আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষয় ঃ ইয়াওমুল আশুরা বা ১০ই মহররম

থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগৎটাকে

আশুরা আরবী গননায় মহররম মাসের ১০ তারিখ। প্রতিবছর আমরা এই দিনটি উদযাপন করে থাকি আমাদের অধিকাংশ লোক ধারণা করে যে ১০ই মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে তদানীন্তন যালেম শাসক ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া এর বাহিনীর হাতে হযরত মুহ্ম্মাদ (স.) এর দৌহিত্র আলী ফাতেমার ছেলে ইমাম হোসাইন সঙ্গী সাথীদেরকে নিয়ে ইয়াজিদের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিহত করতে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন, এজন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই দিনে অর্থাৎ ১০ই মহররম তারিখে হযরত আদম (আ.) থেকে করবালার ঘটনা পর্যন্ত অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সর্বশেষ কারবালার ঘটনাটি হুজুর (স.) এর ইন্তিকালের ৬২ বছর পর সংগঠিত হয়, যা ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত। এই দিনের ঘটনাবলী ঃ হযরত আদম (আ.) এই দিনে পৃথিবীতে আগমণ করেন এবং হযরত হাওয়ার সাথে আরাফতে মিলিত হন, হযরত নূহ (আ.) এর জাহাজ জুদি পাহাড়ের পার্শ্বে নংগর করেন এবং আল্লাহর গজব প্লাবন থেকে বিশ্ববাসী মুক্তি পায়। হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্তি পান।

হযরত ইউনুছ (আ.) দোয়ায়ে ইউনুছ পাঠ করে মাছের পেট থেকে মুক্তি পান। হযরত মুছা (আ.) ছয় লক্ষ চল্লিশ হাজার বনী ইসরাঈলদেরকে নিয়ে লোহিত সাগর পার হয়ে যান এবং ফেরাউন ছয় লক্ষ সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে পিছে ধাওয়া করার ফলে লোহিত সাগরে বাহিনীসহ ডুবে মারা যায়। হযরত ঈসা (আ.) কে এই দিনে শুলিবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয় এবং আল্লাহ তাঁকে আসমানে তুলে নেন। তিনি কেয়ামতের আগে এ ধরায় পূণঃ আগমণ করবেন এবং চল্লিশ বছর খেলাফতের দায়িত্ব পালন করবেন। তখন সারা বিশ্বে একজনও অমুসলিম থাকবেনা এবং চল্লিশ বছর পর তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হবে এবং মদিনায় দাফন করা হবে।

যারা মনে করেন শহীদে কারবালার ঘটনার জন্য আশুরা বিখ্যাত তারা ভুল বুঝেছেন। সাধারণভাবে কেউ যদি শুক্রবারে মারা যায় তাহলে শুক্রবারের মর্যাদা বাড়ে না। বরং শুক্রবারে মৃত্যুর ঘটনাই তার জন্য উত্তম। অনুরূপ ভাবে শহীদে কারবালার ঘটনা ১০ই মহররম হওয়াতে আশুরার মর্যাদা পায় নাই। বরং আশুরার দিনে উক্ত ঘটনা ঘটার মাধ্যমে আমরা বলতে পারি যে তাঁদের শাহাদাত আল্লাহ তায়ালা কবুল করেছেন।

“ইসলাম জিন্দা হোতা হায়, হার কারবালা কি বাদ”। " ইসলাম আবার জিন্দা হবে কারবালার মত মর্মান্তিক ঘটনার মাধ্যমে সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.