আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো একুশে ফেব্রুয়ারি।।

আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে। একটি অশনি সংকেত চলো চলো শাহবাগ চল.... চলো চলো শাহবাগ চল..... চলো চলো শাহবাগ চল..... যে যে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ গড়ে তুলুন। বাংলার ব্লগার- এক হও!!! দ্রোহের আগুন- ছড়িয়ে দাও!!! - ব্লগার শিপু ভাই Click This Link শুক্রবার জুমার নামাজে পর কয়েকটি ইসলামী দল ও সংগঠনের মিছিল থেকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, পল্টন ও কাঁটাবন, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। হামলা-সংঘর্ষ হয় চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাঁদপুরে জামাত -শিবির বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে এবং পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে।

শাহবাগে ‘ফিরছেন’ আন্দোলনকারীরা সিলেটে শহীদ মিনারে ‘জামায়াতের’ হামলা চট্টগ্রামে গণমঞ্চ ও প্রেসক্লাবে হামলা, প্রতিরোধে জনতা ‘শাহবাগবিরোধীদের’ তাণ্ডব বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভাষা দিবস, নাকি শুধুই উদ্দাম উদযাপন - ব্লগার আধখানা চাঁদ Click This Link আপডেট সকাল ৭ টা থেকেই ধীরে ধীরে কয়েকজন করে ব্লগার আসতে থাকেন ছবির হাটে। তারপর আরও কিছুক্ষন অপেক্ষার পর সকাল ৮ টার মধ্যে আমরা একত্রে হয়ে যাই সামহোয়্যার ইন ব্লগের বেশ কয়েকজন ব্লগার । তারপর সবাই মিলে প্রত্যেকের হাতে ফুলের ছোট ছোট তোরা নিয়ে একযোগে রওনা হই পুরোটা পথ নগ্ন পায়ে হেটে সেই ছবির হাট থেকে নীলক্ষেতের মোড় পার হয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে । লাখো মানুষের ভিড়ের মাঝে আমরাও সমস্বরে গাইতে থাকি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি সেই ভিড়ের মাঝে গুটি গুটি পায়ে হেটে আমরা পৌঁছে যাই শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। দেখলাম ছোট ছোট শিশুরা থেকে শুরু করে সকল বয়সের মানুষ এসে বেদীতে ফুল দিয়ে যাচ্ছে।

আমরা ব্লগাররাও শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে আবার নগ্ন পায়ে ফিরে আসি পথ হেটে। আজ প্রচণ্ড রোদ ছিল সেই সাথে বসন্তের মিষ্টি বাতাস তবু দীর্ঘ পথ পায়ে পায়ে হাটার জন্য অনেকের দেখলাম মুখ লাল হয়ে ঘাম ঝরছে। প্রচণ্ড তৃষ্ণার কারনে হয়ত সবাই ঠাণ্ডা পানির জন্য উতলা হয়ে উঠল। তারপর প্রান ভরে ঠাণ্ডা পানি খেয়ে সবাই মিলে আমরা ভাষা শহীদদের প্রতি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পথের মাঝে দাড়িয়েই দোয়া করে ফিরে এলাম যে যার গন্তব্যে। ফিরে আসার সময় মনটা কিছুটা ব্যাকুল ছিল তাই হয়ত আবার গেয়ে উঠলাম মনের অজান্তে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি সকল ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিঃ সামহোয়্যার ইন এর ব্লগারদের প্রভাত ফেরীঃ আগামী কাল সকাল ৭ টায় ছবির হাট হতে হেটে আমরা সবাই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যেয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করব।

তাই সবাইকে সকল ৭ টার মধ্যে ছবির হাটে থাকার অনুরোধ করা যাচ্ছে। ফেবু ইভেন্ট Click This Link ছোট বেলায় প্রতি বছর অমর একুশে এলেই সারা রাত জেগে থেকে ইট দিয়ে বাড়ির উঠানে শহীদ মিনার বানাতাম । তারপর রঙিন কাগজ নানা আকারে কেটে চারিদিকে চিকন দড়ির সাথে আঠা দিয়ে লাগিয়ে বেঁধে দিতাম। তারপর গোলাপ ফুল, রজনীগন্ধা আর গাঁদা ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজাতাম। একটি লাল রঙের কাগজ গোল করে কেটে সেই শহীদ মিনারের মাঝে লাগিয়ে দিতাম।

আর সেই লাল রঙের কাগজে যেটাকে বোঝাতাম সূর্য তার মাঝে লিখে দিতাম আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি তারপর সকাল হতেই বাড়ির সবাইকে ডেকে আনতাম ফুল দেবার জন্য আমার বানান শহীদ মিনারে। সবাই এসে ফুল দিয়ে যেত। তারপর বাবার সাথে যেতাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে হেটে ফুল দিতে। বয়স হওয়ার সাথে সাথে সেই সব ছেলে মানুষী গুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেল। এখন আর নিজে নিজে শহীদ মিনার বানান হয় না ।

তবে শহীদ মিনার ঠিকই যাওয়া হয় খালি পায়ে হেটে ফুল দিতে আর সত্যি আজো নিজের অজান্তে গেয়ে উঠি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি আবার ভাবি সত্যি কি আমরা আজ একুশের চেতনাকে বুকে লালন করে রাখতে পেরেছি? বাংলা ভাষাকে সত্যি কি আমরা আমাদের মায়ের ভাষা হিসাবে সঠিক মর্যাদা দিতে পেরেছি? আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়ায়ে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। । জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা, দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি? না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি। সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে; পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন, এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো। ।

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা, তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে ওরা এদেশের নয়, দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয় ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি। । তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি। । আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একটি বাংলা গান, যে গানের কথায় ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখে সংঘটিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের করুণ ইতিহাস ফুটে উঠেছে।

গানটি একটি খবরের কাগজের শেষের পাতায় একুশের গান শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয়। তখন গীতিকারের নাম ছাপা হয়নি। পরবর্তীতে অবশ্য গীতিকারের নাম ছাপা হয়। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।

শুরুতে এটি কবিতা হিসেবে লেখা হয়েছিল। তৎকালীন যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবিতাটি আব্দুল লতিফকে দিলে তিনি এতে সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে, লতিফ আতিকুল ইসলাম প্রথম গানটি গান। ঢাকা কলেজের কিছু ছাত্র কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করার সময়ও গানটি গেয়েছিল। একারণে তাদেরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদ, যিনি সেসময়কার একজন নামকরা সুরকার এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, গানটিতে পুনরায় সুরারোপ করেন। বর্তমানে এটিই গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শত শত মানুষ এই গান গেয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে খালি পায়ে হেঁটে যান। ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরীতে এই গান গেয়ে সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলন বিশ্বের এক নজীর বিহীন ঘটনা। যার অন্তরনিহিতে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি। রক্তক্ষরণে বিশ্বের এই অদ্বিতীয় ঘটনাটি বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধ জুড়ে শুধু মাত্র বাংলাদেশের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে ছিল। জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান সাংস্কৃতিক সংঘ (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর মহান একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করার পর বিশ্ববাসীর ইতিহাসে রূপান্তরিত হয়েছে। এই আন্দোলনের প্রাণ বিসর্জন শুধুমাত্র ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও মরণপণ আন্দোলন হয়েছিল দেশব্যাপী।

তার মধ্যে রাজশাহী ছিল আন্দোলনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র। আন্দোলরে সূচনা থেকেই রাজশাহীর বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার মানুষ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহীতে ভাষাসৈনিকরা যে, শহীদ মিনার গড়েছিলেন সেটিই দেশের প্রথম শহীদ মিনার। ‘রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন’ গ্রন্থে এ্যাডভোকেট মহসীন প্রামাণিক তার প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি দিনগত সারারাত রাত ধরে আমরা ইট ও কাদা দিয়ে রাজশাহী কলেজের নিউ মুসলিম হোস্টেলের মেইন গেটের সামনে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করি এবং সকাল ৭টার দিকে এটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনারটি ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পুলিশ এসে গুঁড়িয়ে দেয়।

Click This Link অমর একুশে (ভাস্কর্য) অমর একুশে ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতর্পণমূলক ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী জাহানার ইমাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২ নং গেইট এর সামনে অবস্থিত এই ভাস্কর্যটি। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ এই ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন।

ভাস্কর্যটির স্তম্ভসহ ফিগারের মোট উচ্চতা ৩৪ ফুট। এটি নির্মাণ করা হয়েছে চুনাপাথর, সিমেন্ট, ব্ল্যাক আইড, বালি, মডেলিং ক্লে প্রভৃতি দিয়ে। অমর একুশে মনে করিয়ে দেয় ত্যাগ আর অগণিত প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির প্রাপ্তি। বিশ্বে বাঙালিরা একমাত্র জাতি যাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে। 'অমর একুশে' নিয়ে যায় ৫২'র একুশে ফেব্রুয়ারিতে যেই দিনে-ভাষার জন্য ছাত্ররা মিছিল করেছিল।

পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বার প্রমুখের তাজা প্রাণের লাল রক্তে বাঙালিরা নিজের ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করে। 'অমর একুশে' মা-বাবার কোলে সন্তানের লাশকে দেখায়। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে কংক্রীটের শরীরে জীবন্ত করেছেন শিল্পী জাহানারা ইমাম। শিল্পী ‘অমর একুশ’ ভাস্কর্য কর্মে তাঁর লালিত স্বপ্ন এবং জাতীয় চেতনাকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ‘অমর একুশে’ নামের মধ্যে বায়ান্নের সেই উত্তাল সময়কে যেমন ধরে রাখা হয়েছে তেমনি একটি শাণিত চেতনাকেও শরীরী করা হয়েছে।

এই ভাস্কর্যে একজন মায়ের কোলে শায়িত ছেলের পথিকৃতী দেখা যায় এবং এর পেছনে শ্লোগানরত অবস্থায় একজনের প্রতিকৃতি দেওয়া হয়েছে। মোদের গরব (ভাস্কর্য) মোদের গরব বা আমাদের গর্ব হল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাংলা একাডেমী ভবনের সামনে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানানো হয়। এই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদের সম্মানে এই ভাষ্কর্যটি তৈরী করা হয়। ২০০৭ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারীতে সেই সময়ের তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রধান ড: ফখরুদ্দীন আহমদ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এটি উদ্বোধন করেন।

এখানে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম, রফিকউদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, শফিউর রহমান, এবং আবুল বরকত এর ধাতব মুর্তি রয়েছে। এগুলো মূল ভিত্তিটির উপর রয়েছে এবং এর পেছনের একটি উচু দেয়াল রয়েছে। এই দেয়ালটির উভয় পাশে টেরাকোরা নকশা করা আছে। এখানে ভাষা আন্দলনের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভাস্কর্যটি তৈরী করতে মোট ১৩ লক্ষ টাকা খরচ হয় এতর থেকে স্পন্সর হিসাবে গ্রামীনফোন নামের একটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ১০ লক্ষ টাকা দেয়, অবশিষ্ট টাকা সংগ্রহ করা হয় বাংলা একাডেমীর নিজেস্ব ফান্ড থেকে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রথম শহীদ মিনার যেটি ১৯৫২ সালের তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু পাকিস্তান পুলিশ ও আর্মি সেটা ভেঙে ফেলে। প্রথম শহীদ মিনার যেটি ১৯৫২ সালের তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু পাকিস্তান পুলিশ ও আর্মি সেটা ভেঙে ফেলে। প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছিল অতিদ্রুত এবং নিতান্ত অপরিকল্পিতভাবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা সম্পন্ন করে। শহীদ মিনারের খবর কাগজে পাঠানো হয় ঐ দিনই। শহীদ বীরের স্মৃতিতে - এই শিরোনামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ছাপা হয় শহীদ মিনারের খবর। মিনারটি তৈরি হয় মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেলের (ব্যারাক) বার নম্বর শেডের পূর্ব প্রান্তে। কোণাকুণিভাবে হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার গা-ঘেঁষে।

উদ্দেশ্য বাইরের রাস্তা থেকে যেন সহজেই চোখে পড়ে এবং যে কোনো শেড থেক বেরিয়ে এসে ভেতরের লম্বা টানা রাস্তাতে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে। শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উচ্চ ও ৬ ফুট চওড়া। মিনার তৈরির তদারকিতে ছিলেন জিএস শরফুদ্দিন (ইঞ্জিনিয়ার শরফুদ্দিন নামে পরিচিত), ডিজাইন করেছিলেন বদরুল আলম। সাথে ছিলেন সাঈদ হায়দার। তাদের সহযোগিতা করেন দুইজন রাজমিস্ত্রী।

মেডিকেল কলেজের সম্প্রসারণের জন্য জমিয়ে রাখা ইট, বালি এবং পুরান ঢাকার পিয়ারু সর্দারের গুদাম থেকে সিমেন্ট আনা হয়। ভোর হবার পর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মিনারটি। ঐ দিনই অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে, ২২ ফেব্রুয়ারির শহীদ শফিউরের পিতা অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দশটার দিকে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন। উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও সেনাবাহিনী মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেল ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে।

এরপর ঢাকা কলেজেও একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়, এটিও একসময় সরকারের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়। অবশেষে, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে। ১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের মুখ্যমন্ত্রীত্বের আমলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বর্তমান স্থান নির্বাচন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। তৎকালীন পূর্ত সচিব (মন্ত্রী) জনাব আবদুস সালাম খান মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে 'শহীদ মিনারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য চূড়ান্তভাবে একটি স্থান নির্বাচন করেন।

১৯৫৬ সালের ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি তারিখে জনৈক মন্ত্রীর হাতে 'শহীদ মিনারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও তাতে উপস্থিত জনতা প্রবল আপত্তি জানায় এবং ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ রিক্সাচালক আওয়ালের ৬ বছরের মেয়ে বসিরণকে দিয়ে এ স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক এবং আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট সরকার কর্তৃক ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এরফলেই শহীদ মিনারের নতুন স্থাপনা নির্মাণ করা সহজতর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমান মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ মিনারের স্থপতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। তাঁরই রূপকল্পনা অনুসারে নভেম্বর, ১৯৫৭ সালে তিনি ও নভেরা আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংশোধিত আকারে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ কাজ শুরু হয়।

এ নকশায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখভাগের বিস্তৃত এলাকা এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৯৬৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ ব্যক্তিত্ব আবুল বরকতের মাতা হাসিনা বেগম কর্তৃক নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়। ভাষা অন্দোলনের ধারাবাহিক ক্রমপঞ্জী এবং কিছু ঐতিহাসিক ছবি - ব্লগার শের শায়রী Click This Link মোদের গরব মোদের আশা আ -মরি বাংলাভাষা - ব্লগার মনিরা সুলতানা Click This Link বড় অভিমানে দুঃখি মন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া বাংলার এক রহস্যময়ী কিংবদন্তি- ব্লগার খেয়া ঘাট Click This Link কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা ও মর্যাদা ও আমারি বাংলা ভাষা ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ দিন প্রত্যুষে সর্বস্তরের মানুষ নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করে এবং শহীদ মিনারে গিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সারাদিন মানুষ শোকের চিহ্নস্বরূপ কালো ব্যাজ ধারণ করে।

এছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি তর্পণ করা হয় এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে দিনটা কখনো জাতীয় শোক দিবস, কখনোবা জাতীয় শহীদ দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। ২০০১ সাল থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে উদযাপিত । অথচ আফসোস শহীদ মিনার এলাকায় ২১ ফেব্রুয়ারী ব্যতীত শহীদ মিনার অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে। এ সময় শহীদ মিনার এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।

মাদক সেবন থেকে শুরু করে ভাসমান মানুষের বর্জ্য ত্যাগের স্থানে পরিণত হয় এই ঐতিহাসিক এলাকা। ফলে শহীদ মিনার এলাকার পবিত্রতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাছাড়া ঐতিহাসিক এই স্থাপনার পাশে কয়েকটি কথিত মাজার গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকার ২০ কাঠা জায়গা দখলকারীরা দখল করে রেখেছে। যদিও শহীদ মিনারের সামনেই একটি ফলকের গাঁয়ে লেখা রয়েছে মূল বেদীতে জুতা পায়ে প্রবেশ নিষেধ এবং আমরা কেবল একুশে এলেই দেখা যায় যে কয়েক মেইল দূর থেকে খালি পায়ে শহীদ মিনারে আসি ভাষা শহীদদের প্রতি সন্মানদেখাতে কিন্তু বাকি সময়ে দেখা যায় মূল বেদীতে দিব্যি জুতা পায়ে ঘুরে বেড়াই।

হয়ত অসচেতনতা অথবা অজ্ঞতা থেকে করে থাকি কিন্তু যেটা মোটেও কাম্য নয়। তাই এই ব্যাপারে আন্তরিক হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আর আমাদের নিজেদেরকেও এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। একটু কি সচেতনতা আমাদের মনের মাঝে আমরা স্থান দিতে পারিনা আমাদের এই পবিত্র শহীদ মিনার এবং প্রিয় মায়ের ভাষা এই বাংলা ভাষার ব্যাবহারের প্রতি । আর কোন ভাষাতে হয়ত ইতিহাসে নাই যে ভাষার জন্য সংগ্রাম করে একটি জাতি প্রান দিয়েছে।

তাই আসুন বাংলা ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশী অগ্রসর এবং সচেতন করে নিজেদের গড়ে তুলি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলা ভাষার ব্যাবহার হোক সর্বত্র ও সার্বক্ষণিক। এই বিষয়ে ব্লগার মোহামমদ মশিউর রহমান তার দেয়া একটি পোষ্টে বলেছেন Click This Link ব্লগার মেলবোর্ন তার দেয়া একটি পোষ্টে বলেছেন Click This Link আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আমার অক্ষম ক্ষোভ প্রকাশ - ব্লগার শের শায়রী Click This Link মোদের গরব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা!!! মাগো তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা আমারি বাংলা ভাষা!!!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।