায় প্রচণ্ড শীতের প্রকোপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।