আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত্যুপরোয়ানা শুনেও বিচলিত হননি আসামিরা : কারা মহাপরিদর্শক



কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান বলেছেন, শেখ মুজিব হত্যা মামলার রায় পাওয়ার পর গত রোববারই কারাগারে আটক আসামিদের মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। রায় শোনার পর আসামিরা বিচলিত হননি। তাদের মনোবল ভেঙেছে বলেও মনে হয়নি। গতকাল কারা অধিদফতরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষরের পর থেকে সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে হবে। কয়েকজন আবেদন করার জন্য কাগজ নিয়েছেন।

কয়েকজন এ ব্যাপারে ভাবছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ২২ ডিসেম্বর শেখ মুজিব হত্যা মামলার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পেয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২১ জানুয়ারির আগেই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন দায়ের করবেন তারা। অপরদিকে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আসামিরা রিভিউ আবেদন করলে ফাঁসি স্থগিত থাকবে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান বলেছেন, আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল বা আদালতে রিভিউ আবেদন করলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিদের কেউ রিভিউ আবেদন করবেন কিনা জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে গতকাল পর্যন্ত কেউ কিছু জানাননি।

তবে তারা এখনও রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। রিভিউ করলে ফাঁসির আদেশ স্থগিতও হতে পারে অথবা খালাসও পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আদালতে রিভিউ আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে ওই চিঠি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আসার পর তা কার্যকর হবে বলে ব্রি. জেনারেল আশরাফ জানান। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আবদুল গফুর গত রোববার শেখ মুজিব হত্যা মামলার আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন। ওইদিনই পরোয়ানা পাঠিয়ে দেয়া হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

সেখানেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি রয়েছেন। তারা হলেন বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান এবং একেএম মহিউদ্দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নগরীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়। মামলায় আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ওই মামলায় গত ১৯ নভেম্বর এক রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি পাঁচ আসামির আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আপিলের পর হাইকোর্ট ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। কারাবন্দি পাঁচজন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজনের মধ্যে আবদুুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আবদুুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছেন। তাদের গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের পরোয়ানা রয়েছে।

পলাতক অবস্থায় আসামি আবদুুল আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে মারা যান। Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।