আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোপন কথার দিন কি শেষ হচ্ছে ?



সেলুলার নেটওয়ার্কের সবচে’ জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড জিএসএম টেকনোলজির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কথা ও এসএমএস পাঠানোর গোপন সংকেত ভেঙ্গে ফেলেছেন এক জার্মান কম্পিউটার বিজ্ঞানী! ফলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলা আপনার কথাগুলো হাওয়া থেকে ধরে নিয়ে হ্যাকাররা ইচ্ছা করলেই গোপন স্থানে বসে তা শুনতে পারবে! ফলে বিশ্বের ৪শ’ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কথোপকথনের গোপনীয়তা বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এক প্রান্তের কথাগুলো অপর প্রান্তের গ্রাহকের মোবাইলে পৌঁছানোর আগেই ধরে ফেলতে পারবে হ্যাকাররা। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন জার্মানীর কারস্টেন নোহল নামের এক কম্পিউটার বিজ্ঞানী। জিএসএম টেকনোলজির গোপন সংকেত ভেঙ্গে ফেলার ব্যাপারে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, এটা শুধু দেখাতে চেয়েছি মোবাইল ফোনে কথা বলাকে গ্রাহক যত নিরাপদ বলে মনে করেন, আসলে তারা ততটা নিরাপদ নন। এক প্রান্তের মোবাইল আলাপ অপর প্রান্তের নাম্বারে পাঠানোর আগে যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এনক্রিপ্ট (মানুষের দুর্বোধ্য জটিল সংকেতে রূপান্তর) করা হয় তা বের করে ফেলেছেন তিনি।

অপর প্রান্তের এনক্রিপ্ট করা তথ্য শ্রোতার প্রান্তের মোবাইল ফোনে ঢোকার পর ডিক্রিপ্ট (দুর্বোধ্য সংকেতগুলো খুলে ফেলা) করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে শব্দে রূপান্তরিত হয় যেটা আমরা শুনতে পাই। কিন্তু এই প্রযু্িক্তর জারিজুরি বের করে ফেলেছেন তিনি। এখন জিএসএম প্রয্ুিক্তর জন্য নতুন করে অ্যালগরিদম না লিখলে হ্যাকার এবং ক্রিমিনালরা টার্গেট অনুযায়ী ফোনালাপ রেকর্ড করার কাজে নেমে পড়তে পারে। জিএসএম টেকনোলজির অ্যালগরিদম ভাঙতে নোহল একটানা পাঁচ মাস কাজ করেছেন। এই কাজে তাকে সহায়তা দিয়েছেন কয়েক ডজন প্রযুক্তিবিদ।

জিএসএম এই অ্যালগরিদমের প্রণেতা এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে দ্য জিএসএম এসোসিয়েশন (জিএসএমএ)। এসোসিয়েশনের একজন মুখপাত্র নোহলের এই কাজকে ‘উচ্চমাত্রার অবৈধ কাজ’ বলেছেন। তিনি বলেছেন, একে সহজভাবে নেয়া হবে না। কিন্তু নোহল দাবি করেছেন, তিনি এই কাজে নামার আগে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। এটা অবৈধ নয়।

মানুষের জানার অধিকার আছে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সুরক্ষিত। ঝুঁকিপূর্ণ হলে তা সংশোধনের দাবি রাখে। একটি মোবাইল ফোনের কথোপকথনের কিংবা ক্ষুদ্র বার্তার (এসএমএস) গোপন সংকেত নোহল একটি ডাটা টেবিলে দেখিয়েছেন। একটি ভাল মানের কম্পিউটার এবং ৩ হাজার ডলার দামের রেডিও ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করে যে কেউ এই সংকেতগুলোকে কথায় রূপান্তর করতে পারবে! আর ৩০ হাজার ডলারের মতো খরচ করলে যে কারো মোবাইল আলাপ ‘রিয়েল টাইম’ শোনা সম্ভব। একজন ডাটা একক্রিপশন বিজ্ঞানী এই ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে যত শীঘ্র নতুন করে আরো জটিল অ্যালগরিদম লেখার উপর জোর দেয়ার কথা বলেছেন যাতে নোহলের মতো কেউ তা ভাঙতে না পারেন।

সবাই কে হ্যাপি নিউ ইয়ার -২০১০ । সুত্র : ইত্তেফাক -৩১-১২-০৯

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.